বেলা:
কেমন আছেন? কি করছেন?
ভীষণ স্যরি। অনেকদিন আপনাকে মেইল চেক করিনি।
আসলে মেইল চেক করার দরকার হয় নি।
অফিসের মেইলগুলো অফিসের লোটাসে চেক করি।
আর অফিস থেকে একটা মোবাইল ফোন দিয়েছে, ওটা দিয়ে বন্ধুদের সাথে প্রায়ই কথা হয় অনেকক্ষণ!
এর মাঝে ঈদ পার হয়ে গেল।
কী করলেন ঈদে?
মেইলবক্সে দেখছি - আপনার পাঠানো ঈদ কার্ড পড়ে আছে।
খুলতেই সংশয় লাগছে।
আপনি নিয়মিত মেইল করছেন, আর আমি রিপ্লাই করছি অনিয়মিত।
আগের এক মেইলের প্রেক্ষিতে বলি - আপনাকে বেলা বোস বানানোর সাহস নেই। সবার সব সাহস থাকে না, থাকা উচিতও না।
এই তো বেশ ভালোই আছি, নিজের গন্ডির মাঝে, দিন কেটে যাচ্ছে।
কী বলেন?
- সরণ
------------------------------------------
বেলা:
সপ্
এপাশে বৃষ্টি ওপাশে বৃষ্টি
জারুল বৃক্ষের শিয়রে সংসার
তুমি যোগীনী...
ধ্যানে মগ্ন...
আদম কী ইভ'কে এভাবে কখনো
জড়িয়ে ধরেছিল বৃষ্টির শিয়রে...
আলবাব...
যোগীনীর নিঃশ্বাস...
ইভের ঠোঁট এতটা
কোমল ছিলনা নিশ্চিত।
বেলা,
সাইবার ক্যাফে থেকে মেইল করছি।
খুব সংক্ষেপে বলি - আমার একটা চাকরী হয়েছে।
যদিও খুব ভালো না।
কিছু একটা করা হিসেবে ঠিক আছে।
সিটিসেল কল সেন্টারে।
আপাতত: তিন মাসের কন্ট্রাক্ট। পরে এক্সটেন্ড হতে পারে।
ভালো থাকবেন।
- সরণ
--------------------------------
হ্যালো!
ওয়াও! গ্রেট নিউজ! কনগ্র্যাচুলেশন! শুনে খুব ভালো লাগছে। আমার এক কাজিনও বাংলালিংকের কল সেন্টারে কাজ করতো। পরে জিপির মার্কেটিংয়ে সুইচ করেছে। একটা কোম্পানীতে জয়েন করলে পরে সুইচ করতে সুবিধা হয়। আমার বিশ্বাস - আপনিও খুব ভালো পজিশন নিয়ে কোথাও সেটেল হয়ে যাবেন। বেস্ট অফ লাক।
এই মুহুর্তে আরেকটি কথা মনে পড়ছে। আমার ফোন নম্বর জানা থাকলে -আপনি আজ ফোন করে বলতে পারতেন - "চাক
সেই গল্পঃ
বছর দু'তিন আগের ঘটনা । দিন তারিখ মনে নেই । মনে রাখা জরুরী নয়, যেহেতু এই সব আমাদের সয়ে গেছে সহজেই ।
পারিবারিক অনুষ্ঠান থেকে এক সদ্যতরুন কে তুলে নিয়ে যায় চিতা-কোবরা কিংবা র্যাব নামের রাজকীয় বাহিনী ।
পরদিন তার ক্ষতবিক্ষত লাশ পাওয়া যায় এবং জানা যায় রাজকীয় ঘোষনা,
'এই তরুন ছিল রাষ্ট্রের জন্য বিপদ্দজনক এক ঘৃন্য সন্ত্রাসী' ।
কিন্তু কিছু বেয়াড়া কাগজওয়ালার তদন্তে বের হয়ে আসে অন্য সত্য । নিহত তরুন ছিল এক নিরপরাধ কলেজ ছাত্র । একই নামের আরেক সন্দেহভাজনকে খুঁজতে গিয়ে রাজার লোক এই তরুনকে হত্যা করে । রাজা ও রাজার লোকেরা ভুল করেনা, অপরাধ তো নয়ই ।
তাই এ হত্যার সপক্ষে সে এলাকায় আনন্দমিছিল ও বেরিয়ে যায় দ্রুত ।
অবশ্য বেয়াড়া কাগজওয়াল
