একটা মাথা গোঁজার ঠাই...
*******************************************************
তাহাদের গল্প::
স্টিভ জেফারসন, বেসরকারী ব্যাংকে জুনিয়র অফিসার । বার্ষিক বেতন 18000 পাউন্ড । 20% ট্যাক্স কেটে নেয়ার পর তার মাসিক উপার্জন 1200 পাউন্ড ।
স্টিভ সমপ্রতি একটা বাড়ী কিনেছে । দুই বেড রুমের টেরেস হাউস ।বাড়ীর দাম পড়েছে 80,000 পাউন্ড । 5% ডিপোজিট হিসেবে তাকে জমা দিতে হয়েছে 4000 পাউন্ড । বাকীটা সে 25 বছরে শোদ করবে মাসে 400 পা
ঘঠনাসমূহ
এক
চট্টগ্রামের ফরমান রেজা লিটন আমার বয়েসী এক যুবকের নাম।
সংবাদপত্র পাঠকরা সবাই তাকে একনামে চিনে ।
লিটন এর পরিচিতি এসেছে বড়ো করুণ ভাবে।তার বাবা জামালউদ্দিনকে খুন করেছে বি.এন.পির এম পি সারওয়ার জামাল।তারপর লাশ গেড়ে রেখেছে এক দুর্গম পাহাড়ে।
আজীবন বি.এন.পি করেও মরহুম জামালউদ্দিনের কোন লাভ হয়নি। তার পেয়ারের ম্যাডাম, আচলতলে আশ্রয় দিয়েছিলেন খুনিকে।
এবার এসেছে নতুন সরকার। সেই নতুন সরকারের সময় এধরনের কেস নিয়ে একটু বিচার পাওয়ার আশা থাকে।
কেসের আপডেট জানতে গিয়ে দেখা গেল,হাইকোর্ট এই মামলা স্থগিত করে রেখেছে....
আমি মানসপটে দেখি এক অসহায় যুবকের করুণ মুখ.....রাস্ট্র যার পিতৃহত্যার বিচার করছ
নীলু সিনহার ফোন পেলাম। ত্রস্ত কনেঠ বল্ল, তাড়াতাড়ি জিন্দাবাজার পয়েন্টে যান। মজা দেখেন!
দিলাম দৌড়....
ভীড়, মানুষে সয়লাব।
বাদশাহ'র আগমনের পর এমন ভীড় এই প্রথম দেখলাম। অবাক আমি! এগিয়ে গেলাম!
একলোক জিন্দাবাজারে এসছেন, রাস্তার পাশে রিক্সা দাড় করিয়ে ঔষধ কেনার জন্য ফার্মেসিতে গিয়েছেণ... তখনই উদয় ট্রাফিক সাহেব। আইন শেখানোর জন্য রিক্সাওয়ালার মাথায় একটু আদর করলেন। ব্যাটা সেই আদর বুঝলনা। মাথায় হাত দিয়েই শুয়ে পড়ল ফুটপাতে!
আর যায় কই পাবলিক
[justify]
ঈশ্বর আসনে বসিয়া ঢুলিতেছিলেন, ইদানীং হাতে কাজের চাপ কম, খালি তন্দ্রা আসে। সৃষ্টির শুরুতে এক হপ্তা গাধার খাটুনি খাটিতে হইয়াছিলো, বর্তমানে বেশ বিশ্রামযুগ কাটাইতেছেন। বোর অনুভব করিলে তিনি মাঝে মাঝে আসনপার্শ্বে রক্ষিত চিলুমচি হইতে বরফখন্ড লইয়া ইতস্তত ছুঁড়িয়া মারেন। সেগুলি মহাকাশে লাট খাইতে থাকে, বোকা লোকে তাহাকে ধূমকেতু মনে করিয়া জোর গবেষণা শুরু করিয়া দেয়।
হঠাৎ বিকট ম্...
সকাল আটটায় তুলি ডাক দেয়। চোখ টেনে মেলে দেখি সোঁনাজান মাথাটা মায়ের বুকে চেপে পা'টা তুলে দিয়েছেন বাপের উপর। আদর করতে ইচ্ছে করে। ঘুম মুখে এগিয়ে যাই। ফিরিয়ে দেয় তুলি। ইশারায় বলে ফিডারটা দাও... এটাই নিয়ম। রাজপুত্রকে ঘুমের ঘোরে না খাওয়ালে আর খাওয়ানো যাবেনা।
পা টিপে টিপে ডাইনিং রুমে যাই। কষ্ট করতে হয়না। আম্মা জেগে উঠেছেন আগেই। ... দাদু ভাইয়ের জন্য দুধ বানিয়ে দেন। কোনমতে মুখে পুরেদিই... তিনি টানেন ঘুমের ঘোরে। আমি আবারও তন্দ্রাচ্ছন্ন হই!
নয়টা তিরিশে
কেমন যেন বেহিসাবী
হাবিজাবি
হবার ছিল অনেক কিছুই...
আবার ভাবি,
যেসব হল, কম কি বা তা-ই?
সেটাও তো না পারতো হতে
রহস্যময় এই জগতে
যাচ্ছে ঘটে কত কিছুই প্রতিদিনই
কত্ত মানুষ
তাদের ক'জনকেই বা চিনি!
