আমাদের এল-শেপ স্কুল ভবনের বিভিন্ন রূম থেকে আগ্রহী চোখ ইতিউতি মারে আমার দিকে। বাতাস নেই একদম, খাঁ খাঁ রোদ। স্কুল মাঠের সবুজ ঘাসে রোদের ঝলকানি, মাঝে চিকমিক করে স্টার সিগ্রেটের রাংতা কাগজ। সময়টা তখন অন্যরকম। আমাকে ক্লাস থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। যে চ্যাপ্টার থেকে প্রশ্ন করা হয়েছে ঐ চ্যাপ্টার তখনো পড়ানো হয়নি। আমি মিনমিনে গলায় বলি - 'স্যার, ওটা এখনো পড়ানো হয়নি'। স্যার গেলেন ক্ষেপে - 'পড়ানো হয়নি মানে? তুমি নিজে না পড়লে কে পড়াবে? কয়দিন পর কী ঘোড়ার ডিমে
বিজ্ঞ মানুষেরা বলেছেন জরুরী অবস্থা চলাকালে মানুষের মৌলিক অধিকার ক্ষুন্ন হবে, ২ বার সংশোধন করে যে জরুরী বিধিমালা প্রচলিত হলো বাংলাদেশে সেখানে ঘরোয়া রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
তবে মৌলিক অধিকার বলতে আমার যে ধারণা বাংলাদেশের সংবিধানে সে ধারণার অস্তিত্ব নেই। জনকল্যানমুখী রাষ্ট্র ধারণার গলদ কিংবা অন্য কোনো দায় থাকতে পারে এর পেছনে- তবে বাংলাদেশের সংবিধানে মৌলিক অধিকার প্রসঙ্গে আমার চোখে যা পড়েছে সেখানে মানুষের
বাক স্বাধীনতা- সমাবেশ, রাজনৈতিক দলগঠন, নিজস্ব মতাদর্শে বিশ্বাস ও তা প্রচারের স্বাধীনতা আছে- এমন কি বাংলাদেশের সংবিধান বিদ্যুতকেও বাংলাদেশের নাগরিকদের মৌলিক অধিকার বলেছে- তবে সকল নাগরিককে উপার্জনক্ষম করে তোলার কোনো মৌলিক নির্দেশনা নেই সং
বেশি সময় কারও লাগেনা। বুঝে ফেলে। আমার দৌড়টা তাদের জানা হয়ে যায়। এর জন্য আমি নিজেই আসলে দায়ী। ভাব ধরাটা শিখতে পারলামনা। তাই খুব সহজেই সবাই বুঝে ফেলে আমি মূলত অন্তজ শ্রেনীর মানুষ।
আমি নাকি ঠিক মানানসই নই এই সময়ের জন্য। পরিচিতরা সবাই বলে। এমনকি মাও বলেন, তুই বুঝিসনা দিনদুনিয়া কোন তালে চলে এখন! আমি কোন উত্তর দিতে পারিনা। মাথা চুলকাই।
কাদির মিয়া আমাকে কেন যেন খুব পছন্দ করে। জেলখাটা দাগী আসামী। নামের শেষের মিয়াটা উধাও হয়ে সেখানে ডাকাত শব্দটা ঠেসে ছিল অনেকদিন। কি করে যেন সে আমাদের অফিসে এসে জুটে গেল আর আজব কোন এক কারনে আমার সাথে তার খাতির হয়ে গেল। কাচের মগে লাল চা দিতে দিতে বলত, স্যার আপনার জীবনে কোনদিন দুধ চা খাওয়া হবেনা। আমি অবাক হয়
আহা ইয়েলৎসিন টা মরেই গেলো ।
ওই যে , পাঁড় মাতাল টা ! ভডকা খেয়ে ড্রেনে পড়ে থাকতো ।
আর মুক্তবাজার খাইয়ে ড্রেনে ফেলে দিলো গোটা পৃথিবীকেই ।
বুশ মহাজন ঠিকই বংশবিস্তার করলেন হাইড্রার মতো । সিনিয়র
থেকে জুনিয়রে হস্তান্তরিত দুনিয়ার বর্গাদারী ।
মনে পড়ে আমাদের এইসব 'খেলাখেলা'?
সেই ১৯৯২?
মানুষ হয়ে জন্ম নেয়ার এই এক জ্বালা ।
কতো কি যে কতো কিছু টেনে আনে!!!