দক্ষিণ এশিয়ার পানিবিরোধঃ চীনের ব্রহ্মপুত্র থেকে পানি প্রত্যাহার প্রকল্প-পর্ব ২
[justify]
গত পর্বে আমি এই প্রকল্পের ইতিহাস নিয়ে আলোচনা করেছি। আজকের পর্বে প্রকল্পের বিবরণ ও এর প্রভাব নিয়ে আলোচনা করব।
কি থাকছে ইয়ারলুং সাংপু প্রকল্পেঃ
এই প্রকল্...
২য় পর্ব এবং শেষ
আজকে আড়ং যাবই যাব
আশা করি খোলাই পাব,
খেয়ে দেয়ে পেট পুরিয়ে,
দু চোখ থেকে ঘুম উড়িয়ে
ভর দুপুরে ছাতা মাথায়
যাচ্ছি আমি আড়ং যেথায়,
যাওয়ার পথে খানিক থেমে
রিকশা থেকে একটূ নেমে
কিনে নিলাম ওয়ারিদ সিম,
জিপিটা ছিল ঘোড়ার ডিম।
আবার শুরু রিকশা ভ্রমন,
উদ্দেশ্য আড়ং গমন।
অনেক খানি পথ পেরিয়ে
সিগনাল আর জ্যাম এড়িয়ে ,
রিকশা এসে থামল যখন
আড়ং টা আজ খোলাই তখন ।
উত্তল দর্পণ
...
মনে আছে মাধ্যমিক স্কুলের ছাত্র হিসাবে ইংরেজিভাষী আতিথির সাথে কথা বলার সময় বাংলা বাক্যগুলিকে প্রথমে মনে মনে ইংরেজীতে অনুবাদ করে নিতাম। উচ্চ মাধ্যমিকে উঠে ভেবেছিলাম ইংরেজিভাষী কারো সাথে কথা বলার সময় যদি ইংরেজীতে চিন্তা করতে পারি তবে হয়ত আমার ইংরেজী ভাষা শেখার ব্যাপারটা অনেকটা এগিয়ে যাবে। আর এখন আমি বাংলা শব্দের মানে বুঝি ইংরেজীতে। স্বীকার করতেই হবে ভাষা শেখার ব্যাপারে আমার ...
দরজা
কিছু দরজা বন্ধ থাকাই ভালো। কিছু দরজা কখনোই খুলতে নেই। কিছু দরজা কখনোই থাকতে নেই। তবু, কাল হঠাৎ করেই ভুল দরজাটাই খুলে ফেলে রূপকথা। আশ্চর্য, এই ঘর তার পরিচিত। এখানে রূপকথা আগেও এসেছে। দেয়াল থেকে শুরু করে খাট, টেবিল, চেয়ার, আলমিরা সব তার পরিচিত। এই ঘরের জানালায় বসেই রূপকথা অপেক্ষার প্রহর গুণতো। ভাবতো ইফতির কথা। ইফতি তখন প্রায়ই দেরি করে বাড়ি ফিরতো। বাড়ি যতো কম আসা যায় ততোই ভালো...
প্রিয় হাসিখুশি,
আজ ছুটি। কলেজ নেই, কিন্তু প্রচুর কাজ ছিল। কিছুই করতে পারলাম না। ছ’টা বড় লেখা লিখতে হবে বিভিন্ন কাগজের জন্য। কিছুতেই লেখায় মন বসছে না। স্বাতী এসে ফিরে গেছে বলে মন খারাপ আর তাই লিখতে পারছি না, এমনটা নয়। মন খারাপ হয়ে আছে এমনিতেই। কেন খারাপ হচ্ছে জানলে তো মন ভালো করার জন্য একটা ব্যবস্থা নেওয়া যায়। যে অসুখ তুমি বুঝতেই পারলে না, তার চিকিৎসা করবে কি করে? কিন্তু এমনটা মাঝে...
