এক.লা শ্যাপেল স্টেশনের বাইরে কনকনে ঠান্ডায় শিশু পুত্রকে বুকে জড়িয়ে তুই অপেক্ষায় দাড়িয়ে ছিলি ঘন্টা দুয়েক।রওনা দিয়েছিলি খুউব ভোরে,সেই কোন এক লিওন শহর থেকে।(আর আমি বেকুবটা জানতাম যে ফ্রান্স মানেই প্যারিস শহর,এর বাইরে আস্ত একটা দেশ আছে সেটা কি আর জানা ছিল!)হু হু ঠান্ডা বাতাসের তোড় ঠেলে যখন এগিয়ে এলি, বুঝিনি মাঝখানে কেটে গেছে দ--শ টি বছর। যে নগর ছেড়ে আসি আগের দিন,সেটা যে অনেকখানি বদলে যায় পরদিন ভোরে; তা কি আর জানা নেই আমার,বেশ জানি তবু মেনে নিতে পারি
একটু একটু করে খবরটা ছড়ালো। প্রথমে একজন দুইজন জানলো - তারপর আশেপাশের কয়েক গ্রাম। খবরের চমকে যতটা না শংকা ছিল তারচেয়ে বেশী ছিল গোপনীয়তার চেষ্টা। কেউ কেউ না বুঝে এড়িয়ে গেলেও মোটামুটি সবাই জানলো মুন্সী বাড়ীর বড় ছেলে মাসুদ মুন্সীর খারাপ অসুখ হয়েছে। এই খারাপ অসুখটা ঐ তল্লাটের কারো কোন দিন হয়নি। একবার যখন হলো - তখন ভয়টা একেবারে উড়িয়ে দেয়া যায় না, তাই আগেরদিনের মুরুবি্বদের কথামতো অসুখটার নাম মুখে নেয়া থেকেও বিরত থাকলো কেউ কেউ। তবে সবাই দু:খ পেলো এমন পরি
তাঁদের একজন সত্যগোপন করেছিলেন
অপরজন মিথ্যে বলেছিলেন ;
আদতে এ না ছিলো বন্দীশালা কোন,
না ছিলো কাব্য ময় সুরেলা বাসর ।
দুজনই আসলে দলে টানতে চেয়েছিলেন ।
বোকা হাসান, সত্যটা জানলে শেকল পড়ার পর!
29 নভেম্বর ।
প্রথম প্রহর ।
এই পৃথিবী গুনাহয় ডুবে আছে। আল্লাহর আইন নাই। ধর্মের শক্তি নাই। জাহেলিয়াত চলছে এখানে। তার চেয়ে তার নামে শহীদ হয়ে বেহেশতে যাওয়া ভালো। এই দুই দিনের দুনিয়ায় কয়েকটা দিন ভালো থাকার চেয়ে চিরকালের আরাম-আয়েশ হচ্ছে বড়। তারা, মানে ছবির এরা, সে পথেই পা বাড়ালেন। ইবাদত-বন্দেগির উর্ধেব চলে যাচ্ছেন তারা। তারা কি ডাইরেক্ট বেহেশতে যাবেন?নাকি কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে?কেয়ামত পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হলে তো খারাপ কথা। তাহলে কেয়ামত যত তাড়াতাড়ি হয় তত ভালো। হুজুররা ক