অগ্রন্থিত শব্দেরা মিছিল করে-
ধূলি-ধূসর রাজপথে, অলিতে গলিতে।
দিনশেষে ঘরে ফেরা ঘর্মাক্ত মানুষের মুখে মুখে
ফেরী হয় তারা, মাঝে মাঝে কুঁড়ে ঘরের স্যাঁতস্যাঁতে আঙ্গিনা ছেড়ে
আদিম আক্রোশে মাথা ঠুকে দুর্গম প্রাসাদের প্রাচীরে প্রাচীরে।
শব্দগুলি শানিত ফলার মতো ঝলসে ওঠে দুপুরের তপ্ত রোদে,
রক্তবীজের ঝাড়ের মতো তারা পালে পালে উঠে আসে
মহাকালের অতল গহ্বর থেকে, অজানা ইতিহাসের কলঙ্কিত অধ্য...
তোমরা বৃষ্টিতে হাত ধ’রে ঘোরো
প্রেমের জ্ঞাতসারে।
তোমাদের আকর্ষ
বাড়িয়ে দেয় আমাদের দ্বিধা-দুঃখ
অসহ বন্ধনের আনন্দে
গায়ে-পড়া-বৃষ্টিকে
তোমাদের আজ
মনে হইতেছে বাতাস-
যেখানে সীসা নাই মেশানো
ডুব দিয়ে শ্বাস নেয়া সহজ
প্রেমবিদীর্ণ দুর্ধষ অধিকারে
এখন তোমাদের প্রেম
পার হয়ে যেতে-যেতে আমরা
কী ভাবতেছি বলো তো?
প্রেম, বীর এক ক্যাপ্টেনকে হারায়ে
আমরা পৃথিবীর শেষ প্রান্তে;
খুঁজতেছি তারে
...
লিখতে গেলে ছন্দ ভুলি ছন্দ পেলে সুর
শব্দ খুজতে তোমায় পেলাম একি সুমধুর
রঙিন শব্দ রাত জুড়ে ছিল আমার ঘরে
সকাল হতেই তোমায় দেখি অনেক দূরে
কৃষক জানে কেমন করে চাষ দিতে ক্ষেত
মন ময়ুরী পেখম নাচে চায় বর্জ্রনাদ
দিন জুড়ে মাঝ উঠানে তোমার পদধ্বনি
সন্ধ্যা সাজে বুকের মাঝে উস্কানি দেয় উনি
তোমায় পেলে শব্দ ভুলে শ্বাসের বেগ বাড়ে
তুমি তখন শান্ত মনে ডুবলে অথৈ জলে
জল থেকে ডুবুরিদের তুলতে তোমায় বলে...
ফুফাতো বোন কথন
এটা সে সময়ের কথা যখন আমাদের পরিবারের কতিপয় বালক বালিকা(আমি সহ) তখনও স্কুলের গন্ডি পেরোয়নি। বোঝায় যাচ্ছে আমরা ছিলাম তখন নিতান্তই দুধ-ভাত দর্শক। এমনই এক সময়ে আমার এক ফুফাতো বোনের বিয়ে ঠিক হল, সে নিজেও তখন সবে কলেজ পাস করে ইউনিভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছিল, তাই তাকেও খুব একটা কেউকেটা বড় টাইপ হিসেবে গন্য করা হত না। আমাদের পরিবার বিশাল পরিবার, দাদার দিক থেকে আমরা মোটমাট ৫৭ জ...
হুট করেই একটা উপন্যাস লিখে ফেললাম... টুটুল ভাইয়ের হাতে পায়ে ধরে কান্নাকাটি করে অনেক কষ্টে রাজী করালাম ছাপাতে... ভাবছিলাম কান্নাকাটিতেই শেষ হবে... কিন্তু...
হঠাৎ টুটুল ভাইয়ের ফোন-
: নজরুল আমার তো মেয়ে লাগবে...
কী বলে টুটুল ভাই? লোকটাকে তো ভদ্রলোক বলেই জানতাম। নাহয় একটা বই বাইর করতে চাইছি... তাই বইলা এইরকম কথা? আমি কবে থেকে মেয়ে সাপ্লায়ার হইলাম?
