নতুন সমস্যাটা যে নতুন না, এটা বুঝতে আমার প্রায় ছয় মাস লেগে গেলো। এমনকি বিশেষ রুদ্ধদ্বার বৈঠকে যখন আবেগের সকল ধরনের প্রকাশ ঘটে গেল, তখনও আমি বুঝতে পারিনি এই স্বতঃস্ফূর্ত (!) আবেগ প্রকাশের হেতু কী?
ক্যাম্পাসে গিয়েই আমি একটি ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে পড়েছিলাম, বলা বাহুল্য একটি বামপন্থী সংগঠনের সঙ্গে। বাম হইলে কেন জানি, পিতামাতাবোনভ্রাতাবন্ধুস্বজন সবাইরে বাম বানাইতে ইচ্ছে করে। আমিও সেই সুবাধে আমার শৈশবের সব বন্ধুরে বাম বানানোর প্রজেক্ট হাতে নিলাম। ঘনিষ্ঠতম বন্ধু হিসেবে আলম-কেও বাম বানালাম, কিন্তু পীরের নাতি বাম হইলেই কী আর না হইলেই কী!
সারাদিনের রাজনীতি শেষ করে মধ্যরাতে ঘরে ফেরে মাহবুব মোর্শেদ। প্রচণ্ড গরমে ঘরে বসে থাকাই যখন দায়, তখন সারাটা দিন রাজনীতির উষ্ণ মাঠে দিন কাটিয়ে ঘরে কই একটু রেস্টটেস্ট নিবে, তা না করে আরেকবার জনসেবা করতে হচ্ছে মাহবুবকে। ঐ দিন ও কী কী করেছিলো ঠিক মনে নেই আমার, সম্ভবত মাথায় পানি-টানি দিয়েছিলো, নোংরা ঘরটাকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করার চেষ্টা করেছিল, এইসব। মাহবুব ওই রাতটা আমাকে বলতে গেলে ব
এই অবস্থায় সাঁতার জেনে লাভ নেই -
অথচ জল মোটে এক হাঁটু;
নিজের ঠ্যাং ধরে কাঁদতে হবে ভেউ ভেউ করে -
সহজ প্রয়াণ !
দমকা বাতাস মাঝেমধ্যে নিমাইরূপ ফুচকি মারে
ইন্দ্রিয়াতীগ খেমটা অর্থাৎ নন্দনতত্ত্ব পাঠের ফাঁকে ফাঁকে
যেমন হতঃশ্বাস ঝাঁকুনি পাওয়া যায় রুঢ় স্বমেহনে
অর্থাৎ ডুবেই মরতে হবে
ঘটি হোক বা সমুদ্র হোক
২১/০৫/১৯৯৯
বৃষ্টি শেষ করে আমি জ্বরে পড়লাম। ভুলেই গিয়েছিলাম, প্রচণ্ড জ্বরের কারণেই আমি ক্যাম্পাসের তুমুল আন্দোলন ফেলে বাড়ি চলে এসেছি। বাড়ির একটু বেশি স্বাস্থ্যকর পরিবেশে এসে ক্যাম্পাসে অসুস্থ হয়ে পড়েছিলাম- এই কথা বলতে লজ্জা পাচ্ছিলাম। বৃষ্টিসঙ্গ কয়েকদিন স্বাভাবিকভাবেই বিছানায় থাকার অজুহাত এনে দিয়েছিল। বৃষ্টি সেরে যেতেই জ্বর ঝেকে বসলো। এমন জ্বর আমার বাপের জন্মেও আসেনি। আমার পুরো ক্য
আমি যখন প্রিমিয়ামে জাহাঙ্গীরনগর থেকে ঢাকা আসছিলাম, তখনও আমি ঘামছিলাম। আমার সহপাঠীদের কেউ সান্ত্বনা দিচ্ছিলেন- গরম তো আর কম না, গাড়ির গরম, বাতাসের গরম, সূর্যের গরম, মানুষের গরম- সব মিলে গরম এত বেশি যে এসি গাড়িতেও আমাকে ঘামতে হচ্ছে।