অকাল প্রয়াত কবি কিশওয়ার ইবনে দিলওয়ার'র আরেকটি কবিতা
মায়ার ঘর
দেহের বল্কল ছিঁড়ে
নিঃশ্বাস নিলে
সনাতন ছায়ায় ঘুমাই
তার আগে মায়ার ঘর
সাপ যেন পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে
আমাকে জড়ায়
মৃত্যুর চেয়ে সুন্দর তৃষ্ণায়।
1.
জলের সীমানায় আকাশ নদী ছোঁয়া
জলের মানুষ অপু কখনই তা ছুঁতে পারেনা।
একটা জীবন অন্যের ইচ্ছায় কাটিয়ে দিলাম।
কেউ হাত ধরে নিয়ে গিয়ে
উদ্যানে দেখালো ফুল;
কেউ তুলে দিল ভুল ট্রেনে।
কারো আকাঙ্খার অগি্ন পোড়ালো সমূলে,
তুমুল বৃষ্টিতে কেউ ফেলে দিলো ঠেলে।
একটা জীবন অন্যের ইচ্ছায় কাটিয়ে দিলাম।
কারো ঘৃণায় কখনো
প্রতিশোধে বে'চে থাকলাম।
কেউ ধার করে এনে দিলো চা'দ,
কারো নখে ছিন্ন ভিন্ন ঘুম,
সারথীর হাতে তুলে দিয়ে জীবনের মানে
রথের চাকায় পিষ্ট হলো অনিচ্ছুক দাসের শরীর।
কেউ হাত ধরেছিলো
কেউ কেড়ে নিয়েছি
মাস কয়েক আগে, 'সামহোয়ার ইন' এ আমি একটা গল্প পোষ্ট করেছিলাম ।
[লিংক=যঃঃঢ়://িি.িংড়সবযিবৎবরহনষড়ম.হবঃ/ঐধংধহথগঁৎংযবফনষড়ম/ঢ়ড়ংঃ/16473] ওমশান্তি-- আসসালাম [/লিংক]
সে গল্পে একজন শহীদ মুক্তিযোদ্ধার চরিত্র ছিল । জগৎজ্যোতি । যদি ও এ নামে সত্যিই একজন শহীদ যোদ্ধা ছিলেন, তবু গল্পের জগৎজ্যোতি ছিলেন অন্য কেউ ।
আমার শৈশব কেটেছে যে অঞ্চলে, সে সময়টাতে ('81-'85) তখনো জগৎজ্যোতি'র বীরত্ব ও আত্নত্যাগ মানুষের মুখে মুখে ফি রতো রুপকথার
কিশওয়ার ইবনে দিলওয়ার, আশির দশকের কবি। বামুন সময়ের এক ধ্যানি বটবৃক্ষ। তিনি চলে গেছেন আজ ( 8 ডিসেম্বর ) বিকেলে জঞ্জালের পৃথিবী ছেড়ে।
কিশওয়ারের একটি কবিতা
মহা প্রশান্তিতে
স্বপ্নে দেখি শুয়ে আছি
কাফন শয্যায়
কেউ নেই , কিছু নেই
এক অনন্ত নীরবতার ভেতর
নিশ্চল পড়ে আছি ।
এমন মুহুর্তে এলো ঝড়
কোটি কোটি জ্যোতিস্কের ঝড়
আমি মিশে গেছি সেই ঝড়ে
সমাহিত হয়ে গেছি মহা প্রশান্তিতে ,
আমাকে পারে না আর