বাংলাদেশের সামপ্রতিক অবস্থা আমাকে বিমর্ষ করেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রতিটা পদক্ষেপে পরিকল্পনাহীনতার ছাপ স্পষ্ট। তারা ভালো পদক্ষেপ নিতে আগ্রহী তবে তাদের জীবনযাপনের অভ্যাস তাদের যেভাবে গড়ে তুলেছে বাংলাদেশের 95% মানুষের জীবনযাপনের অভ্যাস তেমন নয়। হয়তো অতিজ্ঞানী মুর্খতা তাদের বিবেচনাহীন করেছে।
তাদের পরিকল্পনার ভেতরে দেশের প্রতিষ্ঠিত ব্যাবসায়ীমহলকে তুষ্ট করার স্বভাবটাও স্পষ্ট। অবশ্য তাদের নিজস্ব পেশার প্রতি বিন্দুমাত্র অশ্রদ্ধা প্রকাশ না করেই বলি- " বার্ডস ওফ সেম ফেদার ফ্লকস টুগেদার"- আমাদের সিশীল সমাজীয় স্তরায়নে যেহেতু উচ্চ মধ্যবিত্ত শ্রেনীটাই প্রধান নির্ণায়কের ভূমিকায় অবতীর্ণ তাই তাদের নিজস্ব জীবনযাপনের সত্যকে তারা সবার জন্য সঠিক মেনে নিয়ে
এক. গত বছর পর্যন্ত সাংবাদিক কার্ড দেখিয়ে ধুম করে মেলায় ঢুকেছি,লাইন ধরতে হয় নি। এবার প্রথম বার লাইন ধরতে হলো। লাইনে দাড়িয়ে মেজাজ খারাপ লাগছে। পাওয়ার লেস লাগছে।
------আহারে আরিফ,সামান্য গেটে ঢুকার ক্ষমতা হারিয়েই তোমার মন খারাপ!!!একবার জোট সরকারের মন্ত্রীগুলোর মনের ভাব চিন্তা করো তাইলে!!!!
দুই. বইমেলার মসজিদের কোনায় কয়েকটি খাবার দোকান। সারা এলাকায় ঘাস দেখার জো নেই,শুধু ই আবর্জনা।
--------আচ্ছা বই নাকি মননকে উন্নত করে। একটি ছোট বিন বসানোর মতো মনন তৈরী করতে বাংলা একাডেমির লোকজনকে কয়টি বই পড়াতে হবে! আর আবর্জনা ছুড়ে ফেলার অভ্যাস মুক্ত হতে একজন বাংগালিকে কতোবার বইমেলায় আনতে হবে ?
তিন.সারিয়া তাসনিম ,ব্রাত্য আর সাদিককে দেখলাম দাড়িয়ে