শিম্পাঞ্জিকে টাইপ করা শিক্ষা দিতে কত সময় লাগে এরকম গবেষণা কিছু বিজ্ঞানী করে থাকেন। হাতি ছবি আঁকলে কিরকম হয় এ নিয়েও প্রামাণ্যচিত্র দেখেছি। কিছু লোক বানরকে নানা কসরত্ শিখিয়ে, শিল মাছকে জলকেলি শিখিয়ে জীবিকা উপার্জন করেন। সার্কাসের ঘোড়া, সিংহ, বাঘও নানা অঙ্গভঙ্গি দেখায়। (ছাগল দিয়ে এরকম চেষ্টা কাউকে করতে দেখিনি।)
প্রাণী ছাড়াও মানুষের আয়ত্তের মাঝে আছে বলে দাবী করা হয় অশরীরি বিষয়। বাংলাদেশ ও পূর্ব আফ্রিকার বিভিন্ন অঞ্চলে জ্বিন পালে বলে দাবী করে কিছু লোক। তারা নাকি জ্বিন দিয়েও নানা কারবার করাতে পারে।
তবে আস্ত একটা বই? লেখার মান যত খারাপই হোক আস্ত একটা বই লেখা এইসব সার্কাসের বাঘ, বানর বা জ্বিন-প্রেতের পক্ষে সম্ভব নয়। বই রচনা শেষ পর্য
আজকে যুঞ্চিক্ত'র পোস্টটি মুছার সাথে সাথে আমার নজরে আসে এবং আমি তখনই একটা পোস্ট দিয়ে সবার দৃষ্টিআকর্ষন করি।পরবর্তী একঘন্টার ইতিহাস ইত্যবসরে সবার জানা।
আমি নিজে মাথাগরম অবস্থায়ও নোটিশবোর্ডকে কিছু প্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করি,এবং যথারীতি কোন জবাব পাইনি।বরং তুমুল শোরগোলের মধ্যে পাল্টা ব্লগ তৈরীর ঘোষনা ,মাহবুব মোর্শেদ আর জামাল ভাষ্করদের মতো তুখোড় ব্লগারদের ব্লগ ছেড়ে দেবার ঘোষনা,সব মহিলাদের ব্লগ থেকে বিতাড়িত করার জন্য আমার দাবী,এসবের ফাকে কাপুরুষের মতো গোপনে যুক্তিঞ্চের পোস্টটি রিস্টোর করে কোন ধরনের দু:খ প্রকাশ না করেই চুপচাপ নোটিশবোর্ড নামের মানুষটি কেটে পড়েছেন।
আজকের এই ঘটনা ,সামহোয়্যার ইন ব্লগের মডারেশনের প্রয়োজনীয়তা আবারও সামনে নিয়ে এসেছে।
মানুষের ধর্মানুভূতিগুলো অভিন্ন নয়,যেহেতু ধর্ম একটি নয়, অজস্র ধর্মবিশ্বাসে পৃথিবী বিব্রত বিক্ষত।
একেক ধর্মের মানুষের ধর্মানুভূতি একেকরকম,আবার একই ধর্মের ভেতরে রয়েছে বহু উপগোত্র, এবং বিভিন্ন উপগোত্রের ধর্মানুভূতি বিভিন্ন । প্রতিটি ধর্মেই দেখা যায় সাধারন বিশ্বাসীরা ধর্মের মুলকথাগুলো ঠিকমতো জানেনা,তারা ধর্মে স্নগযোজিত করে নানা নতুন বিশ্বাস,যেগুলোর সাথে ধর্মের মুল বিশ্বাসগুলোর সম্পর্ক নেই।
অজস্র ব্যাপার জড়ো হয়ে মানুষের মনে সৃষ্টি হয় একধরনের যুক্তিরহিতবোধ যাকে বলা হয় ধর্মানুভূতি ।
এই ধর্মানুভূতিতেই আহত হয়,এর গায়েই সাধারনত আঘাত লাগে । ধর্মানুভূতিতে যে আঘাত লেগেছে,তা যে আহত হয়েছে,তা বোঝার ও পরিমাপ করার কোনো উপায় নেই। অযৌক্তিক ব্যাপারকে
...মহিলাদের পাবলিক ফোরামে কথা বলা মুসলমান হিসেবে আমার ধর্মানুভুতিতে আঘাত করছে।
যুঞ্চিক্ত'র পোস্ট ডিলিটে প্রতিবাদ।
..অথচ তিনি অনলাইনে নেই!
তাহলে কিভাবে গায়েব হলো?
আল্লাহপাক বলতে পারবেন।