ডাগদর সাব নির্বাচনে খাড়াইয়া জয়লাভ করিয়াছেন।
তাঁহার দলের নাম বান্দরিক শক্তি। যখন দলের আকিকা করিয়াছিলেন, সকলেই খাবি খাইয়াছিলো। বান্দরিক শক্তি! তবে কি ডাগদর সাব গোপনে বান্দরের তেল সেবন করিয়া বিশেষ শক্তি লভিলেন নাকি?
তবে তাঁহার ভক্ত এক অধ্যাপক আসিয়া সব জল করিলেন। "বন্দর হইতে বান্দরিক। যেমন জগত হইতে জাগতিক। কলস হইতে কালসিক। বলদ হইতে বালদিক। ইত্যাদি।"
লোকজন মুখের হাঁ বুজাইয়া কহিলো, "হাঁ, এইরূপ তো হইতেই পারে। কিন্তু বন্দর লইয়া অত টানা হ্যাঁচড়া ক্যানো?"
ডাগদর সাব একগাল হাসিয়া কহিলেন, "আমার শৈশব আর কৈশোর কাটিয়াছে বন্দরে বন্দরে বান্দরামি করিয়া। মানে বন্দর আর আমি, দুই হরিহরাত্মা। দুইজনে দুইজনার। বন্দর না থাকিলে আমি আজ থাকিতে পার
1।
জামাত বেশ কৌশলে প্রতিষ্ঠিত করতে চায় গোলাম আযম ছিলো ভাষা আন্দোলনের প্রানপুরুষ । সত্য যে 1948 সালে সে ডাকসু'র জি.এস ছিলো এবং তার প্রতিনিধিত্বে একটা স্মারকলিপি দেয়া হয়েছিল, যেখানে বাংলাকে শিক্ষার মাধ্যম রাখগার দাবী ছিলো ।
কিন্তু পরবতর্ীতে অলি আহাদ, আব্দুল মতিনদের ভাষ্য থেকে জানা যায়, গোলাম আজম ঢা.বি'র ছাত্রদের নির্বাচিত জি.এস ছিলোনা, ছিলো সরকার মনোনীত । আন্দোলন জমে উঠার পর তাকে ও তার সংগীদের সরকারের চর হিসেবে চিহ্নিত করা হয় এবং অবাঞ্চিত ঘোষনা করা হয় ।
সত্যতা মিলে । কারন আন্দোলনের সংগ্রামমুখর দিনগুলোতে গোলাম আজমের আর কোনো পাত্তা মিলেনি , কোনো মিছিলে নেই, মিটিংয়ে নেই, রাজপথে নেই.... তবু তিনি ভাষা সৈনিক ।
2।
ধীরেন্দ্্রনাথ দত্ত
আজ সকালটা অন্যরকম। প্রতিদিনের মতো আজ সকালে বিছানায় গড়াগড়ি করলেন না প্রফেসর আশরাফ চৌধুরী। হাল্কা শীতের মাঝেও উঠলেন। বারান্দায় কিছুক্ষণ দাঁড়ালেন, আর মনে মনে কী যেন ভেবে গেলেন। আজ সরকারী ছুটি। য়ূ্যনিভার্সিটি বন্ধ, ক্লাসের ঝামেলা নেই। তবুও আজ ব্যস্ততার দিন। তাড়াহুড়া করে কুসুম কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল সারলেন। কর্ণফ্লেক্স, স্যান্ডউইচ আর সয়ামিল্ক দিয়ে ব্রেকফাস্ট করলেন। কুমিল্লার খাদি পাঞ্জাবী-পায়জামা, শেরওয়ানী কলারের কটি জড়ালেন গায়ে। মাথায় ঘন জেল দিলে
প্রতি বছর দিবস উদযাপন চলে। বিশেষ সংখ্যা আসে বাজারে, স্মৃতিচারণের বন্যা বয়ে যায়। বিশেষ সে দিনের সাম্ভাব্য সব ঘটনা আমরা জানতে পারি। এসব আয়োজন আসলে গুরুত্বপূর্ণ। দিবসজীবি আমরা কিছু উপলক্ষ্য খুঁজে পাই জীবনে। নিয়ম করে জন্মবার্ষিকি পালন, সে নিজের হোক আর বিখ্যাত লোকের হোক, অভ্যাস হিসেবে মোটেও খারাপ না।
আমি নিজে দিবস উদযাপনটাকে উপভোগ করতে পারি না। জাতিসংঘ 21শে ফেব্রুয়ারীকে আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস ঘোষণা করেছে। আমাদের 21 বললে ভালো লাগে শুনতে। আমরাই পৃথিবীতে একমাত্র জনগোষ্ঠি যারা ভাষার জন্য 2 বার লড়াই করেছি। প্রাণ দিয়েছি।
অবশ্য 21শে ফেব্রুয়ারী আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস ঘোষণার সাথে সহযোগী কিছু বক্তব্য আছে। মানুষের ভাষা মানুষের সংস্কৃতির ধারক- বাহক।
(কনফুসিয়াস ও রাগ ইমনের মিসকল সংক্রান্ত পোস্ট পড়ে)
বান্ধবীকে মিসকল থেকে বাঁচানোর জন্য দেশী চ্যাটরুমগুলো খুব উপকারী। ওখানে বিজ্ঞাপন দিয়ে নাম্বার ছেড়ে দিলেই হয়!
কিন্তু এ লেখার প্রসংগ ভিন্ন।
আমার খুব কাছের বন্ধু হাসান। খুব ভালো ছাত্র, ভালো মানুষ। ভার্সিটি অ্যাডমিশনে অ্যাসিস্ট করে এরকম একটি কোচিংয়ে পড়াতো মাঝে মাঝে। প্রথমবার স্টুডেন্টদের ফোন নাম্বার দিয়ে সে মহা যন্ত্রণায় পড়ে। রাত নাই দিন নাই - 'ভাইয়্যা এটা কি হবে, ওটা কি হবে
মধ্যরাতে হঠাৎ করেই শহর মাতাল
উলটে দিলাম দাবার ছক,হিসেব-নিকেশ
উলটে গেলাম নিজেই এবার, হা-পিত্যেশ
এবার তবে বৃষ্টি নামুক, আকাশ-পাতাল ।
উদাস মেঘে জলের সিঁদুর,বিবর্ন রং
ও মেয়ে, তোর চোখে দেখি বিজ্ঞাপনের ঢং
শরীর খুলে ঘুঘু ঢাকিস,চড়বে ভিটায়
রসুন বুনে খাজনা দিবি, সময় কোথায়?
সময় নাকি চড়কা বুড়ি? চাঁদ হয়েছে লাল?
মধ্যরাতের সেই সময়ে -শহর হলো মাতাল !!
20 ফেব প্রথম প্রহর ।