অন্ধকার রাত, অমাবস্যা রাতের এই ঘুটঘুটে কালো অন্ধকারেই একাকী হেঁটে যাচ্ছে বিপুল। তার হাতে কোন আলো নেই এমনকি আলো জ্বালাবার কোন উপকরণও নেই। তবুও সে হাঁটছে নির্ভীক নিশাচরের মত। মধ্যরাতের এই নিঃস্তব্ধতাকে ভেদ করে কেবল তার হেঁটে চলার শব্দ ভেসে আসছে। গাছের ঝরা শুকনো পাতা মাড়িয়ে যাওয়ার শব্দ অন্ধকারটাকে যেন আরও ভয়ঙ্কর করে তুলেছে। অথচ তার আচরণে ভয়ের বিন্দুমাত্র চিহ্নটি নেই। সে ...
অপু এখানের একটা ফোটোগ্রাফি ক্লাবের মেম্বার। সেই ক্লাবের মাঝে মাঝেই এদিক-সেদিক 'ফোটো ওয়াক' থাকে। সবাই একসাথে কোথাও যায়, একটা গ্রুপ ছবি তোলে, তারপর নিজেদের মত বেড়িয়ে পড়ে আশে পাশে সাবজেক্টের সন্ধানে। গত উইকেন্ডে অপু বলল ওরা বান্টিং যাচ্ছে। কুয়ালা লামপুর থেকে বেশ কাছেই, একটা বৌদ্ধ মন্দিরে যাবে ওয়েসাক ডে'র (Wesak Day) ছবি তুলতে। ওয়েসাক ডে হল বৌদ্ধ পূর্ণিমা। শনিবারে বৌদ্ধ পূর্ণিমা পড়েছে। এ...
আমি জিজ্ঞেস করি, ‘কি অয়ন, মাথাব্যথা করছে নাকি?’
আমার দিকে তাকিয়ে মাথা নেড়ে আবার সামনের সীটে মাথা ঠেকিয়ে রাখে সে। বাস তখন সম্ভবতঃ বাবুবাজার পার হলো বা এর কাছাকাছি। খানিক পরে আরেকবার ডাকলে সে মুখে আঙুল চেপে ইশারা দেয়, যার অর্থ হলো – ‘চুউপ, কথা নাই।‘
একবার ভেবেছিলাম – অয়ন নামাজ পড়ছে। যাত্রাপথে বাসে অনেকেই ইশারায় নামাজ পড়েন, এমন দেখেছি। তাই চুপ থাকি। টিভিতে নাটক চলছে ‘স্ক্রিপ্ট রাইট...
কারণে-প্রয়োজনে মানুষকে কাউন্সিলর-চেয়ারম্যান-এমপি-মন্ত্রীদের কাছে যেতেই হয়।যেতে হয় সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাদের কাছে।কিন্তু এই যাওয়াটা কখনোই সুখের হয়না।লেফট-রাইট করতে করতে নাকাল হয়ে কোনো কোনো ভাগ্যবান অবশেষে দেখা পান কাঙ্খিত সেই পরমজনের।কারো কারো এই সৌভাগ্য ঘটেইনা।কেউ কেউ নিজেই ইতি টানেন নিজের প্রয়োজনের।দিনের পর দিন অন্যান্য কাজের বারোটা বাজিয়ে শুধু একটা স্ব...
হাতে তোমার কয় মুহূর্ত আছে
এখন সকাল দশটা বুঝি বাজে?
এম্বুলেন্সের হর্ণ শুনেছি কালকে
হৃদয় দিয়ে হৃদয় উম্মাতাল কে?
ডাকাতিয়ায় তখন ছিল ভোর
নৌকা থেকে নামছিলো না রাত
গলুই টানে তীরের জল প্রপাত
আটকানো দম ফেরত পাবে না যে
এখন সকাল দশটা বুঝি বাজে?
