দোষ স্বীকার না করাটা আমাদের বাঙাল সমাজে একটা বিশেষ স্টাইল। বিশেষত: নেতারা কখনও প্রকাশ্যে দোষ স্বীকার করেন না। হতে পারে এই স্বীকার থেকে আরো বেশি বিপদে পড়ে যাওয়ার ভয় তারা পান।
এই জায়গায় ব্রিটিশদের সাথে আমাদের অনেক মিল। গবেষণা না করেই বলা যায় প্রাক্তন প্রভুদের সাথে দু'শ বছর বসবাসেই আমরা এটা অর্জন করেছি। আমেরিকান নেতারা যেখানে সহজেই নিজের দোষ স্বীকার করেন, ক্ষমা চান, ব্রিটিশরা পারতপক্ষে তা করে না।
প্রথম উদাহরণ হতে পারেন লন্ডনের মেয়র কেন লিভিংস
ঘটনাটা বেশ কয়েক বছর আগের- উদিচির বোমাবিস্ফোরনের আগে বা পরে। আফগানিস্তানে মোল্লা ওমরের তালেবান দল ক্ষমতায়। অলস আলোচনা শুরু হয়েছিলো পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বুদ্ধ মুর্তি ধ্বংসকরা নিয়ে। মুর্তিপুজা নিষিদ্ধ কিন্তু পরধর্মপালনে সম্পূর্ন স্বাধীনতাও ইসলামের একটা ধারা। যদি অন্য ধর্মের প্রতি সামান্য শ্রদ্ধাবোধ থাকে তাহলে বিধর্মীদের রক্তের লালসা থাকতে পারে না। আর তারচেয়ে বেশী গুরূত্বপূর্ন বিষয় তার পূরাতাত্তি্বক মূল্য। সভ্যতার অগ্রগতির এক একটা সোপান মুর্তিগুলো। নির্বোধের মতো নিজের দেশের ঐতিহ্য ধ্বংস করা নিজের সংস্কৃতির প্রতি তীব্র বিরাগ কোন উন্নত মননশীলতার বিষয় না।
আসলে এই উগ্র ইসলামিক রাজনীতি কতটুকু গ্রহনযোগ্য। দুইটা বহুল ব্যবহার করা হাদিস- তোমাদের মধ্যে
পাখিটার উড়াল হলো নীলাকাশে
হাওয়ায় ভেসে দেশে দেশে
কতো দিন রাত্রিগেলো, পথের মাঝে পথ হারালো পাখিটার আহার হলো, নিদ্রা হলো,
সঙ্গী হলো ভালবেসে
তার সময় গেলো রকম সকম ভিন্ন উড়ালে
অনেক ঝড় বৃষ্টি গেলো, অচিন শাখা ছায়া দিল বুকের ভেতর তৃষঞা ছিল শুকিয়ে গেলো
রৌদ্রে পুড়ে অবশেষে
তার জীবন গেলো একলা ডানায় তালে বেতালে
এতো উড়াল কোথাও নিলো না
তার ক্লান্ত ডানা স্থিতি পেলো না।।
ব্রিটিশরা বাণিজ্য করতে গিয়ে ধীরে ধীরে শাসনভারই তুলে নিল বাংলার। দু'শ বছর তারা সেখানে চালিয়েছে শোষণ। এর মধ্যে একশ' বছর চলেছে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসন। ভাবলে মাথার চুল ছিঁড়তে ইচ্ছে করে যে একটি কোমপানি শাসন করলো আমার দেশ এতবছর ধরে। আমাদের পূর্বপুরুষরা কতটা নপুংসক ছিলেন তবে। কঠিন হয়ে গেল কথাটা। রস করেই বলি, কতটা বাঙাল ছিল তারা।
বাঙাল এখনও রয়ে গেছে তারা। লন্ডনের টাওয়ার হ্যামলেটস বাঙালি সংখ্যাগরিষ্ঠ এলাকা। অনেক আগেই এখানে বাঙালি এমপি হওয়া উচিত ছ
বল্গার হাবিব মহাজন জানিয়ে গেছেন যাচ্ছেন তিনি সেন্টমার্টিন দ্্বীপে। বুঝা গেল গরু বা ছাগল কোনো দলেই তিনি নেই এবার। কোরবানির ঈদের বনেধর সুবাদে মৌজ করতে ছুটেছেন প্রবাল দ্্বীপে। সেন্টমার্টিন দ্্বীপের অবশ্য দেশি নাম নারিকেল জিঞ্জিরা।
