সচলায়তনের নীতিমালা ভঙ্গের জন্য আপনার প্রবেশাধিকার সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। আপনি সচলায়তনের নীতিমালা মেনে চলবেন এই মর্মে পনের দিন পর আপনার এক্সেস প্রদান করা যেতে পারে। দ্বিতীয়বার সচলায়তনের নীতিমালা ভঙ্গ করলে আপনার প্রবেশাধিকার চিরদিনের জন্য বন্ধ হতে পারে।
আপনার সহযোগীতার জন্য ধন্যবাদ।
যে সময়ের কথা বলছি তখন পণ্ডিত মশাইদের সে-কী হাঁক-ডাক!
[ছবি কৃতজ্ঞতা হাল্টন সংগ্রহশালা]
কুলদা রায়
এমএমআর জালাল
১৮৯৮ সালের ৩ আগস্ট সপরিবারে রবীন্দ্রনাথ শিলাইদহে বাস করতে আসেন। রথীন্দ্রনাথ লিখেছেন, শিলাইদহে আমরা যে পরিবেশের মধ্যে বাস করতে লাগলাম, কলকাতার পারিবারিক ও সামাজিক জীবনধারা থেকে তা সম্পুর্ণ বিপরীত। আমাদের বাড়িটা খোলা মাঠের মধ্যে, খরশেদপুর গ্রাম, কাছাড়ি বাড়ি বা শিলাইদহের ঘাট থেকে খানিকটা তফাতে। বাবা মা ও আমরা পাঁচ ভাইবোন থাকি।
(একটা উকুন পেটের ডাক্তারের কাছে গেল কোঁকাতে কোঁকাতে। )
ডাক্তার: নির্ঘাৎ ইফতারে ভাজাপোড়া খেয়েছেন। দাঁড়ান ঔষুধ লিখে দিচ্ছি। সকাল থেকে কয়বার পাতলা পায়খানা হয়েছে?
উকুন: গতকাল সন্ধ্যা থেকে আর পাতলা হচ্ছে না। নরমাল।
ডাক্তার: তাহলে তো ভাল হয়ে গেছেন। আমার কাছে আসলেন কেন? যান একটু আরাম করলে ঠিক হয়ে যাবে।
উকুন: না না। এমন ঔষুধ দেন যেন এটা আরো কিছুদিন থাকে।
ডাক্তার: মানে কি? ফাজলামি করেন?
১১ ফেব্রুয়ারী, ১৯৯০, রবিবার, বিকেল তিনটে- দক্ষিণ আফ্রিকার রক্তবর্ণ ধূলোময় মাঠে রাগবী অনুশীলনে মত্ত একদল শ্বেতাঙ্গ কিশোর, রাস্তার অন্য পারে কাটাতারের বেড়া ঘেরা মাঠে তুমুল হৈ হট্টগোলে ফুটবল খেলায় নিবিষ্ট সমবয়সী একদল কৃষ্ণাঙ্গ কিশোর, তখনকার অভিশপ্ত রাজনৈতিক সামাজিক ব্যবস্থার এক প্রতীক এই ভিন্ন গাত্রবর্ণের কোমলমতি কিশোরদের জন্যও আলাদা আলাদা খেলা, খেলার মাঠ ও কাটাতারের ব্যবস্থা।
মিশরের শ্বেতমরুতে যাওয়ার পথে আমার ডিউন-ব্যাশিং এর সাথে পরিচয়। ফোর-হুইলারে চেপে বুনো বাইসনের মত বালিয়াড়িগুলিকে চার্জ করা - আবার তার মাথায় চড়ে প্রায় শুন্যে ঝাপ দেয়ার মত দুরন্ত গতিতে নীচে নেমে আসার মধ্যে যে এ্যাড্রিনালিনের তুফান আর অনির্বচনীয় ইউফোরিয়া সঞ্চিত থাকে.....
স্যার, আপনাকে নিয়ে লিখবনা ভেবেছিলাম। সবাই তো লিখছে, নতুন করে আর কী লিখব? আপনার জন্যে ভালবাসা ছিল, শ্রদ্ধা ছিল, আপনার সহজ ভাষার যাদুকরী ক্ষমতায় মুগ্ধতা ছিল। আর এসব ছিল বলেই, আপনার প্রতি অনেক অভিযোগও ছিল, আক্ষেপ ছিল, মনে মনে অনেক দাবী ছিল। আপনি মারা গেলেন, এত আগে হয়ত না গেলেও চলত, হয়ত আমাদের আরও কিছু দিতে পারতেন, কে জানে!