সিনেমা দেখে, চ্যাট করে এবং তারপর বই পড়ে রোজই ঘুমাতে অনেক দেরি হয়ে যায়। অনিবার্য ফল হিসেবে ঘুম থেকে প্রায়ই উঠি সকাল দশটা-এগারোটার দিকে। আজও সকাল বেলা এমন জম্পেশ ঘুম দিচ্ছি, হঠাৎ সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মনে হলো আমার পাশের রুমে কেউ কাঁদছে। ঘুমের ঘোরে ভুল শুনেছি ভেবে আবার পাশ ফিরে ঘুমিয়ে পড়লাম।
সাড়ে দশটায় তারেকের ফোন পেয়ে ঘুম থেকে উঠে পড়লাম। দাঁত ব্রাশ করতে করতে শুনি মা যেন বাবার সাথে ...
গত পাতাঝরার ঋতুতে গ্যাটলিনবার্গ গিয়েছিলাম। পাহাড়ি সড়ক দিয়ে গাড়ি চালাতে চালাতে একটা মোড় ঘুরতেই ম্যাজিক, সব সবুজ নিঃশেষ ক'রে সে এক হলুদের বিস্ফোরণ! অদ্ভুত এক আলো শুধু সেইখানটাতেই, তার মধ্যে যেন নীরবে বাজছে সিম্ফনী কোনো। কালো কালো গাছের গুঁড়ির উলম্ব গাম্ভীর্য আর হলদে পাতাভরা শাখার হরিজন্টাল চাপল্য, দুয়ে মিলে জাপানি স্ক্রোল পেইন্টিং।
যাঁরা গ্যাটলি...
উফফ! মাত্র নিউ মার্কেট থেকে মিরপুর-১৪ সাইকেল চালায় আসলাম।
ছোটবেলায় সাইকেল চালায় নতুন এলাকা ঘুরা ছিল আমার বড় প্রিয় কাজ। কত জায়গায় যে গেছি। কতদিন চালাই না, ইচ্ছা করে। হঠাৎ কিনে ফেললাম!
নতুন বাইসাইকেলটা গিয়ার আর সাসপেনশনওয়ালা। ভাল কইরা টেস্ট করার একটাই উপায় মনে হইল, চালায় আসা। ভাইরে, গোসল হইয়ে গেছে, কিন্তু মজা পাইছি। আজকে আর ভাবের কিছু লেখনের এনার্জি নাই। আহহহ।
এখানে কেউ গিয়ারও...
কনার সাথে দেখা হিথ্রো এয়ারপোর্টে।
কনার একহাতে তার মেয়ে, আরেক হাতে প্যারাম, সেখানে আধো ঘুমে তার আর এক মেয়েই হবে, এসব নিয়ে সে নাকাল হচ্ছিলো - তিনি শাড়ী পড়া দেখে সাহায্য করতে গিয়ে আবিষ্কার করলেনঃ কনা। সেই এক এবং একমাত্র অদ্বিতীয়া। দু একটা অনর্থক বাক্য বলে তিনি কনার হ্যান্ড লাগেজে সামালালেন, অযথাই হাসলেন। একবার ইচ্ছে করছিলো কফি খেতে বলেন, কিন্তু সাহস হলোনা। তাই তাকে তার সিটে সেটল ক...
এটা একটা অনিয়মিত ছড়ার সিরিজ। চরিত্র দু'টি, মকবুল আর জগলুল। এদের ভূমিকা পাল্টাবে। বাস্তবের সাথে মিল কাকতালীয়, ছড়াকার বা আর কেউ দায়ী নন।
মকবুল স্মাগলার, জগলুল ঠোলা
দুইজনে একসাথে বড় হওয়া পোলা।
মকবুল বর্ডারে, জগলুল ঢাকা
দুইজনে দুই হাতে খাবলায় টাকা।
মকবুল আলহাজ্জ্ব, জগলুল হাজী
দুইজনে বদমাশ হাড়ে হাড়ে পাজি।
মকবুল বিবাহিত, জগলুলও স্বামী
তাহাদের বউগুলি গাড়ি চড়ে দামী।
মকবুল মদ খায়, ...
