অনেকদিন আগে, জগৎজোড়া জালের জগতে তখন হাঁটি হাঁটিপা পা করে চলছি আর থমকে থেমে থেমে দেখছি কি হচ্ছে সেখানে। যা দেখি অবাক লাগে। খুঁজতে খুঁজতে খুঁজে পেয়েছিলাম নিজের ভাষা, বৈশাখের দুপুরবেলা যেন মিশরে ঘুরতে ঘুরতে মরুভূমির উপর দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে মরুদ্যান দেখা। সে এক অতীব আশ্চর্য অনুভূতি।
সহস্রমাল্যের কথা : নরসুন্দর বস্ত্রবণিক পর্ব
---------------------------------------
সেইদিন সন্ধ্যায় রাজসভার সেই অশ্ববণিক যখন নগর হইতে অনতিদূরে আপন তাম্বুতলে বিশ্রাম লইতেছিল, দেখিল, দূর হইতে কে যেন এদিকেই আসিতেছে। ক্রমে সেই ব্যক্তি আরো নিকটে আসিলে সে বুঝিল, ভদ্রলোক কোন উচ্চবংশীয় ধনী হইবেন। হায়.. যদি সে বুঝিত.. এ ছিল সেই তস্কর সহস্রমাল্য!
সহস্রমাল্য অশ্ববণিকের সম্মুখে আসিয়া জিজ্...
[justify]কয়েক মাস ধরেই জগৎসংসারকে একটা খটকা নিয়ে দেখছিলাম। ক্ষণে ক্ষণেই মনে ঘাই দিয়ে উঠতো সেই সংশয়াকূল প্রশ্ন, পৃথিবীটা এমন কেনু কেনু কেনু?
একদিন বাস থেকে নেমে ট্রাম ধরতে গিয়ে সেই প্রশ্নের উত্তর মিললো। মাউয়ারষ্ট্রাসে থেকে বাঁয়ে ঘুরে কোয়নিগ্সপ্লাৎসের দিকে এগোচ্ছি, সোঁ সোঁ করে একটা ট্রাম এসে হাজির। দূর থেকে নাম্বারটা পড়ার চেষ্টা করতে গিয়েই বুঝলাম, চশমার পাওয়ার আর চোখের পাওয়ারে য...
শুভ্রমালা পরিয়ে দিতে দিতে নদীর গ্রীবায়
জল ঘেষে উড়ে গেল লম্বাসারির বকগুলো।
রোদে টলটল করছে জলের শরীর
নৌকোর মাথাটা
ভরনদীর মুখে এগোতেই
অনেক উঁচুতে উঠে
ওরা আমাদের অতিক্রম করলো।
ওদের কন্ঠে ডাক শোনা গেল জীবনের :
বাড়ি ফিরে এসো? বঙ্গোপসাগরের হাওয়ায়
অন্তত একদিন ভালোমত বেঁচে যাও।
আমরা কী জানি সুন্দর
এ ভাবে আমাদের অবজ্ঞা করবে!
না হয়- যেতাম না ওদের রাজ্যে, বসে
থাকতাম আরও এক বিপন্ন আ...
প্রথম কিস্তি
সকাল দশটা নাগাদ আমরা ল্য প্যারিফ ছাড়িয়ে E5 এ এসে পড়লাম।
ফরাসী বলেই বোধহয় হাইওয়ের নাম বিমূর্ত অক্ষর আর সংখায় থেমে থাকেনি। তাই প্যারিস থেকে ম্যাসি অব্দি রাস্তাটির নাম হয়ে গেছে রোদেলা সড়ক (অতোখুত দ’ সোলেই), আবার ম্যাসি থেকে বর্দো পর্যন্ত এলাকার নামের সাথে মিলে রাস্তার নামও হয়ে গেছে লাকিতেন। হাইওয়েওয়ালারা দয়া ক...