পাথরের গান
চোখের মুদ্রায় তুমি যতই আকাশ আঁকো
আমি জানি ওখানে সাগর ;
ভ্রান্তনীল আকাশের ফাঁদে যে পাখিরা
ঝাঁপ দেবে শূন্যতার ক্ষুধায়,
জানবে না
একে একে ডুবে যাবে ওরা।
ভেসে যাওয়া পালকের স্রোতে
ডুবুরি মাছেরা যদি জেনে যায়-
ওটা তো সাগরও নয়
জলল কল্পনায় গড়া নীল-বিভ্রম শুধু !
চোখের কোটরে রাখা নীল দুই পাথরের
প্রাণহীন চকমকি ঘষে
কী হবে আগুন জ্বেলে আর,
তুমিই পুড়বে তাতে।
মাটির জরায়ু ফুঁড়ে শি...
প্রথম পাতায় নিবিড় এর লেখায় সচলচারণ সিরিজটার উল্লেখ দেখে স্মৃতিপুকুরের দুপুরজলে একটা ঢিল পড়লো, ঢিল পড়ায় যে আলোড়ন উঠলো সেই ঢেউয়ের বৃত্তগুলো ছড়িয়ে যেতে লাগলো একের পর এক। গোল হয়ে ছড়িয়ে যেতে থাকা কাঁপনের দিকে চেয়ে চুপ করে চেয়ে রইলাম। পিছিয়ে গিয়ে পুরানো পাতা খুলে সচলচারণ ৮ খুলে বসে রইলাম। সত্যি তো, আরো তো লেখার কথা ছিলো! আরো অনেক অনেক। ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৪..... কত পর্যন্ত লেখার কথা ছিলো? আহ, স...
আজ (জুন ২৬) সকালে সচলে ঢুকতে দেখি কিছু লেখায় ধর্ম্মপুত্র কমেন্ট করেছেন। কমেন্টগুলো দেখে কিঞ্চিত খটকা লাগলো। না, কমেন্টের ভাষা বা কনটেন্ট দেখে নয়, উনার নাম দেখে। দেখি উনার নামের শেষে ব্রাকেটবন্দী ডিগ্রীখানা উধাও। সোজা কথায় ব্লগার যুধিষ্ঠির পূর্ণ সচল হয়ে গেছেন।
ব্যাপারটা সম্ভবতঃ আরো দুইদিন আগেই ঘটেছে। কিন্তু উনি টের পেয়েছেন বলে মনে হয়নি। যাক আমি টের পেয়ে এ...
রাজীব গান্ধীর মৃত্যুর পর ভারতীয় কংগ্রেস উঠেপড়ে লেগেছিল তাঁর সদ্য-বিধবা স্ত্রীকে রাজনৈতিক মঞ্চে নিয়ে আসার জন্য। সনিয়া গান্ধীর ইচ্ছে ছিল না। আবার এত জন বড় বড় নেতার অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করতেও তাঁর অসুবিধা হচ্ছিল। তিনি কিছুদিন সময় চাইলেন। খবরের কাগজে জানা গেল, অমুক তারিখে সনিয়াজী তাঁর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন।
আমাদের অফিসটা পি.টি.আই (Press Trust of India)-র পাশেই। এই রকম বড় বড় খবর গুলোর হেড...
এক:
"... আর মাঝখানে থাকব আমি। ছবির ঠিক উপরে ইংরেজীতে লেখা থাকবে, "looking for girls"। ছবির নীচে সবার মোবাইল নম্বর। বিপ্লবদা, বিজ্ঞাপনটা প্রথম পাতায় দিতে হলে খরচ কেমন পড়বে?" বিপ্লবদাকে আশেপাশে দেখা গেলো না। ধূগো মুখে একটা বিড়ি গুঁজে দিয়ে পুনরায় সামনে মেলে রাখা কাগজে মনোযোগ দেন "বিপ্লবদা আবার কই গেলো? আচ্ছা শোন, ছবিতে সবাই মুখ দু:খী দু:খী করে রাখবি। শুধু আমার মু...