লোকজন দেখি ব্যাপক কবিতা লিখছে রমনী বিষয়ক । বহু আগে তামাদী হয়ে যাওয়া একটা কবিতার দু'লাইন আমার ও মনে পড়ে গেলো ।
কবিতা লিখতে শিখেছে সেই রমনী
ভালোবেসে আমি যার ভাঁজ খুলিনি ।।
দোহারা দোহাই
স্মৃতির গভীর ভিড়ে অবিন্যস্ত আবার যে সময়গুলো,
খাঁজে ভাঁজে ছিল যেই পুরোনো মুখের মালা-
সবই অস্ত গেলে, ভাগ্যে
সুবেহ্ সাদিকের আলো হয়ে
তুমি চিরে নিলে সেই আঁধার।
চিরকৃষ্ণ আমাকেও টেনে নিয়ে দীর্ঘ শুক্লপক্ষে,
তুমি হ’লে পারষ্পরিক রোদের আধার।
গ্রাস করছিল আমায় কিনে নেয়া চেনা মেঘগুলো,
সমূলে ভেজাচ্ছিল তুমুল গরম ঘনভাঁপে।
ছোঁ-তে এনে ডানার ভেতর গুটিয়ে নিয়ে,
শুকিয়ে আ...
উহুঁ, আলাদা ফিস-টিস নেই
চাইলে, হাতে লেখা সাদা কাগজের একটা
ফরম দিতে পারি।
সেখানে নাম-ধাম লিখে-
সাথে পিতার বৈষয়িক বৃত্তান্ত,
এবং নীল না পেলে নাহয় সাদা খামে পুরেই
আমার বুক পকেটে ফেলে যেও মেয়ে।
শুধু তোমার জন্যই, জেনো,
শুধু তোমাকে ভেবেই আমি
কাগজে বিজ্ঞাপন দেইনি কোনও।
নইলে দু"কলামে রঙীন হরফে
ছেপে দেয়াই তো যেতো-
"কবি-র প্রেমিকা পদে লোক নিয়োগ হচ্ছে।"
হাওয়া শুঁকে শুঁকে আমি টের পেয়ে গেছি,...
বৃষ্টির মতো বিনাশী বালিকা আজ ছুটি নিয়েছে। আজ রোদের দিন
আজ কৃষ্ণচুড়া আগুন ঢেলেছে এই পথে, প্রান্তরে, কংক্রিটের
উঠোনে। আজ জারুল মেলেছে পেখম গ্রামময় প্রান্তরে।
মন ভার করেছিলো, ...ইশ্বর, তুমি ছিলে বলে লাল হলো
কৃষ্ণচুড়া, জারুল মমতায় মেলেছে চোখ, সে হেসেছে
কৃষ্ণ হে, কোথায় তুমি? বাঁশি কি তৈরি?
লীলাবতী চোখ তুলেছে...
এক বন্ধু বলছিল - সমাজ বদলের হাতিয়ার হিসেবে সংস্কৃতি এবং শিল্পী সমাজের কি করণীয়, এই মূহূর্তে আমাদের (সমাজতান্ত্রিক আদর্শে বিশ্বাসী) সামনে কোন গাইড লাইন নেই। ঋত্বিক ঘটক এক সময় কমূনিষ্ট পার্টির সামনে এ বিষয়ে একটি বক্তব্য হাজির করেছিলেন, এর বাইরে এই নিয়ে তেমন কেউ কোন কাজ করে নি। ঋত্বিক ঘটককে কম্যূনিষ্ট পার্টি থেকে বহিস্কার করা হয়েছিল, বাংলা মদের বোতলের মধ্যে চুবিয়ে চুবিয়ে সমস্ত স্...