আজ একটা ডিনার ছিলো এক ভারতীয় ডিপ্লোম্যাটের সাথে, যিনি কিনা আমাদের স্কুলের অ্যালাম। তালেবর লোক, আই এ এস পরীক্ষায় ৫ম হয়েছেন ইত্যাদি। কিন্তু ওঁর সাথে সেই ভোজসভায় বিনি পয়সায় সুখাদ্য খাওয়া ছাড়া বিশেষ কিছু করার ছিলো না আমার। খাঁটি কবিরা নাকি দুঃখে দারিদ্রে লেখার প্রেরণা পান, আমার তো দিব্বি কাব্যরস বইলো ফিলে মিনিয়ন খেতে খেতে (এতেই বোঝা যায় ভে...
সেদিন ছিল পূর্ণিমা, বিস্তীর্ন আকাশের পুরোটা জুড়ে।
আমি ঘর থেকে বাহিরে,
সামনের ওই বারান্দাটায় দাঁড়িয়ে।
ঠিক পুরোপুরি মনে নেই হয়তো;
হয়তো বা আমারই বাসর রাতের কিছুদিন আগের কথা-
একফালি চাঁদকে আমি নিজের মত করে;
প্রচন্ড ভালবেসেছিলাম!
আশ্চর্য, সেই চাঁদও হয়তো,
আমাকে ভালবাসতো...
নয়তো প্রতি পূর্ণিমা রাতে,
কেন তার এতো রূপ নিয়ে আসা-যাওয়া?
আজ অমাবস্যা-
চারদিক ঘন অন্ধকার করে,
চাঁদের ছুটি নিয়ে ...
ওলগা। ওলগা ফ্লাইশহাকার। অনেকদিন পরে নামটা মনে পড়লো। একসাথে পদার্থবিজ্ঞান, দর্শন আর স্থাপত্যের ছাত্রী ছিল। মাথায় পৈতে বামুন টাইপ টাক। চান্দির আধা বিঘৎ নিচে ইঞ্চি খানেক চুলের আভাস। বামপন্থী গ্রীনের সমর্থক ছিল তখন। পরে কর্মী হয়েছিল। এক লিটারের বড় গ্লাসে জীবনে সেই প্রথম চুমুক। জার্মান ভাষায় যাকে বলে মাসেন ক্রুগ। গ্লাসের চুড়া ছেড়ে আড়াই ইঞ্চি পর...
সবাই জানতে চায়
তুমি গিয়ে
কী করবে
তুমি কিছু বলো না
তোমাদের কি আর
দেখতে পাবো ওই
এক পাহাড়ের
বারান্দায়
যারা তোমার কাছে
জানতে চায়
তারাও
তোমার চাওয়ার
জবাব জানে না
তোমরা সকলেই এসেছিলে?-
বহু বহু দিনের পর
একে একে
দ্যাখার ছোট্ট
কৌতূহলে
তুমি তো একা
ওইখানে
গিয়েছিলে অনেক-
যেমন যায়নি
কখনো আর কেউ
আজ সবার
আসিবার কথা
অথচ তুমি
ওইখানে
নাই
একই পাহাড়ের
বারান্দায়
তোমাদের আবার
এই জী...
ভিতরে-বাহিরে, অন্তরে-অন্তরে
. ...
আজকের দাওয়াই ফুলান্তিস।
পাম্পার আর ছিপি ঘরে থুইয়া করেন কী? একটা সহি পাকমনপেয়ারু ধইরা চলেন ফুলায়া ফাটাই !
১।
বহু আগে থেকেই এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ারের প্রতি আমার একটা ফ্যাসিনেশন আছে। কি মহা ক্ষমতাশালী সব জিনিস! এয়ারক্রাফট ক্যারিয়ার আর ক্যারিয়ার ব্যাটল গ্রুপ নিয়ে লেখাপড়া করার পর আমার শক্ত ধারনা হয়েছে যে এগুলি থাকার পর কনভেনশনাল যুদ্ধে আমেরিকাকে হারানো, বা কেবল ড্র-ই করা, বাকি পৃথিবীর পক্ষে আদৌ সম্ভব না। চিন্তা করে দেখুন, কিছুদিন আগ পর্যন্তও সমগ্র পৃথিবীর প্রতিরক্ষা বাজেটের ৫৫ ভাগ পে...
১৩.
মানুষ এক অবাক প্রাণী- চলতে গেলে থামতে চায়, থেমে থাকলে চলার প্রেমে মজে। সারাদিন গাড়ি ছুটছে তো ছুটছেই, ছুটছেই, ছুটছেই... থামার ইচ্ছে বাড়ছেই, বাড়ছেই...
রংপুর পার হয়ে গাড়ি ছুটছে নীলফামারীর দিকে। উদ্দেশ্য ডোমার। দুটো সুন্দর জায়গা- ডোমার, ডিমলা। কেমন যেনো ডিম-ডিম-ডোম-ডোম গন্ধ! সেই সাতসকালে ‘অংপুরত ছাড়ি’ আসার পর গাড়ি শুধু চলছেই, ডোমার যাবে, ডিমলা যাবে, ডিমলা যাবে, ডোমার যাবে, ডোমলা যাবে, ...
শহর,বাজার এইসব ছাড়িয়ে একটু একটু করে সবুজ যেখানে বাড়তে থাকতো সেইখানে ছিলো আমাদের ইস্কুল। আমাদের পাড়া ছিলো আরো বেশী সবুজের মধ্যে, বয়েজ স্কুলের পাশের রাস্তা দিয়ে পশ্চিমের দিকে হাঁটতে থাকলে একসময় এসে পড়তো জোড়া পুকুর, পাড়ে বটগাছ যার নাম তালবট, কারণ বটের মধ্যে তালগাছ, বট উঠেছে তাল জড়িয়ে, দুটো গাছই বেঁচে ছিলো দিব্যি! সেই তালবট পেরিয়ে বড়মাঠ, তারপরে আমাদের পাড়া।
আমাদের ওখানে প্রথম বই...