ছোটবেলা থেকেই আমি ছিলাম বিরাট বেকুব কিসিমের আর আমার বেকুবি দিনদিন বেড়েই যাচ্ছে এখনো। আমার চারপাশের বন্ধুরা সব তখন চ্যাটাং চ্যাটাং কথা বলে, কথা মাটিতে পড়তে দেয়না। বড় হয়ে কি হবা এই জাতীয় প্রশ্ন দারুণ কনফিডেন্ট নিয়ে ঠাশ ঠাশ বলে দেয়, আমাকে জিগ্যেস করলে আমি একটা হাসি দেয়ার চেষ্টা করি কিন্তু মুখের একটা অবস্থা হত যেটা আমার ধারণা অনেকক্ষণ কেউ বাথরুম আটকে রাখলে যেরকম হয় অনেকটা সেরকম হত। কাজেই যে যা বলত মনে
এখনও দুপুরের খাবার খাওয়া হয়নি । ঘুম থেকে বিকাল ৪’টার সময় উঠলে সন্ধ্যা ৭’টায় দ্বিতীয়বার উদরপূর্তি না হওয়াটা অস্বাভাবিক না । অবশ্য যখন লিখতে বসলাম পাকস্থলী বাবাজি কে শান্ত করেই বসলাম । বৃষ্টি আসব আসব করে ইতোমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে । এখন সন্ধ্যা হলেও আমি ফিরে গেছি দুপুরবেলায়, আজ থেকে বার-তের বছর আগে ।
একটা স্বপ্ন দেখে মনটা সকাল থেকে খারাপ হয়ে আছে। বুয়েটের প্রথম দিন ক্লাসে যাচ্ছি এই দৃশ্যটা দেখলাম। সেই ঝলমলে রোদ্দুরের দিন, যে কোনো মেয়ের সাথে প্রেমে পড়ে যাবার একটা বিপুল সম্ভাবনা, ক্যাফের আড্ডা - এসব কিছু আমাকে এলোমেলো করে দিলো। ঘুম থেকে উঠে শেলের মতো বুকে বিঁধে গ্যালো যে আমি চাইলেও আর সেসব দিনগুলো ফিরে পাবো না।
আমরা যাইনি মরে আজও - তবু কেবলই দৃশ্যের জন্ম হয়:
অনেক অনেক দিন আগে ফেলে আসা কৈশোরের সবচে' মধুর স্মৃতি হলো- আকাশ কালো। প্রচন্ড শব্দে বাজ পড়ছে। বিশ্বচরাচর ঝাপসা শাদা হয়ে বৃষ্টি হচ্ছে বাইরে, আর আমি আয়রন মেইডেন এর গান শুনছি। এই স্মৃতির সাথে যোগ করা যেতে পারে আমার তৎকালীন ফেভারিট হলদে কাঁথা মুড়ি দিয়ে ঘর অন্ধকার করে শুয়ে থাকা, আর খিচুড়ি প্লাস আচার প্লাস ডিমভাজা খাওয়া। উইথ আ লার্জ ড্যাব অফ টমাটো সস
আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদকে নিয়ে গতরাত থেকেই দেশ উত্তাল।
টিআইবির একটি অনুষ্ঠানে তিনি নাকি সাংসদ আর মন্ত্রীদের নিয়ে 'আপত্তিকর' কথা বলেছেন... তাই নিয়ে প্রথমে উত্তাল হয়েছে সংসদ। রোববার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে সভাপতির দায়িত্ব পালনকারী আলী আশরাফ বলেছেন আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদকে সংসদে এসে ক্ষমা চাইতে হবে।
এরপর উত্তাল হয়েছে গোটা দেশ, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম।
সাম্প্রতিক সময়ে বিদেশী সংস্কৃতির আগ্রাসন নিয়ে ব্লগ-ফেসবুকে অনেক লেখালেখি, সমালোচনা-প্রতিসমালোচনা হচ্ছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে কারণ হিসেবে বাঙালীদের আত্নপরিচয় ও আত্নসম্মানবোধের অভাব, মিডিয়া ব্যবসায়ী এবং ভারতীয় সরকারের ষড়যন্ত্র, সরকারী অবহেলা ইত্যাদিকে দায়ী করছেন লেখকরা। কিন্তু প্রায় প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে একটি ব্যাপারকে এড়িয়ে যাচ্ছেন সবাই। সেটা হলো বাংলায় উপভোগ্য মাধ্যমের অভাব, বিশেষ করে শিশুদের জন্য।
[justify] সেদিন সকালে আলসেমি করে আর অফিস গেলাম না। বউ-এর ধাক্কাধাক্কি সহ্য করে বিছানায় পড়ে থাকলাম মটকা মেরে। তাতে লাভ যা হলো তা হচ্ছে একটা দিবাস্বপ্ন দেখে ফেললাম একদম ফাউ।
--------
দেখলাম - এক বিশাল জঙ্গল। সে জঙ্গলে অগুনতি পশু-পাখি। আর তাদের রাজা হলো এক ডোরাকাটা বাঘু। তার নাম 'পুটুর পুট'। বনের পশু-পাখিরা তার নাম অনেক সমিহ করে উচ্চারণ করে। রাজার নামের আগে অন্তত পাঁচবার মহামান্য বলা সেখানে আইন করে বাধ্যতামুলক।
সেই জঙ্গলের এক কোনে এক গাধা তার পরিবার-পরিজন নিয়ে বসবাস করে। পরিবার বলতে গাধার বউ আর তার দুই আন্ডাবাচ্চা। তো সেদিন গাধা ঘাস খেতে গিয়ে আনমেন এক ঝার বুনো বোম্বাই মরিচ খেয়ে ফেলেছে। আর ফলাফল স্বরূপ কিছুক্ষণ পর থেকেই শুরু হয়েছে তার দারুন পেটে ব্যাথা আর থেকে থেকে পাতলা হাগু। যতক্ষণ হাগু করে সে ততক্ষণ কোঁকায়। আর হাগু থামলে পেটের ব্যাথায় আর পুটুর জ্বলুনিতে মাটিতে গড়াগড়ি খায়।
কবিরাজ কাহিনি-১
শুয়ে পড়েছি যে যার বিছানায়। কিন্তু লাইট নিভাইনি তখনো। সাম্যের মাথায় চিন্তার ঝড় তখনো বয়ে যাচ্ছে, বুঝতে পারছি। আমার মাথাও থেমে নেই।
একজন মানুষের ছবি শৈশব থেকেই আমার মানসপটে খোদাই হয়ে আছে-পাতলা ধরনের মানুষটির মুখে এক চিলতে হাসি, নাকের নিচে সরু গোঁফ, মুখে বিনয়ী ভাব কিন্তু চোখ দুটো যেন আনন্দের জোয়ারে ভাসছে। মানুষটির হাত ভর্তি পুরস্কারের ট্রফি, সেগুলোর সংখ্যা এটি বেশী যে দুই হাতে আগলাতে যেন হিমসিম খাচ্ছেন তিনি। মলিন নিউজপ্রিন্টে ছাপা খবরের কাগজটি যেন প্রাণোচ্ছলতায় ভরে উঠেছে কেবল তার হাসিময় চোখ দুটোর জন্য। কে তিনি?
গগনে জমিছে মেঘ, হবে বরষা?
ল্যাবে একা বসে আছি, ছাতা ভরসা...