হারিয়ে যাওয়া কবিতা। ১৯৯৮ থেকে ২০০৫ সালের মধ্যে লেখা আমার কবিতার সংকলন। প্রচ্ছদ হয়েছে অবশেষে। শিল্পী অশোক কর্মকার। শুদ্ধস্বর থেকে বেরুচ্ছে বইটি।
ঠিক কতক্ষণ ধরে দৌড়াচ্ছিলাম মনে নেই, হয়তো এক সেকেন্ড, হয়তো এক শতাব্দী। পিপাসায় বুকের ছাতি ফেটে যেতে চায়, তবু থামতে পারি না। কতটা পথ পাড়ি দিয়েছি স্পষ্ট মনে করতে পারি না, শুধু ঝাপসা মনে পড়ে প্রাচীন কোন এক সময়ের কথা। চলতে চলতে কখন যেন এই পথেরই মানুষ হয়ে গিয়েছি।
হঠাৎ কীসে যেন পা আটকে যায়, মুখ থুবড়ে পড়ি। কে যেন ফিসফিস করে কানের কাছে এসে বলে যায়, "শেষ, তোমাকে আর দৌড়াতে হবে না"।
সেই মুহূর্তে...
আজিজ মার্কেটের শুদ্ধস্বর থেকে বই নিয়ে এসেছেন সবজান্তা ।
মোড়ক উন্মোচনের উপস্থিত থাকব । সবজান্তা, সবুজ বাঘ এবং আবু রেজা কে দেখা যাচ্ছে ।
লোক জমেছে প্রচুর, কিন্তু প্রকাশক এখনো এলেননা । চিন্তায় পড়েছেন তাই লেখক । মুঠোফোনে প্রকাশকের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা ।
অবশেষে এলেন সস্ত্রীক প্রকাশক ।
নজরুল ওরফে দেলগীর ভাই, সাথে নুপুর ভাবী ।
লিটল-ম্যাগ চত্ত্বরে শুদ্ধস্বরের স্টলে বসেছে ...
একটি ভালো টিভি রিপোর্ট তৈরীতে শুধু মাত্র টিভি রিপোর্টারই নয় , ক্যামেরাম্যান ও ভিডিও এডিটরের যেমন সমন্বয় থাকা প্রয়োজন তেমনি সমন্বয় থাকা দরকার রিপোর্টারের সাথে সাক্ষাতকার প্রদানকারীরও। সংবাদ উপস্থাপনের ক্ষেত্রে একজন টিভি সাংবাদিকের যেমন শব্দের সাথে ছবি কিংবা দৃশ্য সংযোজনের সময় সতর্কতা অবলম্বন করতে হয়, তেমনি যারা মিডিয়াতে কথা বলবেন তাদেরকেও যথেষ্ট সর্তক থাকা উচিত। কিন্তু ...
ইলিয়াস আমাদের কাছে খুব বেশি মালমশলা রেখে যান নাই, মাত্র ২৮ টা গল্প, অল্প কিছু প্রবন্ধ আর ২ টি উপন্যাস, সাকুল্যে এই আমাদের সম্পদ। কিন্তু অল্প সংখ্যক লেখা দিয়াই তিনি নিজের স্টাইল দাঁড় করে ফেলেছেন। যে কারণে ইলিয়াসের লেখা পড়েই আমাদের বুঝতে অসুবিধা হয় না এটা কার লেখা।
তো কি সেই স্টাইল?
আমি জেনারালাইজড করতে পারছি না। তবে নিজের পাঠানুভুতি বলতে পারি।
ইলিয়াসের সবচেয়ে সমৃদ্ধ লাগে বর্ণনা...
সাউথ হলের পাঁচতলার আমাদের ব্লকের সীমানায় একেবারে পূর্ব দিক ঘেঁষে করিডোরের শেষ মাথায় যে জায়গাটুকু সেটা আমাদের সবারই খুব প্রিয় জায়গা। সেখানে হাত দিয়ে হেলান দেয়ার জায়গাটুকুতে পা ছড়িয়ে বসে আয়েশ করে অনেক কিছুই দেখা যায়। ইট কাঠের জঞ্জালের ধোঁয়া ওঠা শহরে এখনো যে কিছু গাছ আছে সেটা বোঝা যায় সবচে ভালোভাবে। ক্যাম্পাসের পূর্বদিকের সীমানা ঘেঁষেই ঢাকা গাজীপুর হাইওয়ে। সে রাস্তায় জীবন থে...
কলকাতা থেকেই শুনে এসেছিলাম কল্লোল'দা ঢাকায় আসছেন। জানতাম না, আমি যেদিন আসছি, উনিও সেদিনই মানে কালই এসে পৌঁছুচ্ছেন ঢাকা ছবিমেলা পাঁচ-এ। কল্লোল'দা, (কল্লোল দাশগুপ্ত) একজন লেখক, মানবাধিকার কর্মী, সমাজ সচেতক, লেখক, সুরকার ও শিল্পী। কাল রাত দুটো অব্দি আমরা ক'জনা গান শুনেছি কল্লোল'দার, সাড়ে ন'টায় গান শুরু করে উনি থামতে না চেয়েও থেমেছিলেন আমাদের ঘুম পাচ্ছিল বলে। সাথে আছেন বৌদি। শ্রোতাদের ...
কারো কারো জন্য একটি পরিচয়ই যথেষ্ট, কবি সুমন সুপান্থর লেখা পড়লে সবসময়েই আমার সেটা মনে হয়।
অফিসের বস যদি তার কর্মচারীকে কড়া ঝাড়ি দিয়ে একটা চিঠি লিখেন, সাধারণতঃ সেটা খুব কাঠখোট্টা কিছু একটা হতে বাধ্য। তবে, এক্ষেত্রে অফিসের বসটি যদি হন সুমন সুপান্থ, তাহলে আমার ধারনা সেই চিঠিটিতে কাঠখোট্টা ভাবটা থাকবেনা, পড়েই বোঝা যাবে যে এটি এক...
ফারহানা বিথী ফেসবুকে পরিচয় সুত্রে পিন্টুকে সাদা শার্ট কালো প্যান্ট পরে আসতে বলেছিলো। প্রথম দেখা হবে। পিন্টু গিয়ে দেখে সেই স্পটে আরও একদল প্রেমিক ভীড় করেছে, তাদের কেউ রোসান, কেউ সাগর, সাদা-শার্ট কালো প্যান্টে। হাতে গোলাপের স্টিক। কেবল ফারহানা বিথী নেই। প্রেম-অপ্রেমের বিষণ্ণ শহরে প্রেমিকেরা গোলাপের স্টিক ফেলে আরও বিষণ্ণ হয়। কিন্তু, ডিজুস লাভার পি...
বাঙলা সিনেমায় হলেই গল্পটা ভালো মানাতো। কিন্তু ঘটনা বাঙলা সিনেমার না। বাস্তবের। আমাদের বেলকুচি’র আদালত পাড়া এলাকার। আমরা আদালত পাড়ার নাম অনায়াসে শোভাদের পাড়া বলতে পারি। অন্তত এই গল্পে সেটাই ডিমান্ড করে। তাই কাগজ-কলমে আর আমাদের বাপ-দাদাদের জমিজমার পর্চায় আদালত পাড়া নামটাকে বিদায় জানাতে চাই, কি বলেন? তবে গল্পে প্রবেশের আগে আদালত পাড়া থুক্কু শোভাদের পাড়ার একটু বিবরণ দেয়াটা সমু...