কোন এক মনোহর বৈকালের ঘটনা, হ্যাঁ; ঠিক কবেকার সংযোগ তাহা মনে নাই। তবে সেই দিনটি বড্ড মনোহর ছিল। আমাদিগের সহিত ঠেলাকাকার পরিচিতি ঘটিয়াছিল তাহা স্মৃতির পাতা ঝাড়িয়া বাহির করিতে পারি না আপাতত। তবে দিনটি মনোহর ছিল উহা মনে করিতে পারি। কেননা কাকার কুষ্ঠির নাম মনোহরপ্রসাদ বিশ্বাস এবং পরিচিতিকালে কাকা ঐ নামেই নিজের গুণকীর্তন করিয়াছিলেন। তবে সামান্য কাল অতিবাহিত হওয়ার পর কাকা আমাদিগের আড্ডায় থিতু হইলে স্কন্দ
পর্ব ৫
ভাটির দেশে যাও যদি তুমি
হিজল তলীর ঘাটে।
হেথায় আমার ভাই-ধন থাকে
আমার খবর কইও তারে
নাইয়র নিতো আইয়া।
কোন দূরে যাও চইলা
নাইয়ারে নাওয়ের বাদাম তুইলা।।
কিছু দিন আগে (গত ১০ অক্টোবর) ছিল জগজিত সিং-এর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী।
দেখতে দেখতে এক বছর হয়ে গেল তাঁর চলে যাবার।
মানুষের সবচেয়ে বড় শক্তি খুব সম্ভবত তার শোক সামলে ওঠার ক্ষমতাটা।
যত বড় শোক আসুক না কেন--- কালে কালে আমরা ঠিকই সেরে উঠি। আমাদের মাঝে যারা ভাগ্যবান তারা হয়ত ভুলেও যাই।
আমি খুব ভাগ্যবান কেউ নই। কিছু কিছু জিনিস আমার কিছুতেই ভোলা হয় না। কিছু কিছু ক্ষত আমার কিছুতেই সারে না।
~উপক্রমণিকা~
- “হ্যালো, রিমি পালের সাথে কথা বলা যাবে?”
- “হ্যাঁ, বলছি, আপনি কে বলছেন?”
রাগের মাথায় অথবা অবজ্ঞা অবহেলা করে অতি তুচ্ছ কারণেই মা'কে আঁতে ঘা দিয়ে কথা বলি, মনের ঝাল মিটিয়ে শান্তি পাই মনে; মা শুধু নির্বাক হয়ে তাকিয়ে থাকে, কিংবা বড়জোর মা অভিমান করে একদিন খাবার টেবিলে কথা না বলে চুপচাপ শুধু খাবার দিয়ে যায়;- মায়ের ঐসব ছেলেমানুষি আবেগে ভারাক্রান্ত হয়ে মান ভাঙাগড়ার সময় আছে? আগামি কালকের ইন্টার-কলেজ ফাইনালে কাপটা আমাদের হাতছাড়া হয়ে যায় কিনা- এই চিন্তায় বাঁচি না!
[justify][left]আমি বা। বয়স একুশ। দিনকাল ভালোই যাচ্ছিল। মাসে মাসে বাপের পাঠানো টাকা, হলের খাবার আর অল্প-স্বল্প পড়াশুনা আমার অবস্থা এক কথায় বোঝানোর জন্য যথেষ্ট ছিল।
এক পুরাতন ঘুমের জাদু, মঞ্চ জুড়ে তুমুল কলরব,
প্রেক্ষাপটে রঙগুলো সব চর্চিত সরব
আর জাদুকরের ইন্দ্রজালে ফাঁকি...
আমার ক্ষেত্রফলের সরাইখানায় বাকি,
তালপুকুরের আয়না গেছে চুরি;
সনাতন শারদা-সুন্দরী
হারিয়ে ফেলেছে প্রবারণা পূর্ণিমা যতো...
তুমি, আমি, আমাদের চেতনায় আহুত
বাতাসের চাইতেও ছুঁয়ে যাওয়া আরও কোন বোধেরাও লুপ্তপ্রায় --
ক্ষয়ে গেছে তাম্রলিপি, সমপ্রাণ বোধ, বিলুপ্ত বিহার...