আইইউটিতে আমার নোংরা বিছানার পাশে একটা নোংরা দেয়াল আছে। সেই নোংরা দেয়ালে পার্মানেন্ট মার্কার দিয়ে কয়েকটা লাইন লেখা। "আমি কীরকম ভাবে বেঁচে আছি, তুই এসে দেখে যা নিখিলেশ!"
অথচ নিখিলেশ নামের আমার কোন বন্ধু নেই। এমনকি খানিকটা চেনা জানা যেসব মুখ আমার- তাদের কারো পরিচয় নিখিলেশ নামে না! তবুও যখন বুঝি- অনন্ত পতন। তখন নোংরা বিছানার পাশে নোংরা দেয়ালে মলিন হয়ে আসা লাইনগুলোর দিকে তাকাই। মনে ম...
ক'দিন ভীষণ গ্রীষ্ম চলেছে, রোদ ছিল একেবারে যাকে বলে চাঁদিফাটা, সব যেন শুকিয়ে যাবে, গলে যাবে। দুপুরের পিচরাস্তার দিকে তাকানো যেতো না, এত ঝিকঝিক রোদ ঠিকরে আসতো।
চাতকপ্রত্যাশায় আকাশের দিকে চেয়ে থাকতো সবাই, আসে কি মেঘ? আসে কি, সে আসে কি? কিন্তু কোথায় কি? এক চিলতা দুই চিলতা হালকাফুলকা মেঘেরা আসতো যেতো, বর্ষণসম্ভবাদের দেখা নাই।
তপতপে দিন আসে, তপতপে দিন যায়। সন্ধ্যার পরে লোকে পুকুরের ...
আমি বড় সমস্যায় আছি। সচলায়তনের জন্য একটা দুইটা না, সাতখান লেখা একবারে ড্রাফট কইরা বইসা আছি, কিন্তু দিতারিনা! ক্যান? কারন হয় লেখার ড্রাফট অফিসে ফালায় আসি, নাইলে বাসায় এক এক কম্পিউটারে এক এক লেখা (আমার রুমে তিনখান ফুললি ফাংশনাল কম্পিউটার, ইউএসবিতে আর কতই বা লমু! ল্যান করা ছিল, কিন্তু তার খাঁটের তলে, টানতে ইচ্ছা করতেছে না)। ফলে প্রতিবারই নতুন লেখা লিখা লাগে। কি যে সমস্যা!
ভাবছিলাম দর্...
কুয়াশার ভোরে ঝাপসা তুরাগ নদীর মতো
অসার এ জীবন ঢেকে যায় বরফে
চেরাগ জ্বলা গহীন গ্রামীণ নীরবতা
তোমার জীবন কি শুধু শূন্যতার ইবাদত
আবার কখনো হেসে উঠবে কী রোদ
দেখবে কী নতুন কোনো উষা
তোমার জীবন সরওয়ার
ঢেকে আছে অনন্ত পাপের চাঁদরে।
[ধুগো'র জন্য কয়েক ফোঁটা...]
(০১)
বালিকার নদীটাকে ছুঁবো বলে আমি
ডুব দিতে বারবার ভুল জলে নামি।
(০২)
জলের অতলে ডুবে করি জলচাষ
ওখানেও তুমি ! না কি জলের আকাশ !
(০৩)
যেখান দিয়ে হেঁটে গেছো, দৌঁড়ে খুঁজি পথ
থমকে দাঁড়াই, ভাঙছে নদী জলেরই শপথ !
(০৪)
চুম্বনের ওই গন্ধ খুঁজে নদীর কাছে যাই
নদী বলে-
তোমার মতো বোকা তো ভাই স্বপ্নপুরে নাই !
(০৫)
মৃত্যু ছিলো তোমার বুকে, নদী দিলো ঠাঁই...
দুই।
ফেল করা মার্কশীট অংক বইয়ের মধ্যে ভরে, শীতের দুপুরে স্কুলের মাঠ পার হয়ে লেবার কলোনী আর সুগার মিলের অফিসার্স কোয়াটার্সের সামনে বয়ে যাওয়া ছোট্ট নদীর সঙ্গে জোড়া দেওয়া হাতে কাটা খাল যা কিনা চিনিকলের জলীয় বর্জ্য নিস্কাশনের উদ্দেশ্যে বানানো, ফলে তার পানির রং লালচে, দুর্গন্ধযুক্ত আর সবসময়ই কুসুমের চেয়ে গরম, - রীনা সেখানে স্কুল ড্রেস উঁচু করে হাটু পানিতে দাঁড়িয়ে, আম্মা রেজাল্ট দে...
গাঢ় সন্ধ্যার শেষ ট্রেনের পেছনে ছুটতে ছুটতে একসময় আবার হাঁটছো উল্টো পথে
শেষ বগির আলো দূরে সরে যাবার আগে দীর্ঘ করে দিয়ে যাচ্ছে প্ল্যাটফর্মে তোমার ছায়া
শুনতে পাচ্ছি বালিশে কান পেতে তোমার আষাঢ়সঙ্কেতী গুড়গুড় বিড়বিড়ে খিস্তির খুতবা
দেখতে পাচ্ছি মানসচোখে, ছুটছো পাঁজরের স্কুইরেল কেইজে দিনভর
আবার হাঁটছো প্ল্যাটফর্মের ধূলো, কাগজ আর বাদামের খোসার সাভানায়, ফেলছো ভদ্রলোকী থুতু
দাঁতে ...
[গত ১৪ ফেব্রুয়ারি পতিসর, আত্রাই, নওগাঁয় আবিস্কৃত হয়েছে কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছয় পাতার একটি দীর্ঘ চিঠি। ১৩০৭ সালের ২৮ ভাদ্র তারিখের এই চিঠিটি কবি কাকে লিখেছিলেন, তা জানা যায়নি। কবির এই অপ্রকাশিত চিঠিটি তাঁর পাচক পতিসরের কবিজ উদ্দিনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়। এতে তিনি তুলে ধরেছেন তাঁর সংক্ষিপ্ত জীবন ও কর্মের কথা। নওগাঁর ছোটকাগজ 'অঞ্জলি লহ মোর' এর জানুয়ারি-জুন সংখ্যার সৌজন্যে চ...
সব গাঁয়েই একটা পাগলা থাকতে হয়, পাগলা বা খাদক কিসিমের উদ্ভট কেউ না থাকলে গ্রামের ইজ্জত থাকেনা, নিস্তরঙ্গ জীবনযাত্রা আরো নিরামিশ হয়ে যায়। ধলপুর গ্রামের বিখ্যাত জগু পাগলা হঠাৎ করে একদিন বিনা মেঘে বজ্রপাতে মারা গেল। পার্ট টাইম পাগল বেচারা ছিল ধান ক্ষেতে, গ্রামের আরও কিছু কিষানের সাথে মিলে ধান কাটছিল, হঠাৎ কাচির ভুল পোচে তার ডান হাতের বুড়া আঙ্গুলের অর্ধেক নাই হয়ে গেল, জগু পাগলা ডান হ...