হিমুর বুদ্ধিমতো কবিতার শুরুতে কিছু ডিসক্লেইমার জুড়ে না দিলে দেখা যায় কাব্যদেবী ফ্রন্ট পেইজেই স্ট্রীপ টীজ চুড়ান্ত করে ফেলেছেন। গদ্যের ক্ষেত্রে এরকম হচ্ছে না। সমস্যটা হয় কবিতার নইলে কোন বাঘের নইলে কীজানি?
অনেকদিন কাব্যদেবী আঁখ মারেনি। আজ সন্ধ্যা নাগাদ গজব ব্যস্ততার এক ফাঁকে মেরে দিলো। আমিও ভাবলাম এসেই যখন পড়েছিস তখন ....কপালের উপর এক খাবলা ডিসক্লেইমার নিয়েই নাম......
...
নীচের রাস্তাটায় মানুষের চলাচল কমে গেছে । হাসপাতালের উপর ছয়তলা থেকে নীচে তাকালে শীতের রাতের হালকা কুয়াশার ভিতর দিয়ে চলে যাওয়া দু’একটা মানুষ কে দলছুট পিঁপড়ার মত মনে হয়, যেন নিজের সারির খোঁজে হন্তদন্ত হয়ে ছুটে চলা মানুষ। ছোটকালে লম্বা সারিতে ব্যস্ত ভংগীতে ছুটে চলা পিঁপড়াদের সারি থেকে দু’একটা পিঁপড়া কে সরিয়ে দিলে সারি হারান পিঁপড়া গুলো যেমন পাগলের মত এদিক ওদিক ছুটাছুটি করত সারি...
পত্রিকাটা, আজকের, হাতে নেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে হাহাকারে নিভে গেলাম। বুকের ভেতর অতর্কিতে জমে উঠা ভেজা দলা নিজে থেকে বের হওয়ার সাহস করে না- চোখ-মুখ দিয়ে বের হয়ে গেলে তাই যে স্বস্তিটুকু পাওয়া যেতো, অক্ষম ক্রোধে সেটি আরও দলা হতে হতে ঘুর্ণি তোলে। নিজেকে ছিঁড়েখুড়ে টুকরো টুকরো করে ফেললে যে শান্তিটুকু পাওয়া যেতো, সেটি নির্বাপিত হয় বালিশে মুখ লুকানোর মধ্যে।
অবোধের চেয়ে একটু বড় একটা শিশু কাঁ...
আজগর গজগজ করতে করতে বলে - "কাজের বেটি এইটা কোন কামই করতে পারে না ঠিকমতো"
"কেন, কি হইসে?" - নিরীহ মুখে প্রশ্ন রাখে মার্শাল।
"আরে বাল, জিন্সের প্যান্টের লগে জাঙ্গিয়া একলগে ভিজাইসে ধোয়ার লেইগা। জাঙ্গিয়ার রঙ ধুইয়া প্যান্টের বারোটা বাজায় দিসে।"
"এহ... নিজের জাঙ্গিয়া নিজে ধুইতে পারোস না? নবাবের বাচ্চা হইসোস নাকি?"
"ক্যা? নিজের জাঙ্গিয়া নিজে ধুইলে আর কামের বেটি রাখসি কিল্লেইগা?"
মাঝখানে থেকে ...
বাল্যকাল থেকে বাংলা আর হিন্দি ছবি দেখতে দেখতে মনের মধ্যে সবসময় একটা সাধ জাগতো, কবে আমি মাকে দৌঁড়ে এসে জড়িয়ে ধরে বলবো-“মা মা আমি ফার্স্ট ক্লাস পেয়েছি”। এই “ফার্স্ট ক্লাস” হওয়ার পরে মায়েদের আর কোন চিন্তা থাকেনা- ছেলের আগে প্রেম না থাকলে প্রেম হয়, একটা ভাল চাকরি হয়, মা আর বোন মিলে বউ খোঁজা শুরু করে, গরীব থাকলে বড়লোক হয়ে যায়- আরো কত কি।
দিনে দিনে বেলা গড়ানোর পর এখন আমার বল...
