দুদিন আগে ইন্টারনেটে ‘প্রথম আলো’র একটা খবরের শিরোনাম দেখে ঠোঁটে মুচকি হাসি খেলে গেল,
“রোহিঙ্গাদের জন্য ধর্মভিত্তিক দলের বিক্ষোভ”।
বিক্ষিপ্ত কবি-তা (তালগোল)
-----------------------------------
(১)
একদিন রকে বসে বেজে ওঠে ঠোঁটের শিস!
হৃদয় আর এখানকার দূরত্ব শুধুই কি শব্দ নয়?
(২)
একটি কবিতার জন্যে সে কি দীর্ঘ প্রতিক্ষা,
আমি বসে থাকি অনন্তকাল আঙ্গুলে কলম চেপে
একটি রূপকও ধরা পড়েনি স্বর্গ ভ্রমন শেষে!
সাদা পাতা
কবিতার খাতা
অনেক সয়েছে রাতুল।
আজ একটা হেস্তনেস্ত না করলেই নয়।
ছোট বলে কি তার মান-ইজ্জত কিছু নেই নাকি? বিশেষ করে পাশের বাসার রাসেলের সামনেই কথাটা বলতে হবে কেন? এত বড় হয়েছে মা-টা, কিন্তু এইটুকু বুদ্ধি নেই? সেই কখন থেকে সে গাল ফুলিয়ে বসে আছে, একবার বলতেও আসলো না যে রাতুল সোনার মুখটা ভার কেন? এমন তো না যে পরের মা। একেবারে নিজের মা। সে-ও যদি এমন করে তাহলে আর রইল বাকী কী?
আচ্ছা বাবা, তুমি না বাবা মুক্তিযোদ্ধা ছিলে?
একাত্তরে যুদ্ধ করলে বন্ধুরা সব মিলে!
তোমার বন্ধু শহিদ হলো, বুলেটবিদ্ধ তুমি
রক্ত দিয়ে করলে স্বাধীন প্রিয় স্বদেশভূমি।
তোমার খোঁজে রাজাকাররা হামলা করলো গ্রামে
ঘরবাড়ি সব পুড়িয়ে দিলো তোমায় খোঁজার নামে!
ফুপিটাকে তুলেই দিলো আর্মিগুলোর হাতে
আত্মহত্যা করলো ফুপি দুঃসহ সেই রাতে।
তোমার বোনের সম্ভ্রম আর অশ্রু-প্রাণের দামে
ইদানিং বাজেটে সারপ্রাইস কম থাকে। জনমানুষের অনুভূতিতে ধাক্কা লাগবে এমন কোন প্রস্তাব বাজেটের সাধারনত রাখেন না অর্থমন্ত্রিরা। কারন এই সময়টাতে আমাদের অর্থনীতি বিমূখ মিড়িয়া কিছুটা হলেও অথনীতি বুঝার চেষ্টা করেন।
"শিক্ষা' একটি স্বেচ্ছাসেবামূলক উদ্যোগ।
গ্রাম এবং মফস্বলের স্কুল কলেজগুলোর স্বল্পসুবিধাপ্রাপ্ত ছেলেমেয়েদের কাছে প্রচলিত শিক্ষা কার্যক্রমকে আরো সহজবোধ্য ও আকর্ষণীয় করে তোলাই আমাদের প্রধান লক্ষ্য। পাশাপাশি গ্রামের বা মফস্বলের তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে থাকা একজন স্টুডেন্টকে মেইনস্ট্রিমের একটা স্টুডেন্ট যেসব সুযোগ সুবিধা পায় সেগুলোর সাথে পরিচিত করে তোলাও আমাদের অন্যতম লক্ষ্য।
বসেছিলাম এক খানা এসো নিজে করি লিখতে, কিভাবে প্রেম করবেন/ How to Make Halal love নামে। পশ্চিমারা বড়ই অসভ্য জাতি। আমাদের দেশে প্রেম করা বা ভালোবাসা করা মানে পার্কে গিয়ে চিনে বাদাম খাওয়া হলেও পশ্চিমাদের কাছে Making Love কথাটির মানে বড্ড ইয়ে। তাই শিরোনামের ইংরেজি করতে গিয়ে মনে হল Make Love এর বদলে Make Halal Love বসালে লোকে হয়তো বুঝবে অসভ্য কিছু শিখাতে বসিনি এখানে। শতকরা একশ ভাগ বিশুদ্ধ প্রেমের
ঝাকানাকা বিরসবদনে বললেন, "কার্টুন ছবি চলার সময় আপনি কেন আসেন বলেন তো? আরেকটু পরে বা আরেকটু আগে আসেন না কেন?"
কিংকু চৌধারি গোমড়া মুখে বললেন, "স্যার আপনি সারাদিনই হয় ছায়াছন্দ নয় থাণ্ডার ক্যাটস আর না হলে খবর দেখতে থাকেন। যখনই আসি তখনই তো ধমক দেন। তাহলে ক্যাম্নেকী?"
ঝাকানাকা বললেন, "হুঁহ, বললেই হলো! যাকগে, আবার কী গণ্ডগোল বাঁধিয়েছেন আপনারা?"
শাজাহান বাদশার ফ্যামিলিটি ছিল একটি আস্ত চিড়িয়াখানা। তার সাত ছেলেমেয়ের কেউ বাঘ তো কেউ সিঙ্গি, কেউ ধুর্ত শিয়াল তো কেউ মাথামোটা বেবুন। এক ভাই গান গায় তো আরেক ভাই কুরান মুখস্ত করে, এক বোন বই লেখে তো এক বোন সারাদিন আয়নার সামনে বসে কপালের টিপ সোজা করে। এক ভাই লালপানি টানতে টানতে ফার্সি বয়েত পড়ে তো আরেক ভাই কুস্তি লড়ে। ব্যাপক হুলস্থুল কান্ড। প্রতিটি বৃহৎ পরিবারের মতন সেখানে দলাদলিও ছিল, যাকে বলে রাজকীয় দলাদলি। বড়ভাইবোন দারা আর জাহানারা এক টীম, পিতার আশির্বাদধন্য। পরে অবশ্য অসুস্থ হওয়ার পরে দারার ব্যবহারে শাজাহান কিছুটা সন্দিহান হন, তবে কন্যা জাহানারাকে আমৃত্যু অত্যাধিক স্নেহ করতেন সম্রাট। পাঠক “অত্যাধিক” শব্দটি খেয়াল করবেন। অনেকেই এর বিশেষ অর্থ করেন যা কখনোই প্রমাণিত হয়নি।
টীম নম্বর দুই তৃতীয় পুত্র আওরঙ্গজেব আর দ্বিতীয় কন্যা রওশনআরা। মৌলবাদী আওরঙ্গজেবের চক্ষের বিষ দারাশুকো, আর কুটিল রওশনআরার টার্গেট বড়বোন জাহানারা। আমে দুধে হল মিল। রওশনআরা ছিলেন হারেমে আওরঙ্গজেবের স্পাই। দ্বিতীয় পুত্র শা সুজা একটি প্রকৃত ইডিয়ট, মদ খেয়ে গদির স্বপ্ন দেখা ছাড়া তিনি তেমন কিছু করতেন না। এই রাজপুত্রের পারস্যের প্রতি বিশেষ আকর্ষন ছিল, শিয়াদের তিনি খুব ভালো পেতেন। আওরঙ্গজেব পরে ছড়িয়েছিলেন যে সুজা শিয়া হয়ে গিয়েছে, কিন্তু তা সত্য নয়। আওরঙ্গজেব সত্য বলতেন অল্পই।