হয়তো বেশি না। মাত্র ৬ মাস । এই ৬ মাসে বদ্লে গেছে অনেক কিছু। শিক্ষা জীবন শেষে মুখোমুখি বাস্তব জীবনের। সবাই কমবেশি ছড়িয়ে পড়ছে, সেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে কি করবে। আজ হয়ত শেষ দেখা কিংবা আবার দেখা হবে। কে জানে..... সময় বেশি নেই, জরুরী কিছু কাজ বাকি, কাল বাদে পরশু এই শহরের ভোর হবার আগেই চলে যাবে সে। অথচ তার কোন পাত্তা নেই, এক ঘণ্টা হয়ে গেল। এইভাবে আর কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা যায়। বলল তিনট...
ভয়
আমি ভয় পেয়েছিলাম সেই দিন, অতি গোপনে
যেদিন আমার চোখের সামনে হাসপাতালের মেঝে
ছোট্ট শিশুটি বাঁচার তীব্র কাঙ্খায় তাকিয়েছিল
তার চোখের ভাষা যেন সবার কাছে আকুতি-মিনতি
করে বলছিল 'বাঁচিতে চাই সুন্দর ভুবনে'আমাদের
তাকানোর ভেতর দিয়ে সে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল
সেদিনই উপলব্দি করেছি সব জীবের মৃত্যু অবধারিত
আজ সে কথা নিজের করে ভাবতে ভাবতে মনে হলো
এ-জীবনের যত ইচ্ছে, যত বাহাদুরি সবই ম...
আমার কোনো শব্দ নেই
আমার কোনো আমি নেই। তবু
আমার শরীর ঘিরে মেঘেদের মিছিল,
আমার কোনো নদী নেই
তবু আমি মাঝিদের দুঃখ বুঝি।
আমার দুঃখগুলো পিঁপড়ে টেনে নিয়ে যায়...
যে যার মতো করে আমার শরীরে
বৃষ্টি ঝরায়। আমি কাঁপন টের পাই,
তবু আমি জল খুঁজে পাই না।
যে যার মতো আমাকে নিয়ে খেলা করলো
তবু আশ্চর্য, আমি আমাকে কোথাও খুঁজে পেলাম না।
স্বাধীন হওয়ার তীব্র ছুটাছুটির সবকটা স্তর পারি দিয়ে প্রেমহীন আমি এখন পুরা প্রেমিক। স্বাধীনতা টিকিয়ে রাখতে কতইনা পাক পরিকল্পনা করতে হয়েছে আমাকে। আর কতইনা মধুর বানী ঝড়িয়েছি কন্ঠে আমার-রেখেছিলাম আচ্ছন্ন করে তাকে-তারই লেখা কাব্যে। দাঁড়িয়েছিলাম কতোকাল সিমানায় অতন্দ্র প্রহরী হয়ে-একাই। অভ্যন্তরে আসতে হয়েছে কতোবার শৃংখলা রক্ষার্থে, দুর্যোগ মোকাবেলায়, পূনর্বাসনেও। এভাবেই চলতে থ...
গত বছর সেপ্টেম্বর মাসে সচলে অতিথি-সচল হয়ে লিখতে শুরু করেছিলাম। তার আগে উঁকি মেরে মেরে চলে যেতাম, এখানের লেখাগুলো পড়ে ভালো লাগতো কিন্তু নিজে কেমন করে লেখা যায় সেই কৌশল কিছুতেই বুঝতে পারি নি। ঘটনাচক্রে একদিন জানা হয়ে গেল তাও। তারপরে আর কি, ব্যস! বেশ নেশা জমলো, হাবিজাবি যা পারি লিখে যাই, একসময়ে ছবিও জুড়তে শিখলাম। তারপর একদিন পূর্ণ সচলও হয়ে গেলাম। খেয়াল করে দেখি আজকের এই পোস্টটা হবে ...