কিংকং তার নায়াগ্রা ভ্রমণের পোস্টে বলেছিলো - ঢাকা শহরে এসে চিড়িয়াখানা না দেখা আর কানাডা এসে নায়াগ্রা না দেখা সমান। পুরোপুরি ঠিক। তবে, কলেজের নুরুন্নবী স্যারের কথাও মনে পড়ে - এক সময় ঢাকা এসে গুলিস্তান হলে সিনেমা না দেখলে, কিংবা মরণচাঁদের মিষ্টি না খেলে নাকি ঢাকা সফর পূর্ণাঙ্গ হতো না।
বর্ণনায় বিরক্ত না করি।
বরং ছবিই দেখি।
ডেটলাইন ২২-২৩ জুন, ২০০৯।
__
-০১- নায়াগ্রা শহরের আকাশ...
__
-০২- ...
শুরুটা কোথায় জানি না। হয়তো ছেলেবেলায় নারিকেল পাতা দিয়ে বানানো পাখা নিয়ে ছুটে বেড়ানোর সময় শুরু। বা তখন হয়তো না, খুব শীতের রাতে আকাশের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে চোখে জ্বালা ধরিয়ে ফেলার সময় থেকেই শুরু। বা হয়তো আরেকটু বড় হয়ে প্রথম যখন সিগারেটে টান দিতে শিখলাম তখন থেকে। বা হয়তো ধূসর পান্ডুলিপি পড়লাম যখন, তখন থেকে। কে জানে? আবার জানার এমন কোন বাধ্যবাধকতাও অবশ্য নেই, এতো জেনে হবেটাই বা কী...
এক।
হবো হবো সন্ধ্যায় বাতি টাতি জ্বলতে শুরু করলে, বাড়ি যাওয়ার আগে রীনা শাড়ি কিনতে যায়। রাপা প্লাজা অথবা আড়ং এর নীচের কোন দোকানে এসির মধ্যে, টুলে বসে দুই তিন রকম লাল টাঙ্গাইল জরীপাড় শাড়ীর সামনে কোনটা নিবে যখন ঠিক করতে পারছিল না, দোকানের আয়নায় হঠাৎ চোখ গেলে সে দেখে তার চুলগুলি আধাকাঁচা, আধাপাকা আর সে যার পর নাই চমকে ওঠে। তার কি চুল পাকার বয়স? এমন সময় তার মোবাইল বেজে উঠলে তার ক্ষণকালের ...
আপনারা যারা এই পর্বটি পড়িবেন, তাহাদের দুর্দশা চিন্তা করিয়া আমার খারাপই লাগিতেছে, লেখার ধারাবাহিকতা ঠিক রাখিবার জন্যে এই পর্বটি লিখিলাম, কিছুটা স্বার্থপরতাও আছে এর পিছনে। হয়তো এতক্ষনে ভাবা শুরু করিয়া দিয়াছেন আপনারা, এই বেটা কতদিন এইভাবে চাপা মারিতে থাকিবে, কেউ কী এতবার বেলের বাড়ী খাইয়াও অসাবধান হইতে পারে? কিন্তু যেমনটি তাতাপু বলিয়াছেন, গাড়ী চালাইলে টিকেট খাইতে হইবে,...
রাসেলের ' হিস্ট্রি অব ওয়েষ্টার্ন ফিলসফি' পড়ার পর সেন্ট অগাস্তিনের প্রতি দারুণ আগ্রহ জন্মে । তার কনফেসনস ও সিটি অব গড খুজে বেড়াই। মধ্যযুগের অধ্যাপকদের মধ্যে সবচাইতে আলোকিত এই অগাস্তিন। ইশ্বর ও সময় কি! এই প্রশ্নের জবাবে যিনি বলতেন।' যদি আমাকে জিজ্ঞেস করেন তো জানিন না। আর যদি না জিগান তাহলে জানি।' তার বইটা হাতে পাওয়ার পর শারীরিক সুখ অনুভব করি। তার এ বইটা পাওয়ারও একটা শানেনুযুল আছে।...