দুপুরের জলখাবার বাড়িতে সারার কারো সময় নেই এখন। অনির বাবা সকালে সাথে করে খাবার নিয়ে যায়। অনির বাবার অফিস কাছেই, এস.এস.রোড। মিনিট দশেকের রাস্তা। চাইলে বাড়িতে এসেই খেয়ে যাওয়া যায়। আগে শংকরসহ অনেক অফিসার খাবারের সময় দুপুরে বাড়িতে এসে চটজলদি খেয়ে অফিস ছুটতেন। কিন্তু নতুন ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের কানে কেউ খবরটা দিতেই বিপত্তি ঘটেছে। লাঞ্চ আওয়ার পেরোতে না পেরোতেই তিনি চেয়ারের মাথা গুনতে আসেন। মোহনা অবশ্য সকালে
চারিদিকে ঝরাপাতা। হেমন্তের শুরু। অঘ্রানের শীত অনায়াসে দাঁত বসায় মধ্যবয়সী হাড়ে। অজানা আশঙ্কার দাপট নিঃসঙ্গ মুহূর্ত জুড়ে। শীতের হৃদয়হীন হাওয়া এসে থেকে থেকে জানালা কাঁপায়। দরজা ভেঙে-চুড়ে কেড়ে নিয়ে যেতে যায় অচেনা বরফ-শীতল দেশে। ইদানীং দিন ছোট হয়ে এসেছে অনেক। কাজ সেরে ফেরার আগেই সন্ধ্যা নামে। ল্যাবরেটরি থেকে বাড়ি ফেরার অল্প খানিকটা পথ। হিমেল সন্ধ্যার অন্ধকারে সেই পথটুকু হাঁটতে হাঁটতে এক ধরণের অজানা আশঙ
I have been able to give my family a much nicer home and a much better start in life than I had foreseen before the great climb. This is what gives the greatest satisfaction; my family is my first concern and my greatest pleasure.
আমি একটা টিয়া পাখি
আকাশলীনা নিধি
টেবিলে বসে আমরা সবাই খাচ্ছি। এমন সময় আপু বলল 'কার কী হতে ইচ্ছে করে'। ভাইয়া বলল ডাক্তার। মা বলল টিচার। বাবা বলল লেখক, আপু বলল নায়িকা। আমি বললাম পাখি। সবাই আমার দিকে তাকাল। ভাইয়া বলল তুই পাখি হবি। আমি বললাম হ্যাঁ। আর কেউ কিছু বলল না।
দ্বিতীয় দিন
১
প্রাক দর্শন-----------------------
“বাবা ওটা কী ছিল?”
"কোনটা অমিয়?”
“ওই যে যেটা আমি দেখলাম”
“কী দেখেছ অমিয় সোনা”
“ওই যে যেটা চলে গেলো!”
অমিয়র তখন আড়াই বছর। সারাদিন তুরতুর করে কথা বলে। এটা সেটা, কত কথা, কত জিজ্ঞাসা! আর বলেও খুব পরিষ্কার, আধো আধো বুলি ওর মুখে শুনিনি কোন দিন। কথা শেখার সময় ছেলেটা আমার কাছে ছিলোনা। ওর যখন চোদ্দ মাস, আমার স্ত্রী একদিন বলল,
[justify]সিয়েরা নেভাডা পর্বতের গা বেয়ে এঁকে-বেঁকে চলা দু লেনের এক সরু পিচ ঢালা পথ কামড়ে ধরে ঘণ্টায় মাত্র পনের কিলোমিটার বেগে এগিয়ে চলেছে একটি পুরনো মডেলের সাদা হোন্ডা গাড়ি। গাড়িটির চালক আমি নই, তেমনটি হলে বিশ বছরের পুরনো এই গাড়িটি নিয়ে প্রায় ত্রিশ ডিগ্রী হেলে থাকা পাহাড়ি এই পথে উপরে না উঠে হয়তোবা বাঁ পাশের খ
প্রশ্নটিও সহজ, আর উত্তরও তো জানা........তবু আবার একটু চোখ বুলাই।
যদি বলি আপনার সহস্র নাম্বার পূর্বপুরুষটি সত্তর হাজার বছর আগে আফ্রিকার কোন জঙ্গলাকীর্ণ পর্বতের ঢালুতে বসে একটা আধপাকা কলা ভক্ষণ শেষে কলা ছিলকার উপর হাতের আঙুলগুলো রেখে অবাক হয়ে দেখছে –আরে এই ছিলকায়ও দেখি আমার হাতের আঙুলের সমান টুকরা! হাউ ফানি! অংক আবিষ্কারের এই ভুজুংভাজুং কেচ্ছা কি বিশ্বাস করবেন? না করলেও সমস্যা নাই। কিন্তু কল্পনাটি অসম্ভব কিছু না। প্রাগৈতিহাসিক কালের কোন আদম হয়তো ওই ভাবেই প্রথম গুনতে শিখেছিল যার অসংখ্য বিবর্তনের ফসল হিসেবে ৭০ হাজার বছর পরে আপনি কম্পিউটারে খুটখাট করার দুর্লভ সুযোগ সুলভে ভোগ করছেন।
ভারতীয় পুরাণ ঘাঁইটা ইতিহাস খুঁজতে যাওয়ার সব থিকা বড়ো ঝামেলাটা হইল এইসব পুরাণের রচয়িতা ঋষি কিংবা কবিদের অন্য কোন বিষয়ে কোন জ্ঞান আছিল আর কোন বিষয়ে আছিল না সেইটা নিশ্চিত না হইলেও একটা বিষয় পরিষ্কার যে তাগো মধ্যে বিন্দুমাত্র সময়-সংখ্যা কিংবা ইতিহাস জ্ঞানের কোনো অস্তিত্ব আছিল না; অথবা অদরকারি মনে কইরা তারা এই তিনটা জিনিসের লগে বাচ্চাপোলাপানের মতো খেলানেলা কইরা গেছেন। সময় মাপতে গিয়া তারা ষাইট বচ্ছর আর