১।
শুক্রবার দুপুরে শিশুমেলার কাছে রাস্তা পার হওয়ার সময় থমকে দাঁড়াতে হল। ডিভাইডারের উপরে নোংরায় মাখামাখি হয়ে একটা বাচ্চা ছেলে পড়ে আছে। দেখে মনে হচ্ছিল মৃত! কত হবে বয়স? ১২ বা ১৩! শরীরে হাড় আর চামড়া ছাড়া কিছু অবশিষ্ট নেই। কি হয়েছিল ছেলেটার? চুরি করতে গিয়ে মার খেয়েছে? কিন্তু তাহলে তো এতক্ষণে পুলিশের নিয়ে যাওয়ার কথা! কাছে গিয়ে বুঝতে পারলাম এখনো বেঁচে আছে। কিন্তু দেখে মনে হচ্ছে না বেশিক্ষণ থাকবে।
বাংলাদেশে গত কিছুদিন ধরে যেই বিষয়টি নিয়ে সব থেকে বেশি আলোচনা হয়েছে সেটি সাম্প্রতিক সময়ে রামু,পটিয়া,উখিয়া এই অঞ্চলগুলোতে ঘটে যাওয়া সাম্প্রদায়িক নির্যাতন, এটি নির্দ্বিধায় বলা যায়। এই সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ যখন সোচ্চার হয়েছে, তখন অন্য সকল ঘটনার মতো এই ঘটনাতেও মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে সুযোগসন্ধানী একটি গোষ্ঠী। যেখানে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে শুভশক্তি ও মানবিকতার উত্থানের প্রশ্নে আ
খবরে প্রকাশ, জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে সমৃদ্ধির পথে।
< সতর্কতা- সকল সেমেটিক ধর্মের ( ইহুদী, খৃস্টান, ইসলাম) অতিমাত্রায় বিশ্বাসীদের পোস্টটি এড়িয়ে চলাই ভাল, নতুবা ঐতিহাসিক সত্য উল্লেখের জন্য কারো ধর্মানুভুতি আহত হলে লেখককে দায়ী করা যাবে না। >
বউ পালনে আমি যে সিদ্ধহস্ত, তা বলবো না (অবশ্য বউ পালনে কেই বা কবে সিদ্ধ হস্ত হতে পেরেছে?), তবে চিন্তা করে দেখলাম, যারা এখন শিশু পালন করছে, তারা শিশু পালন নিয়ে লিখবে (যেমন তাসনীম ভাই), আবার যাদের টিন এজ বাচ্চা আছে, তারা টিন এজারদের সমস্যা নিয়ে লিখবে, যারা প্রেম করছে, তারা গার্লফ্রেন্ড/বয়ফ্রেন্ড/রিলেশনশীপ নিয়ে লিখবে, তাই চিন্তা করে দেখলাম, নব্য বিবাহিত স্বামী কিভাবে তার বউ পালন করবে, তা নিয়ে কিছু এক
হুটহাট কয়েকটা লাইন এসে মাথায় হাতুড়ির আঘাত করে যায়। ভাবি, লিখে রাখবো এখানে ওখানে। আজ যেমন সাত সকালে নিজেই আওড়ে গেলাম, “অনুভুতিগুলো সব পুরনো হয়ে যাচ্ছে। তরতাজা স্মৃতি বলে কিছু নেই। এই সেদিনের প্রেম-প্রণয়ও আজ বিগত দিন। আরও আগের ডানডাস স্কয়ার স্বপ্নের দৃশ্যের মতো ঘোলাটে। আজ দিনটুকু বেঁচে আছে কেবল, ব্যক্তিগত জামায়।" জানি, এ লাইনগুলো আর লেখা না হবে অন্য কোথাও। মুছে যাবে স্মৃতি থেকে। এই করি, ঐ করি, হাতি
