এক.
রোদের দেখা নেই ক'দিন ধরেই। ছাইরঙা পাংশু আকাশটা ঝুলে থাকে জানালার বাইরে, কোনো ভাবান্তর ছাড়াই। ঘন-পাতলা কুয়াশার চাদরে মুড়ি দিয়ে সকাল গড়িয়ে যায়, দুপুর আসে, সন্ধ্যা নামে- কেমন উদাসীনভাবে, পৌণঃপুনিকতায় আবর্তিত হয়। মাঝে মাঝে হিম-ধরানো মৃদু বাতাস কাঁপন ধরিয়ে যায়, গাছের পাতাও হালকা কাঁপে- হয়তবা শীতে!
ইট-কাঠের ঘেরাটোপে বন্দী এ শহরের যান্ত্রিকতায় আক্রান্ত এখন আকাশটাও, ...
আনোয়ার সাদাত শিমুলের উপন্যাস 'ছাদের কার্ণিশে কাক'। উপন্যাসখানা ই-বুক ফোল্ডারে বেশ কিছু দিন ধরেই পড়ে ছিল। কম্পিউটারে একটানা পড়ে যেতে আমার সমস্যা হয় বলে একটু একটু করে পড়েই আগাচ্ছিলাম। এতোদিনে শেষ হলো তা। কোনো উপন্যাস কিংবা কবিতা অথবা গল্পগ্রন্থ পড়ে শেষ করলাম- এভাবে হয়তো বলা যায় না। কারণ অন্য একদিন, বিশেষ কোনো মুহূর্তে আবার তা পড়বার তাগিদ চাগিয়ে উঠতে পারে। আবার উল্টাতে বাধ্য করত...
উত্-সব
বকরী ঈদে সবচেয়ে বেশি দরকার মদ
গরু ছাগল উট দুম্বা হরিণের সাথে
সবচেয়ে বেশি যায় ভদকা আর আগুন
শান দেয়া চকচকে রক্তাক্ত ছুরি হাতে
ভালোলাগে চুমুক দিতে বড় কাঁচের গ্লাসে ফেনা তোলা বিয়ার।
টুকরা মাংসে গুড়া মশলা আদা পেঁয়াজ তেল লবণের বাগারে
মানায় ঠোঁট-চাপা জ্বলন্ত সিগারেট।
যদিও শীত ও বসন্তে নানা রঙে ভরে উঠে ফুলদানি,
আসলে আমাদের দুটিমাত্র মহত্ লাল উত্সব-
একটি মোসলমানী আর...
চারটা বাজতে পনের মিনিট বাকি। রমনা পার্কের ভেতরে দাঁড়িয়ে রুহুল এই শীতেও দর দর করে ঘামছে। তার সামনে হিমেল দাঁড়িয়ে আছে। সে রুহুলকে নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করে বলল - 'দোস্ত সব ঠিক আছে। দেখতে তোকে পুরা শাহরুখের মতো লাগছে। এখন যা সব কিছু নিয়ে বটমূলে গিয়ে দাঁড়া।’ রুহুল পকেট থেকে একটা টিস্যু বের করে মুখ মুছলো। তারপর বলল - 'দাঁড়া আর পাঁচ মিনিট পরে যাই। এখনও তো পনের মিনিট বাকি আছে।’ একটু থেমে ...
শুরুটা খুব সাদা-মাটা। পরীক্ষার মাঝে মাথা হালকা করতে "মুক্তির গান" ছাড়লো আজমীর। পাশের ঘরে মাহমুদের তখন মাথা ঝাঁ-ঝাঁ করছে টেক-হোম টেস্টের সমাধান করতে গিয়ে। পড়ার বিরতিতে পাশের ঘর থেকে ভেসে আসলো মুক্তির গান। সেই গান শুনেই মাথায় খেলে গেল একটি চিন্তা। আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম কীভাবে যেন দূরে সরে যাচ্ছে। ভাবতে বসে গেল ইতিহাসের কথা।
ব্যাকরণে 'সেমিকোলন' ব্যবহৃত হয় দুটি সম্পূর্ণ বা প্র...
(পূর্ব প্রকাশের পর)
এই লেখার প্রথম খণ্ডের পর অনেকেই আমার কাছে ব্যক্তিগত ভাবে জানতে চেয়েছেন আমি চারদলীয় জোটের বিরুদ্ধে প্রচার চালাতে এ ধরণের পোস্ট দিয়েছি কিনা? আমি তাদের কথায় অবাক হয়েছি। এই লোকগুলো খুনী, নরপিশাচ- একথা প্রমানিত সত্য। এদের মতো খুনিকে জেনেশুনে সমর্থন দেয়াটা অবশ্যই যে কারো বিবেকে বাধবে। অথচ এদেরকেই দেশের আইনপ্রণেতা হবার জন্য মনোনয়ন দেয়া হয়েছে !! এ ধরণের ঘটনা মনে হয়...
হায় বেদনায়
নীল হয়ে বেঁচে রয়
জীবনের সাধ!
তবু আশা, ভালবাসা অশ্রুর ফোঁটায়
আকাঙ্ক্ষা অবাধ।
দু’বাহু বাড়ায় মন ঘন কুয়াশায়;
ঢেকে যায়, রয়ে যায় স্বপনের আভাস।
তবু করে বাস
আলোর জোনাকি, ঘোরে লুকোচরি রাত।
চন্দ্র হারায় আলো আসেনা প্রভাত!
তবু জেগে রয় –
তক্ষকের ডাকের মত পেঁচার ডানায়,
চাতকের ঠোঁটে করে ভর অনন্ত প্রহর –
আশার প্রহরায় জেগে রয়, বেঁচে রয়
এ জীবন অনন্ত, অগাধ!!
কড়াই থেকে তপ্ত তেল ছিটকে এসে লাগে কব্জির কাছে আর আঙুলে, চড়াৎ করে ওঠে যন্ত্রণার অনুভূতি। কলের ঠান্ডা জলধারার নিচে রাখি হাত, জল কব্জি আর আঙুল ধুয়ে স্নিগ্ধ করে দেয়। তবু জ্বালা করে বেশ, তখন রাঁধছিলাম, হাতের কাছেই আলুর টুকরো ছিলো অনেক, সেগুলোর থেকে একটা তুলে পোড়া জায়গায় বোলাতে থাকি। সঙ্গে সঙ্গে জল পড়েছে, আশা করতে থাকি হয়তো পোড়াদাগ ফুটবে না।
আজ সকালেই ড্রাইভ করে নিউইর্য়ক যাবার পরিকল্পনা ছিল। আজ রোববার ডিসেম্বর ২১ থেকে আগামী রোববার ডিসেম্বর ২৮ পর্যন্ত থাকার ইচ্ছে। এখনও রওনা দিতে পারিনি, তবে শিঘ্রী দেব।
ভাবছিলাম নিউইয়র্কের সচলদের সাথে একটা আড্ডার আয়োজন করা যায় কিনা। যতদূর জানি ফকির ইলিয়াস নিউইর্য়কে আছেন। আর কেউ আছেন কি? চলুন একটা সচলাড্ডা হয়ে যাক নিউইয়র্ক শহরে।
অনুগ্রহ করে আমাকে ইমেইল করুন udvranto এট জিমেইল.কম অথবা ...