এক
সময়টা আজ থেকে আরো ১৮/২০ বছর আগের। যে যুগে ছিলো না ইন্টারনেট, ছিলো না মোবাইল, বা ডিশ (অন্যদের হয়তোবা ছিলো, কিন্তু আমাদের ছিলো না)। বিনোদনের একমাত্র মাধ্যম ছিলো বিটিভি। হয়তোবা ক্লাস ৩/৪ এ পড়ি। গতকাল মাইকেল জ্যাকসনের নাক ভেঙে গেছে, এই খবর পরের দিন পেপার হাতে না আসা পর্যন্ত জানার উপায় অন্তত ১০/১২ বছর বয়সের সেই আমার ছিলো না। সেই যুগের কথা বলছি।
১
অ্যালার্মের শব্দে ঘুম ভেঙ্গে দেখি অন্তু ক্যালকুলেটরে কি জানি করছে। অ্যালার্ম ঘড়িটা ওরই। ঘুম থেকে ওঠার কথাও ওর। অ্যালার্ম বন্ধ করার কথাও ওর। কিন্তু,ওতো জেগেই আছে। অ্যালার্মটা বন্ধ করছে না কেন? সকালবেলার আরামের ঘুমটার বারোটা বেজে গেল। ডাক দিলাম ওকে।
কি রে? অ্যালার্মটা বন্ধ করছিস না কেন?
ক্যালকুলেটর ছেড়ে আমার দিকে তাকাল অন্তু। কেমন যেন শূন্য দৃষ্টি চোখে।
জীবন কি থামে কখনও
অস্তাচলের পথে?
প্রাণোৎসবে উচ্ছল,
বহুমাত্রায় বর্ণিল জীবন কি থামতে পারে কখনও!
যেমন থামেনি ৫২, ৭১, ৯০ এ।
মানুষ যখন অমানুষে পরিণত হয়,
মরণকামড় দেয় হিংস্র শ্বাপদের মত
জীবন এগিয়ে চলে তখনো।
পায়ে না পারলে হাতে,
হাত অচল হলে গড়িয়ে গড়িয়ে
সুমহান কিছুকে ছোবার আশায়,
অজানাকে জানার আশায়,
কখনো স্রেফ হতাশাগ্রস্ত ভাবেই- এগিয়ে চলে।
জীবনের সার্থকতা কোথায়?
[justify]
“সুজলা সুফলা শস্য শ্যামলা আমাদের এই দেশ ওশিয়ানিয়া” - এই বলে শুরু হয় ‘নাইনটিন এইটি ফোর’ মুভিটা। কণ্ঠ ভেসে আসতে থাকে স্ক্রিন থেকে। ‘সত্য মন্ত্রণালয়ের’ কর্মীদের দেখানো হচ্ছে সরকারী প্রচারণামূলক ভিডিও। দেখানো হচ্ছে দেশের শৈর্য্য, বীর্য, সংগ্রামের কাহিনী। ওশিয়ানিয়া যুদ্ধে লিপ্ত। বিশ্বযুদ্ধের পরে সমগ্র পৃথিবী ভাগ হয়ে গেছে তিন মহারাষ্ট্রে - ওশিয়ানিয়া, ইউরেশিয়া আর পূর্বেশিয়ায়। পৃথিবীর প্রায় পুরোটা ভাগ-বাটোয়ারা হয়ে গেছে, আফ্রিকা আর ভারত বাদে। ওই দুই অঞ্চল নিয়ে তিন মহারাষ্ট্রের চলছে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ।
এক.
কিছুদিন পরপর একটু আধটু ঘুরে ফিরে না ফেলে আমাদের শরীর এবং মনে ক্লান্তির ছাপ পড়ে; বহুদিন ধরেই আমরা এই রোগে আক্রান্ত। অনেকদিন হয়ে গেল আমরা বিরিশিরি ঘুরে এসেছি তাই রোগের তীব্রতা বড্ড বেড়ে গিয়েছিল তাই দাদা প্রেসক্রিপশন দিলেন ট্যুরে যেতে হবে। কি আর করা! রোগ তো সারাতেই হবে! তাই দাদার প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী চলার সিদ্ধান্ত নিলাম।
অ.
বিজ্ঞানভিত্তিক কল্পকাহিনীগুলোতে তো হরহামেশাই মানুষ এক গ্রহ থেকে অন্য গ্রহে যাতায়াত করে, আবার স্টিভেন স্পিলবার্গের চলচ্চিত্রে নতুন গ্রহে মনুষ্য বসতি স্থাপন করার গল্প দেখে চোখ বড় বড় হয়ে যায় আমাদের সবারই। পৃথিবীর বাইরে আমাদের সৌরজগত এর অন্যান্য গ্রহ নিয়ে আমাদের আজন্ম আগ্রহ। এমন কেউ নেই যার জীবনের কিছুটা সময় আকাশের দিকে তাকিয়ে তারা দেখে কাটেনি। কল্পনার পাখা মেলে আমরা ওই অসীম শূন্যতার দিকে তাকিয়ে কতো জ
আমার মৌসুমি ফল আস্বাদনের চাহিদা আর সামর্থ্যের লেখচিত্র যখন দুই মেরুর দিকে ঊর্ধ্বশ্বাসে যাত্রা শুরু করেছে তখন তাদেরকে একটি বিন্দুতে ছেদ করানোর মহান ব্রত নিয়ে হাজির হল বন্ধু ফাহিম, যার পিতা-হুজুর দিনাজপুরের বীরগঞ্জ উপজেলার কারবুরিডাঙ্গা (বা এর কাছাকাছি কোন নাম হবে) গ্রামের মস্ত এক ভূস্বামী। প্রায় সব মৌসুমি ফলই রয়েছে তাঁর অধিকারে যার মধ্যে লিচু বাগানই আছে ২০ বিঘার উপরে। সেই বাগানে সবান্ধব যাওয়ার
একসময় আমার বদ্ধমূল ধারণা ছিলো বাবার সাথে ছেলেদের কোন আবেগপূর্ণ সম্পর্ক থাকতে পারে না। ভাবতাম গৃহ যদি হ্য় একটা রাজ্য, বাবার ভুমিকা সেখানে কখনো শাসনকর্তার, আর কখনো বা কোতোয়ালের। আর সন্তানেরা সেখানে যখন তখন শুধুই অপরাধী। কেবল পান থেকে চুন খসার অপেক্ষা।