এক.
1500 বছর আগের কথা বলছি।
রুক্ষ আফগানিস্তানের সুউচ্চ পাহাড়ে তিল তিল করে গড়ে তোলা হলো নিরেট পাথরের বৌদ্ধ মুর্তি। 175 ফিট উচু একটি ,আরেকটি 120 ফিট। পাহাড়ের নিচ থেকে দেখলে মনে হতো মহাপুরুষ গৌতম বুদ্ধ আকাশ আর মাটিকে একসাথে ছুয়ে দাড়িয়ে আছেন।
তারপর বহু কাল গত হয়েছে। আফগানের অন্ধকার গিরিপথ পেরিয়ে তৈমুর লং,নাদির শাহ এসে বারংবার লুন্ঠন করে নিয়ে গেছেন ভারত ভুমি।এসেছে মাৎস্যনায় যুগ,পাল বংশ থেকে মোগল রাজবংশ।
রুক্ষ র্ববর আফগানে ইসল
এভাবেই এগিয়ে যেতে হয় সামনে। যত জঞ্জাল আছে সাফ সুতরো করে দিতে হবে। মহামান্যরা তাই বলে দিয়েছেন। জনগনও চায় পরিচ্ছন্ন স্বদেশ।
তবে তাই হোক... চার'শ থেকে চার হাজার যে কোন দুরত্বেরই হোক... সকল জঞ্জাল আমরা ঝেড়ে ফেলবই! সুকান্ত বেটাতো বলেই গেছে, পৃথিবীর জঞ্জাল সরিয়ে একে বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে হবে।
এই ভাঙ্গা মন্দিরে আমারও কিছু স্মৃতি আছে,
শৈশবের সময়ে সে দিয়েছিল কিছু মমতা...
এলোমেলো বোকা আমি
ভেবেছিলাম এমনি এমনি পেয়ে গেছি বেশ ক'টা ভোর।
ভুলেই ছিলাম ভীষণ দামী
এই জীবনের প্রতি প্রহর।
সে দাম দেবার একেক রকম নিয়ম-রীতি!
রাত পেরিয়ে নতুন ভোরে রঙ-বেরঙের সেসব স্মৃতি
কাঠঠোকরা পাখির মতো
অবিরত যায় ঠুকে যায় বুকের ক্ষত।
যেমন করে মেঘ ঢেকে দেয় সোনালী রোদ -
তেমনি ভাবেই কষ্ট দিয়ে করছি আমি গভীর সুখের দাম পরিশোধ।
আমাদের ঘরময় বাতাসের মত
টইটুম্বুর হয়ে ছিল বিষন্নতা
সেখানেই এলে তুমি, কাঁদলে, তাকালে, হাসলে, হাসালে
কোন ফাঁকে বিষন্নতা ছাড়ল
ঘর, টেরই পেলামনা। তুমি হাটলে, দৌড়ালে
আমরা ভুলেই গেলাম বিষন্নতা বলে একটি শব্দ আছে বাংলা অভিধানে
জ্বরগ্রস্ত তুমি যখন লাল চোখ নিয়ে বলো
কমলা রঙের ইঁদুরটা তোমার নীল জামা খামচে
...