ব্যাঙ্গালোরের রাস্তাঘাট খুব বেশী আলাদা না। অনেক পরিচিত দৃশ্যই চোখে ধরা পড়ে যাওয়া আসার পথে। দোকানপাট, মানুষজন, শহুরে জীবনযাত্রা কীংবা কিছু পরিচিত গাছ। মিলে যায় অনেককিছুই, শুধু একটা জিনিসই বেশ বড় পার্থক্য হয়ে ফুটে ওঠে, শত শত কিশোরী থেকে মধ্যবয়স্কা নারী স্কুটি বাইক নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে শহরময়। খুব ভালো লাগে দৃশ্যগুলো, ছোট্ট বাচ্চাটাকে স্কুটির সামনে বা পিছনে বসিয়ে কোনও মা হয়ত এসেছে শপিং এ, ফেরার সময় বাচ্
আমার ছেলেটার শরীর ভালো না। জ্বর গায়ে কম্বল মুড়ি দিয়ে জুবুথুবু হয়ে শুয়ে আছে বিছানায়, ঘুমুচ্ছেনা কিছুতেই। বললো,
“বাবা একটা গল্প বলো।”
“কী গল্প শুনবি?”
“রাক্ষসের গল্প বাবা।”
নয় বছরের ছেলেরা সাধারণত রাক্ষসের গল্প শুনতে চায় না। তাদের পৃথিবী আরও অনেক বড়, তাদের গল্পগুলোও অন্য রকম।
“লালকমল আর নীলকমলের গল্পটা বলি?”
“অনেকবার শুনেছি বাবা, নুতুন একটা বলো দয়া করে”
গড়পড়তা খাটো বাঙালীর চেয়ে তিনি বেশ দীর্ঘই ছিলেন। কিন্তু দেহের দৈর্ঘ্যের চেয়ে তাঁর হৃদয়ের প্রশস্ততা ছিল আরো অনেক বেশী। তিনি বিপ্লবী ছিলেন না, কিন্তু বিদ্রোহের জ্বলন্ত আগুন ছিলেন।
উঠোনের এক কোণেই দোতলার সিঁড়ি উঠেছে । সিঁড়ির নিচের ত্রিভুজাকৃতির খোপটাতেই খড়ির দু’টো চুলো। নানির সারাটা দিন কাটতো ওখানে বসেই। সকালের নাস্তা, দুপুরের ভাত, সন্ধ্যাতেই হয়ে যেত রাতের খাবারও। ভোরে ওখানে বসেই রুটি বেলতেন আর আমরা নানিকে কেন্দ্র করে অর্ধবৃত্তাকারে বসতাম নাস্তা করতে। গরম গরম রুটি চুলো থেকে সরাসরি কাঁসার থালায়। মাথার উপর উঠোনের অনেকটা জায়গা ধরে ছেয়ে ছিলো একটা পেয়ারা গাছের শাখা-প্রশাখা। বলধরা
[justify]
সহস্র বছরের স্হির বিশ্বাসের হেজিমনিতে যে কোনো আঘাত আমরা সইতে পারিনা। সংস্কারের মিথ ভেঙে পড়ার আশঙ্কা দেখলে আমরা কেমন একাট্টা হয়ে হৈ হৈ করে উঠি। নিজে আমিষভোজী বা বিবাহের বিপক্ষের বলেই যেন বিপরীত অবস্হানের মানুষের পছন্দকে প্রশ্নবিদ্ধ করায় আমার রায় দেবার অধিকার জুটে যায়।এক্ষেত্রে কোনো ব্যক্তির একান্ত ব্যাক্তিগত যৌন আচরণের সাথে যদি আমাদের ছকবন্ধ পছন্দের ঠোকাঠুকি লাগে তবে তো হয়েই গেল!
‘আমাদের বয়স হয়েছে, খোঁজ রাখবেন’-
কত সহজে মা বলে যেতে পারলো কথাটি
আমাদের মায়েরা সেই অমোঘ বাক্যে
বিচলিত হল না, একটু হয়তো ঝরে পড়লো
সন্ধ্যার বনজ অন্ধকার শূন্যতা থেকে শেষ আলোটুকু
নিংড়ে নিয়ে আমাদের মায়েদের মুখে ছড়িয়ে দেয়
তাদের হাসি শালবনের বাতাসে সহজ ভঙ্গিতে তোলে মর্মরধ্বনি
পরস্পরের চোখে বহুদিনের গড়া সংসারকে পূর্ণ রেখে
আমাদের মায়েরা এখন
ফাল্গুনের এই বনের মত নিঝুম, নির্জন।
আলেকজান্দ্রিয়া থেকে অমর একুশ,
নালন্দা থেকে শুদ্ধস্বর,
জালুস্কি থেকে কম্বোডিয়া,
অভিজিৎ থেকে এন্ড্রোমিডা -
পুড়ে যাচ্ছে তীব্র দহনে।
দহন মূলত রূপান্তর, গ্রহণ মূলত সাময়িক পলায়ন;
যাত্রা মূলত ক্ষণস্থায়ী অবস্থানের সীমায়িত সমাকলন;
স্থির সংকল্প মূলত নির্বিকার যাত্রার মতো গতিময়।
পুড়ে যাচ্ছে জাউরাক, জিবাল আর বিশাখা;
পুড়ে যাচ্ছে চিত্রলেখা, প্রত্যুষ, প্রতীতি;