রচনা :: নভেম্বর, ২০০১ - ফেব্রুয়ারি, ২০০৬ ॥ পরিমার্জন :: ফেব্রুয়ারি, ২০০৮ - এপ্রিল, ২০০৯
'ক্যাশিয়ারের খাতা ॥ প্রথম ভাগ'-এর আগের অংশ পড়তে চাইলে এখানে ক্লিক করুন
*
... ভাবো তবে দোষটা কার। তীরে হ’লে তীরে,
ছুড়ে হ’লে ছুড়ে, যেভাবেই হোক পতন কিন্তু
আছি পাশেপাশে। নিরক্ষর নাকি! জীবনে ও প্লাবনে
নিরর্থকতার দাম আছে
মুচলেকায় পতন ঠেকে আছে- টিপছাপ;
আঙুল তো আছে?
ও...
ব্যস্ততার কারণে নিয়মিত ব্লগ দেখা হয়না। তাই এই প্রসঙ্গে সম্প্রতি আলোচনা হয়েছে কিনা জানিনা। তবু কিছু লিখতে ইচ্ছে করছে, লিখছি; লিখতে তো দোষ নেই।
বেশ কিছুদিন ধরেই দিন বদলের হাওয়া টের পাচ্ছি। তবে প্রথম আলোর শুরু করা ক্যাম্পেইনটাই বেশী নজর কাড়ছে। রেডিওতে প্রতিদিনই বিভিন্ন মানুষের শপথের নমুনা শুনতে পাচ্ছি। এর মাঝে গতকাল এই লিফলেটটি আমার হাতে এলো।
বুদ্ধিটা ভালো। বিশ্ববিদ্যালয়ের...
এই যে আমি বেঁচে আছি বইয়ে এবং বন্ধুবান্ধবে পরিবৃত হ'য়ে, ভালোবাসা দিয়ে এবং পেয়ে, রৌদ্র এবং নক্ষত্রের আলোয় ঘুরে ঘুরে -- কোনো-কোনো মুহুর্তে আমার মনে হয় এই জীবন বড়ো সুন্দর, বড়ো আশ্চর্য, যেন ভেবে পাই না মানুষের মনে কেন থাকে মালিন্য, ঈর্ষা, বিদ্বেষ -- যার প্রমান পেয়েছিলাম একবার যখন সন্ধ্যার আবছায়ায় দুটি মুখে-রুমাল-বাঁধা যুবক প্রহার করেছিল আমাকে আর পরিমলকে -- ভেবে পাই না কেন কুৎসিত বাসনা-কামনা...
(আমার অনুবাদ করা এটি লেখকের দ্বিতীয় লেখা। একই বইয়ের The Cloud and The Sand Dune এর অনুবাদ।)
মেঘ আর বালিয়াড়ি
*************
(মূল: পাউলো কুয়েলু)
ব্রুনো ফেরেরো লিখেছিলেন, "এতো সবাই জানে যে মেঘের জীবন খুবই কর্মময় কিন্তু খুবই কম সময়ের।"
একই রকম আরেকটা গল্প।
একটা তরুণ মেঘের জন্ম হয়েছিল ভূমধ্যসাগরে একটা ভীষণ ঝড়ের মাঝামাঝি। যদিও সেখানে তার বেড়ে ওঠা সম্ভব হয়নি, কারণ একটা দমকা হাওয়া তাকে তার সাথের মেঘগুলোর সা...
আমার সহকর্মী ভারতীয় ছেলেটা আমাকে উত্তেজিত স্বরে জিজ্ঞেস করলো, তুমি কি গিয়েছিলে আজ, ফেডারেশন স্কয়ারে?
আমি কী একটা খুটখাট করছিলাম কম্পিউটারে। ওর দিকে তাকিয়ে বুঝলাম, ঘটনা খারাপ, পাশের চেয়ার দেখিয়ে বসতে বলে জানালাম, না যাইনি, আমি তো সকাল থেকেই এখানে। কী খবর বলো তো?
ও বেশ উঁচু গলায় হড়বড় করে অনেক কথা বলে গেলো। সারমর্ম এরকম, আজ নাকি প্রায় হাজার পাঁচেক ভারতীয় ছাত্র প্রোটেস্ট করেছে সেখানে...