সীমান্তরেখা-১
সীমান্তরেখা-২
তৃতীয় অধ্যয়
সবেদ আলির মনে বেশ ফুর্তি ফুর্তি ভাব। সেদিনের মেঘলায় পাঁচু মাঝি দুপুরে ঘুমের আলস্যে পরাজিত হয়ে বিছানায় এলিয়ে পড়লেও পরদিন রেহায় দেয়নি ব্লাক মার্কেটরা। শুধু ব্ল্যাক মার্কেটই বা কেন, মেঘের অবগুণ্ঠন সরানো সূর্যের সোনাঝরা রোদে ঝিলিক দিয়ে উঠেছিল সবেদ আলি-হাবুডাগাদের গোত্রীয় মাথামুটের অন্নাভাবে মলিন মুখগুলোও। সেই ঝিলিকের চিহ্ন এখনো লেগে আছে সবেদ আলির চেহারায়। কিন্তু বউটার মন খারাপ নাকি শরীর খারাপ সেটা ঠাহর করে ওঠা তার জন্য পর্বত-লঙ্ঘনের মতো দুরাতিক্রম্য চ্যালেঞ্জ। একবার ভাবে জিজ্ঞেস করবে, পরক্ষণে একপশলা অভিমান এসে ভর করে মনে। খুব যে নতুন তাও নয়, নয় নয় করে ছয় মাস পার হলো, এই বয়সী দম্পতিরা কত আমোদ-আহ্লাদ করে, কিন্তু হুরমতি সেসবের ধার ধারে না। অথচ মুখরা রমনী সে।
ব্লগে লেখালেখি করেন এমন এক ছোটবোনের সাথে গতকাল কথা হচ্ছিল, তিনি এখনকার খিচুড়ি মার্কা বাংলার প্রচার ও প্রসার নিয়ে উদ্বিগ্ন। চেষ্টা করছেন নিজে সম্পূর্ণ শুদ্ধ বাংলায় কথা বলা ও লেখা শুরু করবেন এবং ধীরে ধীরে অন্যদেরও উদ্বুদ্ধ করবেন। আমি উনার উদ্দেশ্যকে শ্রদ্ধা করি। দেশের বাইরে থাকার কারণে আমি নিজেও এই দোষে দোষী। তবে উনার চিন্তাটা আমার ভেতরে কিছু প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। আপনাদের মতামত জানার জন্য ব্লগে
অপেক্ষা
-----------
জানালা দিয়ে যতটা দেখা যায় -
ড্রেসিং টেবিলের পাশে রাখা
একপাতা টিপের মতো
রাতের আকাশ জোড়া কিছু নক্ষত্র;
আর একটু দূরে তোমার জানালা আড়াল করে
মুঠি মুঠি শিমুল ফুল; তার ফাঁক গলে
জানালার পর্দায় নকশা করা প্রজাপতি -
অপেক্ষায় থাকি;
কখন দমকা হাওয়া এসে উড়িয়ে দেবে আড়াল, দেখা যাবে
তোমার কাঁধ বেয়ে কোমরে নামা
একটা পূর্নদৈঘ্যের রাত্রি;
আমি জানি, কাল সকালেই একটা মৃত বালক এসে
হামাক জিজ্ঞাসিবে, ভাই আমারে তাইগ্রিস নদীটা দেখিয়ে দাও
আমি তাকে একটা নীল রঙের ঘুড়ার ডিম উঁচু পাহাড় থেকে গড়িয়ে গড়িয়ে ফেটে যায়
তারপর হেঁটে যায় মানবিক সমাজে তার সিন ও সিনাওয়াত্রা দেখিয়ে বলব
আরও পিছনে হটো, ঘটে যাওয়া ঘটনার মতো
তুমি এক পালঙ শাক খেকো বালক তুমাকে মানায় না তাইগ্রিস নদীতে সাঁতার কাটা
তুমি বরঙ ঝিনাই নদীতে সাঁতার কাটো