আমরাও গিয়েছিলাম গতবছর দলে বলে। আর সবার জীবনের সেরা ভ্রমণের তালিকায় আজীবনের জন্য গাঁথা হয়ে গেছে সেই ভ্রমণ। এদের মধ্যে অন্তত: একজনের সাথে আর কখনই দেখা হবে না। ইউকে'র গিলডফোর্ডের বাড়িতে নীরবে মারা গেছেন মামা। একাই থাকতেন
গরুর হাট নিয়ে ঝগড়া-ফ্যাসাদ কম হয় না বাংলাদেশে। যারা গরুর হাটে যান না তারাও অনেকে খবর পান এসব ঘটনার।
রস করে রম্যলেখকরা বলেন ছিনতাইকারী আর দু-নম্বরির জন্যও তো ঈদ আসে। তাদেরও তো দারা-পুত্র-পরিবার আছে। তাদেরকেতো ঈদ করতে হয়।
তবে গরুর হাটের গরুদের ভিড় দেখে আমার মনে হচ্ছিল অন্যকথা। নতুন যেসব মানুষ-পশুরা বেহেশতের লোভে বোমা ফাটাচ্ছে তারা যদি নিজেদেরকে নিজেই কোরবানি দিত তবে নিরীহ কিছু প্রাণীর প্রাণরক্ষা হত। আর কিছু পশুর প্রাণের বিনিময়ে আমরা নিরাপদ স
প্রচন্ড ঠান্ডা ও মঙ্গায় মানুষের এখন ত্রাহি অবস্থা উত্তরবঙ্গে। না খেয়ে আধা-পেট খেয়ে দিন কাটাচ্ছে মানুষ। অন্যদিকে দেশের আরেক অংশের মধ্যে চলছে ঈদের নামে প্রতিযোগিতার মচ্ছব। পত্রিকার খবর বেরিয়েছি জনৈক এমপি 120টি গরু কোরবানি দিচ্ছেন।
এদিকে বোমা ফাটাচ্ছে হবু শহীদেরা। নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হচ্ছে প্রতিষ্ঠিত সরকারী নিরাপত্তা বাহিনীগুলো। শহরগুলোতেই ঘাপটি মেরে লুকিয়ে আছে বোমাবাজ নেতারা। অন্যদিকে চাঁদাবাজ আর ছিনতাইকারীর হাত থেকে নিরাপদ নয় গরুক্রেতা এমনকি
সব পাঠক ও ব্লগারদেরকে এক মহান আহবান জানানোর জন্য এই লেখা। বিষয়টি আমাদের ভাষার ইংলিশ নাম নিয়ে।
বাংলাভাষাকে ইংলিশে বেঙ্গলি বলে চিহ্নিত করা হয়। অথবা বলা যায় ভুল বানানে লেখা হয়। কিন্তু এতো আর আমাদের জাতীয়তাবাদের মত বিতর্কিত করে তোলা কোনো বিষয় নয়। সবাই জানেন আমাদের ভাষার নাম বাংলা। সুতরাং ইংলিশেও একে বাংলা লেখা উচিত। এবং কাজটি করতে হবে আমাদের। এই আবেদনটি রাখছি আপনাদের কাছে। এখন থেকে দয়া করে ভাষার নামটি ইংলিশেও বাংলা লিখুন। আমরা বিভিন্ন বিদেশী দূতা
উৎসব আর আনন্দে আপনাদের জীবন ভরে থাক। সময় হোক স্বপ্নপরীর ছোঁয়ায় স্বপি্নল।
কিছু জিজ্ঞাসা ছিলো দেশের শিক্ষিত জনতার কাছে। বিশেষত আমাদের জন্ম এমন এক সময়ে যখন বাংলাদেশ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত তাই সত্যি ইতিহাস ঘটতে দেখার সুযোগ হয় নি। ভাষা আন্দোলন এর ইতিহাস জানি না। জানতে ইচ্ছা করে কিন্তু সুযোগ নেই। এতবড় একটা অসাম্প্রদায়িক আন্দোলন হলো যার ভিত্তি সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য সংরক্ষন । কৃষ্টি সংস্কৃতি রক্ষার জন্যে এত বড় একটা আন্দোলন হলো দেশজুড়ে অথচ তার উপর ভিত্তি করে তেমন রচনা নেই। রাজনৈতিক আর সাধারন মানুষের চেতনার পরিবর্তনের ধাপগুলো বোঝার উপায় নেই। প্রায় সমস্ত দেশেই রাষ্ট্রভাষার দাবিতে সমাবেশ হলো-দেয়াল লিখন লিফলেট হলো কিন্তু কারা সংগঠিতকরলো তার জবাব নেই।
1948 থেকে 1952 পর্যন্ত বিভিন্ন আঞ্চলিক দৈনিক ঘাটলেই জানা যেত কোথায় কিভাবে