কত্ত তাদের টালবাহানা
সাদা-কালোয় রঙ মেশানো সব ঘটনা
কত্ত তাদের এলোমেলো স্বপ্ন দেখা
একসাথে বা একা একা
স্বপ্ন দেখার পরেই কেন স্বপ্ন বেলুন যায় ফেটে, ঠুস!
কি আসে যায় আমার তাতে!
সকাল-দুপুর-দিনে-রাতে
আমারটুকু নিয়েই আছি
ভীষণ ব্যাকুল
আয় বৈষম্য, বিলাত ও বাংলায়
*************************
আমাদের পাড়াগুলোর চায়ের দোকান । দিনমান আড্ডা পেটাই । ভাগ্নেরা ব্যস্ত থাকে আমাদের সেবায় । ' ভাইগ্না-- দুই কাপ চা , উইথ পাইলট'
এই ভাগ্নেদের বেতন কতো?
তারাখচিত কিংবা শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত রেস্টুরেন্ট নয়, একেবারেই আমাদের মধ্যবিত্ত রেঁস্তোরাগুলোর ওয়েটার রা কতো বেতন পায়, বাংলাদেশে?
সম্ভবত: 200 থেকে 2000
আমাদের ডাক্তার সাহেবদের রুজি কতো?
সিলেট শহরে কয়েকটা ডা
অবতরণ পবর্
অত:পর একরাতে হুট করেই তারা নামলেন। সেই গভীর রাতে আমরা ঘুম ঘুম চোখে তাকিয়ে দেখি আধো আলো,আধো ছায়ায় কয়েকজন দেব দূত আমাদের বিছানার পাশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তাদের সবার পরনে সাদা কাপড় ,তাদের মুখ,বাহু,গলা সব কিছুই সাদা সাদা।তাদের মাঝে কোন মলিনতা নেই।
আমার ছোট ভাই ভয়ে কেঁদে ফেলল। আমি ভয়ে ভয়ে গুনে দেখলাম তারা এগারো জন। একজন একটু বড়ো সড়ো,তিনি হয়তো প্রধান দেবদূত,বাকি দশজন একটু ছোট ছোট।
তারা এসেছেন আমাদের শুদ্ধ করতে। আমরা কেউ তাদের ডাকিনি,তবু তারা এসেছেন। আমরা দুই ভাই আজ সকালে একটা আম নিয়ে ঝগড়া করেছিলাম। আমি গোপনে এক টুকরো আম বেশি খেয়েছি,আর তাই দেবদূতরা এসেছেন আমারে কালিমামুক্ত করতে।
শান্তি পবর্
বাংলাদেশ যখন ধারাবাহিক ভাবে বিশ্বনিন্দিত হলো দূর্ন ীতিগ্রস্থ দেশ হিসেবে, বিশ্বের প্রথম 10টি দূর্ন ীতিপ্রবন দেশের উপরের সারিতে বাংলাদেশের নাম দেখার পর সরকারী দল নাখোশ ছিলো। তবে দাতা দেশগুলোর চাপে পড়ে একটা স্বাধীন দূর্ন ীতি দমন কমিশন গঠন করতে বাধ্য হলো। অবশ্য বিকলাঙ্গ এই প্রতিষ্ঠানের রূপরেখা কিংবা নীতিমালা কোনো ভাবেই তাকে স্বয়ংসম্পূর্ন কোনো প্রতিষ্ঠান হিসেবে চিহি্নত করতে পারে নি এবং বাস্তবতা হলো এটা কোনো অর্থেই সফল কোনো প্রতিষ্ঠান ছিলো না।
দূর্ন ীতিদমন কমিশনকরে পুনর্গঠন করা হচ্ছে, তাদের ক্ষমতা বাড়ানো হবে, তাদের অর্থব্যাবস্থাপনার দায়িত্বও তাদের দেওয়া হবে, সুপারিশ আছে তাদের জরুরী ভিত্তিতে লোক নিয়োগের ব্যাবস্থা করতে হবে। সর্ষের ভেতরের ভুত তাড়া
মন্নান মিয়ার দিনকাল
গত পাচঁ বছরে মন্নান মিয়ার ভালোই উন্নতি হয়েছিল। যদিও পাঁচ পেরিয়ে যাওয়া জিডিপির প্রবৃদ্ধির হারে মন্নান মিয়ার অবদান নেই কিছুই,তবুও সেটা উন্নতিই বটে। মন্নান মিয়া খাম্বা বিক্রী করেন নি,টিভি চ্যানেল কিনেননি, টেন্ডার ভাগজোকের জটিল হিসাবও তিনি আত্মস্থ করেন নি। তিনি করেছিলেন একটি টঙ ঘরের চায়ের দোকান। মহাখালির ফ্লাইওভারের কাছে,রেল লাইনের ধারে তিনি এসে যে বস্তিতে ডেরা বেধেছিলেন, তার পাশেই একটি টঙ ঘর ভাড়া নিয়ে মন্নান মিয়া বেচতেন চা,পান সিগারেট।
সুনামগঞ্জের ফুলপুর নামের যে গ্রাম থেকে তিনি এসেছিলেন সেখানে ভাতের বড়ো কষ্ট ছিল রে ভাই। এক ফসলি ধান ওঠে বৈশাখ মাসে। দিনমজুরি করে যে ধান ভাগে পড়ে তাতে একমাস কুলানোটাই মুসিবত।