গত কয়দিন ধরে ল্যাবে নতুন এক প্রফেসর আসছে, নাম তার নুনু গোমেজ। নুনু মিয়ার সাথে কাজ করা এক ঝামেলা, লোকটা পুরাই রোবটের মতো। বিকাল ৬টার আগে অফিস থেকে নিজেও বের হয় না অন্য কেউ বের হলে কুঁই কুঁই করে। এই লোক হার্ভার্ড থেকে পাশ করেছে তাই মনে মনে ধরে নিয়েছি ওস্তাদ লোক যাই করে আমার ভালোর জন্যই করে।
বিষাদগ্রস্ত বিষণ্নমুখ
শুণ্য চোখের দৃষ্টি ।
হাহাকার রব মুছে দেয় সব
শেষরাতে নামা বৃষ্টি ।
নিঠুর জীবন নিঠুর ধরণী
কাঁটাবেধা খালি পা ।
বৃথা আক্রোশ অসহায় রোষ
নোনা ঘামে ভেজা গা ।
কত বেদনায় অশ্রুসজল
ক্ষীণ হয়ে আঁখি দৃষ্টি
তবু যত ক্ষোভ মুছে দেয় সব
শেষরাতে নামা বৃষ্টি ।
দিগন্তপানে মিলেছে অতীত
মধুময় সব স্মৃতি ।
আজ সেই পথে একলা পথিক
পথই তার সমব্যথি ।
পিপাসা তোমার মিটবে কি আস্বাদে
সেই ভেবে ভেবে গোধূলি থিতোয় সাঁঝে
রঙিন মুখোশ ছুঁড়ে ফেলে নীল খাদে
জন্মালে ফের ক্লেদজ কুসুম মাঝে
আমার বন্ধুটি বলল, অ্যাঁ? বলিস কী! কচকচ করে খেয়ে ফেলে?
আমি বললাম, কচকচ করে তো নয়, ওনার চুকচুক করে খাওয়ার অভ্যেস!
আমার বন্ধুটি, (ধরে নেই তার নাম কামু), বেশ মুষড়ে পড়ল!
নেই সকালে রুটিন ধরা এলার্ম-ভাঙ্গা ঘুম,
নেই অযথা বাস-ধরাতে টেনশনেরই ধুম;
নেই খামাখা চিন্তাভারে মলিন মুখে হাসা,
নেই উপদেশ মুঠোফোনের ওপার থেকে আসা;
নেই অবুঝের বাক্যবান আর তীব্র কথার ঝড়,
নেই ব্যাখ্যা, বিশ্লেষণ আর বিশদ জ্ঞানের ভর;
নেই অপবাদ, আলোচন আর নিন্দাবাদের খেলা,
নেই কারো কোন 'সই'-এর খোঁজে দিন হারানোর বেলা;
নেই অনুযোগ গঞ্জনা আর দুঃখ ভোলার ভান,
নেই অবাধে দোষ খোঁজা আর মিথ্যে অভিমান;
সুন্দরবনের অন্দরেকন্দরে মা বাঘ ছানাবাঘদের বলে, ঘুমা বেটা ঘুমা, নয়তো লোচন বক্সী এসে ছবি তুলে নিয়ে যাবে!
ঘুমটা আসি আসি করছে - এই মুহূর্তটা আমার সবচেয়ে ভাল লাগে। শরীরটা আইসক্রীমের মত গলে যেতে শুরু করে। চারপাশটা মনে হয় মেঘের মত। নরম নরম। তুলো তুলো। চিন্তাগুলো - যেগুলো মাথার মধ্যে জট পাকিয়ে একটা গোলমাল পাকানোর তালে থাকে সেগুলো পর্যন্ত স্বপ্ন স্বপ্ন লাগে। একটা কুয়াঁশা এসে সবকিছু ডুবিয়ে দিয়ে যায়।
"ধুরো হালার, আগেই বলছিলাম এইসব করে কোনো লাভ হবেনা, কাজের সময় দেখবা একটারেও পাওয়া যাবেনা, এখন বুঝো!!"
২০০০ সালের গ্রীষ্ম, ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে, দুপুর ১২ টা। প্রবল ঝমঝম বৃষ্টিতে, আমরা আশ্রয় নিয়েছি পাশের মেডিক্যাল গেটের যাত্রী ছাউনিতে। আকাশ কালো আর মেঘে ঢাকা, আমাদের ৪/৫ জনের মুখও আকাশের মতই। আমরা এসেছি আমরণ অনশনে বসতে।
হাঁটতে হাঁটতে এগিয়ে যাই, দেখি নারকেল গাছের সারি। কান্ড বেয়ে গোলমরিচের লতা উঠেছে। বৃষ্টির কণারা লেগে আছে লতার গায়ে আর পাতাগুলোর উপরে। রোদ্দুর পড়ে ঝিকিয়ে উঠছে কেমন! ভিজা হাওয়ায় নারকেল গাছগুলো মস্ত মস্ত পাতা নাড়িয়ে খুব আহ্লাদ করছে। ঠিক যেমন বলে দিয়েছিলো প্রীতি।
ছোট্টো হাসি শুনে চমকে তাকাই, দেখি পাশের জঙ্গল থেকে প্রণতি বেরিয়ে আসছে, হাতে নীল রঙের ফুল। আমি বললাম, "আনন্দপুরে যাবে?"