[justify]
।।১।।
সকাল বেলাটা দিনের সবচেয়ে মনোরম সময়। এটা বুঝতে অনেকটা সময় লেগেছে। এতোটা সময় লাগার কারণ হচ্ছে আমি আগে কখনো সকালে উঠতাম না। সকালের আলোতে একধরনের মায়া থাকে। চারিদিক যেন ভিজে থাকে তরল এক প্রসন্নতায়। তাতে মনকে ভেজানো যায়, ভুলে থাকা যায় যে এই পৃথিবীর কোথাও না কোথাও যুদ্ধ, ক্ষুধা, মৃত্যু, দুঃখ, শোক ডানা মেলে আছে। সকাল বেলার রোদ্দুরে এই পৃথিবীকে প্রতিদিন একবার করে ক্ষমা করে দেই আমি।
একটা ছেলের নাম বলুন।
খোকন?
আচ্ছা, ঠিকাছে। এইবার একটা মেয়ের নাম বলুন।
সুমি?
ঠিকাছে। ঐ যে দেখুন, রিকশায় চড়ে বেড়াতে বেরিয়েছে এক যুগল। খোকন আর সুমি। ঐ যে বেগুনি গেঞ্জি, ধূসর জিন্সের প্যান্ট পরা, ও খোকন। আর ঐ যে হালকা কমলা শাড়ি আর গাঢ় কমলা ব্লাউজ পরা ...।
ও-ই সুমি। বুচ্ছি।
বাহ, খুব অবজারভ্যান্ট আপনি। নিশ্চয়ই ক্লাস ফাইভে বৃত্তি পেয়েছিলেন?
হ।
উইক পয়েন্ট
------------------
শুরুতে তুমি আপনিতেই ছিলে, আমি
স্রেফ তুমি দিয়েই শুরু করেছিলাম;
তারপর বাকি আট-দশটা সম্পর্কের মতো
প্রিয় গান, প্রিয় ফুল, টুকে নেয়া সেলফোন নাম্বার
আর বাড়িতে কটা মাথা তা গুনে নেয়া -
মানে স্বাভাবিক আলাপচারিতা ;
এরপর একদিন হঠাৎ করে তুমি জানতে চাইলেঃ
"আচ্ছা, তোমার ভালোলাগা গুলো কি কি?"
আমি ঠিক বুঝিনি, তাই তুমি বল্লে, ইয়ে.. মানে
তোমার উইক পয়েন্ট ..
পৌনপুনিক
--------------------- প্রখর-রোদ্দুর
যোগী হলে হয়তো অবিরাম শব্দটি যথার্থ হতো
তবু প্রায়; বিলক্ষণ,
রাতের নির্জনতায় বিশুদ্ধ কর্পূর জ্বলে
তপ্ত পাপের অনলে।
ঝিম ধরা কোন দুপুরে টুকরো মেঘ এলো মেলো ভাসে যেমন
একাকী চিলের দিকে তাকিয়ে -
বিলাসী অনুভব ভর করে চুলচেরা নাগরিক জীবনে।
কাকচক্ষু জলে ক্ষুদ্র পোকাদের চলাফেরায়
নিস্তরঙ্গ স্থিরতায় যৎ সামান্য ঢেউয়ের আলিঙ্গন হলেও
জাপানের এই উপকথাটা খুব আশ্চর্যরকমের সুন্দর। অনেকে বলে থাকেন আধুনিক কল্পবিজ্ঞানের গল্পের আদিরূপ এই উপকথাতেই প্রথম পাওয়া যায়। অনেকে আরো বলেন, উপন্যাস ইত্যাদির বীজও লুকানো ছিলো এই উপকথায়। এই উপকথাটির জন্য সচল ষষ্ঠ পান্ডবের কাছে ঋণী এই পুনর্কথক।
আদম গলা খাঁকরাইয়া কহিল, আমার কোন প্রকার দোষ নাই। সব দোষ ঈভের।
কারাগারের বাহিরে দাঁড়াইয়া গিবরিল বিষণ্ন বদনে কান চুলকাইতেছিল, সে কহিল, তোমাকে তো বমাল ধরা হইয়াছে আদম। একেবারে হাতেনাতে ধরা পড়িয়াছ। দোষ নাই বলিয়া কি পার পাইবে?
[justify]
(১)
'যৌবন পেরিয়ে গেলে কোন এক বাদামী সন্ধেবেলা মানুষের মনে হয় এই জীবন অন্যরকম হবার কথা ছিলো।
কৈশোরের যে মহিমা- উজ্জ্বল জীবনের ছবি ভেসে উঠতো চোখে, কোথায় গেল সেই মহিমা?
মেঘলা আকাশের জোত্স্নার মতন চতুর্দিকে ছড়িয়ে থাকে স্বপ্নের শব…
মনে হয় যদি আর একবার নুতন করে জীবনটাকে শুরু করা যেত, শৈশব থেকে আবার ফিরে আসা...'
[justify]
‘ওয়াচম্যান’ সিনেমাটার শুরুতেই বব ডিলানের একটা চমৎকার গান আছে। দ্যা টাইমস দে আর আ চেঞ্জিং। সব কিছু বদলায়, সব কিছুই বদলে যাচ্ছে, সব কিছুই বদলে যাবে। পৃথিবী ঘুরবেই।
লীলেন দা আসলেন, আর চলে গেলেন, রেখে গেলেন কিছু স্মৃতি। সেই সময়ের স্মরণেই এই স্মৃতিগুলো। সংলাপগুলো সবই অলীক---
ভোটে দাঁড়াচ্ছি, দোয়া কইরেন এবং ভোট দিয়েন-