এই ছবিগুলো আজ দুপুরে তোলা, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়া মসজিদের সংরক্ষণ কাজ করতে করতে আমরা যেসব প্রাণীকুলের দেখা পেয়েছি, তার মধ্যে উনাদের জ্ঞাতি-স্বজনরাও ছিলেন। আমরা উনাদেরকে নিকটস্থ কবরস্থানে পুনর্বাসনের জন্য চেষ্টা করেছি। এই পুনর্বাসন প্রকল্পের (!) বিরোধিতাকারী কিছু দখলবাজ পুঁজিবাদী অথবা সকল সম্পত্তিতেই সকলের অধিকার আছে এমন কম্যুনিস্ট অথবা তোমাদের সম্পত্তিতে আছে অসহায়দের অধিক...
আমার যখন দেড় বছর বয়স তখন একজন ভদ্রমহিলা তার ছ'বছরের মেয়ের হাত ধরে আমাদের মফস্বল শহরের টিনের-চালা বাংলো বাড়িতে কাজ করতে এলেন। গ্রামের গৃহস্থ বাড়ির বউ ছিলেন, বাচ্চা হবার সময় শহরে বাবার কাছে এসেছিলেন, তার স্বামী নিচ্ছি-নেব করে আর বাড়ি ফিরিয়ে নিলেন না। ছোটো মেয়েটাকে নিয়ে কাজ খুঁজতে খুঁজতে আমাদের জীবনে চলে এলেন। রাতারাতি 'আদরে বাঁদর' করার মতো দু'টা মানুষ পেয়ে গেলাম আমি! আমার যত আব্দার ...
স্কুলে 'সপ্তর্ষি' অর্থাত্ আমরা সাত বিচ্ছু ছিলাম অতি কুখ্যাত ! পড়াশুনোয় মন্দ ছিলাম না , এক থেকে দশেই আটকে থাকতো সবার রোল নাম্বার...সেকারনেই অনেকবার মরতে মরতেও বেঁচে গেছি | ক্লাস নাইনে তখন , সময়টা ২০০১...টিচাররাও মোটামুটি হাল ছেড়ে দিয়েছেন এই ভেবে --চলেই তো যাচ্ছে মেয়েগুলো ; আর তো মাত্র কটা দিন !! মাধ্যমিকে ঐচ্ছিক বিষয় ছিলো কম্পিউটার; জিনিষটার কিছুই বুঝি না তবু ফাঁক পেলেই ঘাঁটাঘাঁটি করি .....
পশ্চিম আফ্রিকায় পদার্পণের সাড়ে ৩ মাস পেরিয়ে গেল। দিন তারিখ দ্রুত বদলাচ্ছে । পঞ্জিকার পাতা ওল্টাতে মনে থাকে না। প্রতিদিন দিনপঞ্জিতে প্রবাসজীবনের টুকিটাকি নিয়ে অন্তত ২-১ লাইন লেখার পরিকল্পনা থাকলেও মাসে একবারও লেখা হয় কি হয় না। কোন কোন রাতে হঠাৎ আবিষ্কার করি আজ পূর্নিমা। টিক দিয়ে রাখা ওয়েবপেজে দ্বিতীয়বার ঢোকা হয় না। অন্তর্জালের অপব্যবহার করে নামিয়ে নেয়া গানগুলোও বেশিরভাগ সম...
ওবাসুদ নামে জাপানে একটা প্রথা চালু ছিল ছোট ছোট কয়েকটা গোত্রের মধ্যে।বয়স সত্তর পেরোলে তাদের কোন নির্জন পাহাড়ের উপর নিয়ে রেখে আসা হয়।আস্তে আস্তে তারা ক্ষুধায়, পানিশূন্যতায় মারা পড়ে। মৃত্যু নিয়ে কতরকম প্রথা চালু আছে বা ছিল তার ইয়ত্তা নাই। ভাবেন সহমরণের ব্যাপারটা, আমাদের উপমহাদেশেই চালু ছিল। কি ভয়ানক!
...