ধনঞ্জয় রাজকুমার
আ মা র ক বি তা
এক.
নিজেদের নিষ্ঠুর যন্ত্রনার অস্তিত্ব আমরা অস্বীকার করতে পারিনা। এবার তো আমাদের হৃৎপিন্ড ফালি করা ফোটা ফোটা রক্ত দিয়ে কবিতা লেখবো। গভীর রাতে ঘুমের ভেতরে আমরা চিৎকার করে উঠি। কবিতা তুমি বিশুদ্ধ, তুমি পবিত্র, তুমি আমার ঘৃণা - মৃত্যু - পাপ - ঈশ্বর। ঈশ্বরের সাথে তুলনা করতে যেয়ে দেখি আমি কতখানি নিম্নজ, কতখানি অসহায়। আমাকে অংহকারী কর। আমি কবিতা লিখি, আমা...
এই ছবিটা অনেকদিন আগে দেখেছিলাম, একটা রিভিউও লিখেছিলাম। আজ একটু ফাঁকিবাজি করি, সেটাকেই বাংলায় লিখে দিই। রিভিউও হলো আবার অনুবাদেরও প্র্যাকটিস হয়ে গেলো।
ঠিক জানি না কী বলবো, কবিতার মতো একটা সিনেমা, নাকি স্রেফ একটা ফরাসি ব্যাপার। খাঁটি মিউজিক্যালের নিয়মেই এখানে চরিত্রেরা অধিকাংশ সময়ই গান গেয়ে কথা বলে, যখন তখন গেয়ে ওঠে গুনগুন...
সত্তুরের দশক। ছড়াকার হবার বিরাট স্বপ্ন-বাসনা আর বিশাল প্রজেক্ট-পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছি।একটাই কাজ সারা দিনমান—ছড়া পড়া, ছড়া লেখা আর ছড়া নিয়ে বিস্তর চিন্তা-ভাবনা করা।আমার পৃথিবীটা তখন ছড়াময়।কেউ কেউ ধরাকে সরা জ্ঞান করে,আর আমি ধরাকে ছড়া জ্ঞান করি।আমার সামনে পেছনে ডানে বাঁয়ে সর্বত্র ছড়ানো ছিটানো ছড়া আর ছড়া।আমি জেগে থাকি ছড়া নিয়ে।ছড়াও জেগে থাকে আমার সঙ্গে। আমি ঘুমুতে যাই ছড়া নি...
কালো বিড়ালটা শেষ পর্যন্ত মরেই গেলো।
অন্ধকারে,
এক বাক্সের ভেতর আটকে রাখা হয়েছিলো তাকে অনেকদিন।
মিউ মিউ করেও বোঝাতে পারে নি- গিনিপিগ আর বিড়ালের পূর্বপুরুষ কখনোই এক হতে পারে না।
অনুভূতির তারল্যের প্রাবল্যে আন্তঃপ্রাণীর ভাষা সবসময়ই অসম্ভব দুষ্কর, আর
তাই কালো বিড়ালটাকে থাকতে হয়েছিলো অন্ধকারের ভেতর।
বিড়ালটা মরেই গেলো শেষ পর্যন্ত।
একপাশে খানিকটা খাবার, আরেক পাশে শ্রোয়েডিঞ্জ...
১
মরি লো মরি আমায় বাঁশিতে ডেকেছে
কে চোখ রেখেছে শূন্যে
কার হাতে পদ্মগন্ধ
অদৃশ্য শিশির-সংকেত
সবুজ আকাশে লেখা সনাতন পৃথিবীর
অদেখা নদীর বাঁকে
গান গেয়ে ভেসে চলে গেছে
২
অর্ধঘুম ঝর্ণার জলের মতন বয়ে যায়
ছায়া পড়ে জলে
আকার প্রত্যাশী সেই ছায়ার শরীর
নিরাবেগ
অনচ্ছ আলোয় ভাসে জলের গভীরে
৩
সেই তো প্রথম সত্য, জাগ্রত এ চরাচর
নিত্যদিন বাসনার গান
অনন্ত এ খণ্ডকাল, প্রেমহীন অপরাহ্নব...