আমাদের আসলে কেমন আচরণ করা উচিত এটা বুঝতে পারি না। গত রাতে চ্যানেল ওয়ানে একজন মুক্তিযোদ্ধার সাাৎকার প্রচারিত হলো। তিনি পেশায় মুড়ি বিক্রেতা, তার আবাসস্থল ভেঙে যাওয়ার পর দয়াবান একজন তার দোকানে পাশে একটা ছাপড়া তুলে তাকে থাকতে দিয়েছেন।
সংবাদ মাধ্যমে ্মন বিষয়ের উপস্থাপনা যেমন হয় ঠিক তেমনই বিষয়টা, স্মৃতিসৌধের সামনে তার অশ্রু ভরা চোখ আর পেছনে হায়দারের 30 বছর গানটা চলছে-
তবে প্রশ্নটা হলো আমাদের আসলে কি করা উচিত। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করা গ্রামের কিংবা শহরের দরিদ্র মানুষগুলো এখনও দরিদ্র, তাদের অর্থনৈতিক কোনো উন্নয়ন ঘটে নি। এটা বাস্তব সত্য, এর সাথে এটাও বাস্তব সত্য যে তারা কোনো রকম পারিশ্রমিক দাবি করেন নি। তাদের বিবেচনায় মনে হয়েছিলো
[b]
বোবা আদালতে বিচারকগন বধির ।
শিকারী কুকুরের লালা ঝরছে আর
মহামান্যগনের চোখের সামনে ঝুলছে
কালো নিগারের পাথুরে শরীর ।
শুনেছি ভীষন অপরাধী, ভয়ংকর খুনী
তাহারাই শুনিয়েছেন সব, আর সে নির্বাক
নিয়মতান্ত্রিক, নির্বিবাদে ।
নিথর দুপা বাতাসে দুলছে কাকতাড়ুয়া,
কাক কে তবে?
হাসলেন যারা, শেষ আর্তনাদে?
আমি তো চিনিনা এই কালো মানুষ ।
আমি তো জানিনা ঐ সাদা মানুষ ।
জেনেছি কেবল - এক হাত কালো,
আরেকটা সাদা । এ আমারই, আমিই শেক
মানুষ কীভাবে পয়গম্বর হয়ে ওঠে-এই ধারাবাহিকের লেখা নয় এটি। তবে সম্পর্কিত। মূল সম্পর্ক সাদিক মোহাম্মদ আলমের সব পয়গম্বররা আরবে কিত্তে? লেখাটির সাথে।
প্রথম কিসত্দিতেই বলেছি, আরবে নবী হওয়া ছিল ভীষণ ফ্যাশন। প্রতিবাদী তরুণ-যুবাদের বিদ্রোহের অংশ ছিল নবী হওয়া। নতুন ঈশ্বরের কাছে ক্ষমত
বেলাদির মাথায় একরাশ ঘনকালো চুল ছিল। রাজের বিস্ময় মাখানো একজোড়া চোখ ছিল তার। তখন অবশ্য অতটা বুঝতামনা। শুধু চোখ গুলো দেখতে আমার ভিষন ভালো লাগত।
আমাদের বাড়ির উত্তর সীমানায় ছিল একসারি কদম গাছ। তার পরই শুরু বেলাদিদের বাড়ি। সীমানা থেকে ঘর অবধি যেতে বেশ লম্বা একটা ফাঁকা যায়গা ছিল। মখমলের মত বিছানো সবুজ সবুজ সেই ঘাসের মাঝখানে ছিল বেশ বড় একটা পাথর। অনেকটা বেদীর মত। সাদা রঙের সেই পাথরে বসে রোজ বিকেলে বেলাদি রবীন্দ্রনাথের বই পড়ত। মাঝে মাঝে সুনীল।