১।
গতকাল যখন আমরা ষ্টক-এন-ট্রেন্ট এ এসে ঢুকলাম, সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছে তখন । আমরা এসেছি ম্যানচেষ্টার থেকে । ম্যানচেষ্টার এ রাসেলের আবাস ।
আমি এসেছি দুপুরে, কাজী বাছিত সকালে বার্মিংহাম থেকে । ৯১-৯২ এ এম সি কলেজের জাসদের চ্যালা ছিলো এখন তাবলীগের পান্ডা । দাড়ি একাই রেখে দিয়েছে কয়েকজনের । ভালো চাকরী করে এখানে ,একটা ফিন্যান্স কোম্পানীর এসিস্টেন্ট ম্যানেজার ।
কিন্তু রয়ে গেছে সেই আগের মতোই । বন্ধু অন্তপ্রান । বন্ধুর বন্ধুর জন্য ও যেকোনো ঝুঁকি নেয়ার ছেলেমানুষী করতে পারে এখনো ।
সৈয়দ রাসেল ও তেমনি । পলাশের ওপর হামলাকারীদের একটা টেকওয়ে আছে, টেকওয়েতে কোনো সিসিটিভি নেই, ষ্টক এর পুলিশ খুবই গা ছাড়া, হামলা-পাল্টা হামলার ঘটনা সপ্তাহে দু' চারটা ঘটেই- সব
এই মাত্র কথা হলো ভেলরির ঘনিষ্ঠ সি.আর.পির একজন সিনিয়ার অফিশিয়ালের সাথে।
ভেলরিকে সমন্বয়কের পদে পুনর্বহাল করার ঘোষনা এক ধরনের চোখে ধুলো দেয়ার ব্যাপার বলেই সন্দেহ হচ্ছে আমাদের সবার।
সেই একই লোকগুলো যদি ট্রাস্টি বোর্ডে রয়ে যায়,একই ধরনের সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেয়া হতে থাকে,আর আন্দোলনকারী আমাদেরকে বুঝানো হয় যে ভেলরিকে তো সম্মান জানানো হয়েছে,তাহলে চূড়ান্ত লক্ষ্য তো অর্জন হলো না।
আমরা শুধু ভেলরির সম্মান উদ্ধার চাই না,আমরা চাই সি.আর.পি কে পূর্ণাঙ্গ ভাবে গরীব মানুষের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হোক।
আমরা চাই হাজার হাজার টাকা বেতন নিতে যে মৌলোভীরা সি.আর.পিতে ভিড় করেছেন তাদের নি:শর্ত বিদায়।
তোমাদের যদি এতো শখ থাকে তো নিজের টাকায় গিয়ে ক্লিনিক কর
সি.আর.পির এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে যে ভেলরিকে সি.আর.পি'র সমন্বয়কের পদে পুনর্বহাল করা হয়েছে এবং তার যাবতীয় ক্ষমতা ফেরত দেয়া হয়েছে।
এ সংক্রান্ত একটি খবর এন.টি.ভি এবং এ.টি.এন বাংলায় প্রচার করা হয়েছে।
(এ সংক্রান্ত আন্দোলনের প্রধানদের কাছে এখনও কোন কনক্রিট খবর নেই,এটা মুল ষড়যন্ত্রের একটা অংশ হতেও পারে।তবে এটা একটা প্রাথমিক বিজয় নি:সন্দেহে।আমরা অবশ্যই সেলিব্রেট করতে পারি।)
জয় হোক অগনিত সাধারন মানুষের।
জয় হোক অগনন দুই পয়সার মানুষের যুথবদ্ধ প্রচেষ্ঠার।