ডুব মেরেছো পরস্পরের ছায়ায়
মাছ ধরতে ইচ্ছেমাফিক টোপ
মাপামাপির হিসেবটা চঞ্চল
ছুঁইয়েছিলে দুনোপাশের জল?
তখন দুজন বেহুশ ছিলাম নাতো?
ভোরের পরে নামলো ...
সচলায়তনের বিভিন্ন বিষয়ের পোস্টগুলোর মধ্যে থেকে ছবি বিষয়ক পোস্ট অথবা ছবিব্লগগুলোর উপর আমার বিশেষ আকর্ষণ রয়েছে। অরূপ ভাই, মুস্তাফিজ ভাই, মুর্শেদ ভাই, শোহেইল মতাহির ভাই, পিপিদা, হিমুদা এবং তুলিপুর ছবি বিষয়ক পোস্টগুলো সবসময় চেষ্টা করি পড়ার জন্য। ছবিগুলোর সৌন্দর্য্য দেখে সবসময়ই মুগ্ধ হয়ে যাই। এঁরা ছাড়াও যাদের নাম বলতে ভুলে গেছি তারা ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন আশা করি। সচলের কি...
এই রূপকথায় উল্লেখিত চরিত্রগুলোর সহিত বাস্তবের কিংবা পরাবাস্তবের কোন চরিত্রের কোন প্রকার মিল নাই। যদি কোন পাঠক তাহার পরেও মিল খুঁজিয়া পান তবে তাহা একান্ত ভাবে উক্ত পাঠকের দুরভিসন্ধিমূলক মনের পরিচায়ক হইবে। ইহাতে অধম লেখককে কোন প্রকারেই দায়ী করা যাইবে না।
-----------------------------------------
পঞ্চবটি রাজ্যের রাজা মাননীয় ধুগো একদা প্রাসাদের ছাদে পদচারণা করিতে করিতে বৈকালিক মৃদুমন্দ সমিরন উপোভ...
১।
আমি মৌনী ছিলাম, ছিলাম নিরর্থক ঋণী।
এবার একটু ধানী হই, ধনী হই-
একটিবার কাছেটি আয় দিকিনি!
[১৩ মে ২০০৯, মহাখালী, ঢাকা]
২।
আয় এক চুমুতে পান করি আজ প্রেমের এক চুমুক-
উত্তাপে না কাঁপুক, ঠাণ্ডা হাওয়ায় ভরি বুক।
আয় আরেক চুমোয় পান ক'রে নিই আরেক চুমুক তুই-
কাঁধের ছোট্ট চড়ুই, তোরে কোনখানে যে থুই!
[১৪ মে ২০০৯, মহাখালী, ঢাকা]
চাঁদের সাথে হেঁটে বেড়ানোর সেই রাত্রে বাবা শহর হতে ফিরলেন । ইলিশ মাছের পেটের মতো ঐদিন সারা গ্রাম চকচক করছিলো জোছনায়। বাড়ির পেছনের হাওড় জুড়ে থৈ-থৈ করছিল পানি। ঢেউগুলো বার-বার এসে আছড়ে পড়ছিলো রান্নাঘরের পেছনের নারিকেল গাছগুলোর গোড়ায় ।
রান্নাঘরে খেতে বসে বাবা বললেন দু-একদিনের মধ্যে আমাদের সবাইকে নিয়ে শহরে চলে যাবেন। পরদিন থেকেই টের পেলাম আসলেই আমরা গ্রাম ছেড়ে চলে যাচ্ছি।
বাই...
যথারীতি অতি পুরাতন লেখা! তবে মনে হয় সচলায়তনের দুই-একজন ছাড়া বাকিরা কেউ এটা পড়েননি।
আমি ভাবিলাম, ভালোই তো! এই পোড়া দেশে বসিয়া সেমাই খাইবো। মন্দ কি?
কিন্তু হায়! কিয়ৎকাল পরেই বুঝিতে পারিলাম সোনার বাংলার যাহা "সেমি" আমেরিকায় তাহাই "সেমাই"!