যাহোক... কী আর করা? লেখক...
কলিকালের এই পৃথিবীটা অবশেষে ছাড়তেই হলো।
হুমায়ূন আজাদের কবিতার লাইন 'মানুষের সঙ্গ ছাড়া আর সবকিছুই ভালো লাগে' ক’দিন ধরেই মাথার ভেতর ঘুরপাক খাচ্ছিলো। প্রথমে মনে হয়েছিলো লাইনটি নিয়ে কিছু চিন্তাভাবনা করার একটি মহান দায়িত্ব প্রয়াত আজাদ সাহেব উপর থেকে আমার ওপর চাপিয়ে দিয়েছেন। চিন্তাটা ভালোই লেগেছিলো। এনজিওতে কাজ করা একজনের মাথার মধ্যে যখন এ ধরনের থিমেটিক চিন্তাভাবনার দায়িত্ব এ...
১...
নবাগত সপ্তম শ্রেনীর ট্যালেন্ট শো' অনুষ্ঠান। নবাগত যেহেতু, পোলাপান কেউই কোন কিছু সম্পর্কে জানে না। সবাই গান গাইতে চায়, কবিতা আবৃত্তি করতে চায়। বলাই বাহুল্য বেশীরভাগেরই কিছু হয় না। তাই মানসম্মত একটা অনুষ্ঠান করার দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন বাংলার আবুল হোসেন স্যার। তার পরিচালিত অনুষ্ঠান মালার জন্য তিনি একটা সমবেত সংগীত লিখে ফেললেন। গানটার সব কথা মনে নেই, খালি মনে আছে- কোরা...
তোমার সাথে পালিয়ে যাব বলে
প্রহর গুণে কাটিয়েছি সেই রাত
অশ্রু নয়ন ঢেকেছি কাজল এঁকে
শাসনের বেড়ী ভেঙ্গেছে এদুটি হাত।
তোমার সাথে পালিয়ে যাব বলে
মায়ের আদর সিন্দুকে দিয়ে তালা
বাবার স্নেহ ভেবেছি সুখের পথে
শাড়ীতে জড়ানো চোরকাঁটারই জ্বালা।
তোমার সাথে পালিয়ে যাব বলে
ছোট বোনের ভাবিনি ভবিষ্যত
শুতে নেইনি আদরের ভাইটিকে
পাছে মায়ায় আটকায় মোর পথ।
তোমার সাথে পালিয়ে যাব বলে
দেখিনি শখের ব...
[justify] এডমনটনে আমি আসলাম ২০০৭ এর জানুয়ারীতে| প্রায় তুষারে ঢাকা এই শহরটাতে এসে মনটা প্রথমে অসম্ভব খারাপ হয়ে গিয়েছিল| যে শহরটাকে ট্রাফিক জ্যামের শহর বলে গালি দিতাম, কেন জানি সেই শহরটাকে বড্ড বেশি মনে পড়া শুরু করল| আস্তে আস্তে সময় গড়াল, একটু একটু করে এখানকার বাঙালী সাংস্কৃতিক কর্মকান্ডের সাথে নিজেকে জড়িয়ে নিয়ে বেশ ভালই কেটে যাচ্ছিল দিনগুলি| গত ২০০৮ এর ফেব্রুয়ারী মাসের কথা| আমরা একুশে ...
আমার বইটা চলে আসবে বোধহয় শেষ পর্যন্ত
প্রকাশক বলে দিয়েছেন বই উদ্বোধনের অতিথি থেকে দর্শক ডাকাডাকি সব দায়িত্ব লেখকের
বইয়ের মোড়ক খোলার দর্শক হিসেবে আমি থাকব আর পদাধিকার বলে আমার বইয়ের মোড়ক খুলবেন গল্পের চরিত্ররা
এটা মোটামুটি ঠিক করে ফেলেছি
০২
খাড়া দৌড়ের উপরে থাকলেও দুর্দান্ত প্রচ্ছদটা করেছেন আমাদের সচল নজরুল
০৩
[url=http://www.sachalayatan.com/leelen/21621]বইয়ের প্...