আসলেই মেজাজ মুজাজ খারাপ।
শালার কিছু বল্লেই সব শালা বুঝাইতে আসে `প্রোগ্রামিং কেমন জিনিষ আপনি বুঝবেন না,আপনি তও বাটন টিপেই খালাস।'
রসিকতা যা করি,আশাকরি হাসিন বুঝতে পারেন।
আর বাকি তালেবররা দয়াকরে আমার ব্লগ থেকে দূরে থাকুন।
নয়তো খেপে গিয়ে কবে হাবিব মহাজনের মতো আমাকেও বলতে হবে,` আমি যখন ডস মুডে কম্পিউটার টিপি বাসায় তখন তোমাদের বহুত বেটাই স্লেট পেন্সিলে আকঁ কষতে পাঠশালায় যাও।'
ঘন্টা খানেক আগেো ব্লগিং করেছি।
এখন আবার নেটে এসে দেখি আমার প্রোফাইলে ছবির পাশে `কাঙাল'শব্দটি লেখা!! খেয়াল করে দেখলাম,সবার প্রোফাইলেরই একই অবস্থা।
ভাইরে আমার কর্তৃপক্ষ,ব্লগিং করতে গিয়ে কাঙাল উপাধি পাইলাম।
`লুচ্চা' বলেন নাই, এ জন্য আপনাদের লালসালাম রে ভাই।
নয়তো বড়ো বিপদে পড়তাম ইজ্জত নিয়ে...
তুমুল আড্ডা এক সময় প্রায়শ:ই যুদ্ধের রুপ নিচ্ছিল।
টেবিল চাপড়ে ,সিগারেটের ধোয়াঁয় ঘর অন্ধকার করে আমরা বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলছিলাম।
প্রসঙ্গক্রমে একজন জোর গলায় বললেন,`রাজাকারদের কপাল ভালো,বঙ্গবন্ধু তাদেরকে ক্ষমা করেদিয়েছিলেন।'আমরা সবাই তার সাথে একমত হলাম।সত্যিই বঙ্গবন্ধু বিরাট উদারতার উদাহরন দিয়ে গেছেন।
সেই সময় বেশ দূরের টেবিল থেকে উঠে দাড়ালেন এক বৃদ্ধ। বিল মিটিয়ে আমাদের টেবিলের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় একটু থামলেন।তারপর মুচকি হেসে বললেন`মুজিব আমাদের ক্ষমা করে মহান হয়ে ছিলেন মানে?আমরা কি তার কাছে ক্ষমা চেয়েছিলাম ?'
ভদ্রলোক আমাদের কথা শোনার জন্য আর দাড়ালেন না।মাথা উচুঁ করে গট গট করে রেস্টুরন্ট থেকে বেরিয়ে গেলেন।
আমরা সবাই চুপ করে
ওয়ান ইলেভেন এর পরে টিভি দেখার ব্যাপারে আমার আগ্রহ কমে গিয়েছিল। বিভিন্ন চ্যানেলের সাংবাদিকরা কোন হট আইটেম দিতে পারে না। সব কেমন যেন ম্যান্দা ম্যান্দা মনে হয়। যুব মহিলা লীগের একশন নাই,মওদুদের সুললিত বাণী নাই ..ধ্যাত্তেরি।
তো,গতকাল থেকে হঠাৎই আমার অবস্থার পরিবর্তন ঘটেছে।নতুন পর্ণোগ্রাফী খুজে পেলাম টকশো গুলোতে। দেখে ফেললাম তৃতীয় মাত্রা,অন্য দৃষ্টি আর পাবলিক ফোরাম নামের তিনটি টক শো।
আমি আগে আশ্চর্য হতাম যে বাঙালির মাঝে কেন মেরুদন্ড অলা মানুষের এতো অভাব।ইদানিং আশ্চর্য হই না,বিনোদিত হই।
তৃতীয় মাত্রায় কালকের আলোচক ছিলেন শফিকুল গনি স্বপন আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক কলিমুল্লাহ ।আরে ভাই,তাদের গদগদ অবস্থা যদি দেখতেন!!!! দুজনেই গলায়
(উৎসর্গ: শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিক এহ্ হামিদাকে।সম্ভবত তিনিই বি.এন.পির একমাত্র কর্মী যিনি এই দূর্যোগেও নিজ বিশ্বাসের পক্ষে উচ্চ কন্ঠ। তার এই অটল উচ্চ কন্ঠ আমাকে মুগ্ধ করেছে।নিজের দলের সমর্থনে এরকম জানবাজ কর্মী পাওয়া আসলেই ভাগ্যের ব্যাপার।)
খালেদা জিয়া দূর্ণীতিকে উৎসাহিত করেছেন একথা না বললেও তিনি যে দূর্ণীতিকে অন্ধ প্রশ্রয় দিয়েছেন সেকথা বলতে আমার দ্বিধা নেই। এক সময় ছাত্র রাজনীতি করার সুবাদে বি.এন.পির বেশ কিছু মানুষের সাথে আমার ভালো পরিচয় আছে এবং তারা যে গত কয়েক বছর আগপাশতলা ‘মাল বানানোর’ ধান্ধায় ব্যস্ত ছিল সেটি আমার নিজের চোখে দেখা।
তারেক জিয়ার সাথে আমার ব্যক্তিগত পরিচয় নেই। কিন্তু তিনি যে ব্যাপক দূর্ণীতির সাথে জড়িত সেট