এটাকে আসলে "আরেকটি পৃথিবী" সিরিজের দ্বিতীয় পর্ব বলা যায়। তবে প্রথম পর্ব না পড়লেও এটা পড়তে কোন সমস্যা হবে না। অনেক দেরি হয়ে গেছে বিধায় একটা স্বাধীন নাম দিলাম। প্রথম পর্বে বহির্গ্রহ আবিষ্কারের কাহিনী বলেছিলাম। এতে থাকছে বহির্গ্রহ আবিষ্কারের পদ্ধতি। সবচেয়ে প্রচলিত পদ্ধতিটার কথা লিখব, এছাড়া আরও অনেক পদ্ধতি আছে।
[প্রথম পর্ব: ড্রেককাহিনী - ১]
[এই পোস্টটি মূলত আমার কলিগ, বন্ধু আর ছোটভাই ভুতুমের জন্য। বেচারা অন্তত তিন ডজন বার ড্রেককাহিনীর পরের অংশ দেখতে চাইছে! এই নাও!]
১।
গত পর্বে সান হুয়ান ডি উলুয়ার কাহিনী পর্যন্ত বলে থেমে গিয়েছিলাম। ইংরেজ জাহাজবহর স্প্যানিশগুলোর সাথে এমনভাবেই মিলেমিশে বন্দরে ভিড়লো যে কামান দাগা বেশ ঝুঁকি...
ডাকটিকিট অথবা কয়েন সংগ্রহ করেননি ছোটবেলায় এমন কাউকে আদৌ মনে হয় খুঁজে পাওয়া যাবে না। অবশ্য আজকালকার জমানার কথা আলাদা, কম্পিউটার - কনসোল - টিভির ব্যাপক দৌরাত্বে এইসব হবিগুলো আস্তাকুঁড়েই নিক্ষিপ্ত হচ্ছে। আগে এত কিছু ছিলো না বলেই মনে হয় ডাকটিকিট জমানো কী কয়েন সংগ্রহকেই ব্যাপক আকর্ষণীয় মনে হতো। অবশ্য সেটা ভেবে দুঃখ করেই বা লাভ কী - বিটিভিতে আলিফ লায়লা, সিন্দবাদ দেখতাম কত আগ্রহ নিয়ে; ...
ধুগো রাজের সভায় মুখফোড় নামে আজকাল একটি নতুন মুখের আমদানী হয়েছে। সে প্রায়ই রাজার কানে কানে ফিস ফিস করে আদমচরিত শোনায়। কয়েকটা এপিসোডে ইভের বর্ণনা শোনার পরেই রাজার মন উহু উহু করে উঠলো। তিনি ঠিক করলেন আর দেরী নয়, এবার তিনি বিয়েটা করেই ফেলবেন। রাজা হাঁক দিলেন, 'মন্ত্রী দ্রোহী, আমি বিয়ে করব।'
সভা থেকে এক মোসাহেব লাফ দিয়ে উঠল, 'অতি উত্তম প্রস্তাব রাজামশাই। আপনার
মতো উপযুক্ত পাত্রের এখন...
ইদানিং ভীষণ দৌড়ের উপর আছি। লেখালেখি করার সময় পাই না। তাই বলে সচলে পোস্টানো বন্ধ থাকবে তা তো হতে পারে না। নিজের ব্লগ ঘাটতে গিয়ে দেখলাম একটা ছড়া অনেক দিন ধরে আমার ব্লগেই পড়ে আছে মুল পাতাতে দেয়া হয়নি অথবা আসেনি কোন কারণে।
অতএব এই সুযোগ কে ছাড়ে? খড়ার সময় ফাঁকিবাজি ভরসা
--------------------------------------------
ভূতুড়ে ছড়া
শ্যাওড়া গাছের পলকা ডালে
পেত্নী দোলে হাওয়ার তালে
ছাতিম গাছের লম্বা চূড়া...
বাংলাদেশে কোনো বিকল্প শক্তির সৌরবিদ্যুতের মত সম্ভাবনা তাত্বিকভাবে অন্তত নেই। বাংলাদেশে গড়ে বছরে ২৫০-৩০০ দিন সূর্যালোক আসে, বর্ষার তিনমাস বাদ দিয়ে বাকি সময়ে সূর্যালোক যথেষ্ট নিরবিচ্ছিন্ন ও প্রখর। প্রতিদিনে গড়ে ৫ কিলোওয়াট-ঘন্টা শক্তি বাংলাদেশের প্রতি বর্গমিটার জমিতে আছড়ে পড়ে।(সূত্র) ভূপতিত এই সৌরশক্তির মাত্র ০.০৭% বিদ্যুতশক্তিতে রূপান্তর করা গেলেই বা...
১।
আমার মতে, কর্পোরেটের সবচেয়ে বড় সুবিধা হল, বা অন্তত হওয়া উচিৎ: সীমিত দায়িত্ববোধ। বিশেষায়ণও (মানে, specialization) একটা বড় ব্যাপার।
সমস্যা হল, একপর্যায়ে গিয়ে এ দুটাই মানুষকে ব্যাপক বিরক্ত করে ফেলতে পারে। এটা সিস্টেমের দোষ না, মানুষের দোষ। কিছু মানুষ মানায় নিতে পারে, কিছু মানুষ পারে না।
যেহেতু করপোরেট আরামদায়ক, ওই দ্বিতীয় টাইপের মানুষদের হয়তো আবার কর্পোরেট ছাড়তেও ব্যাপক অসুবিধা হয়। এক...
পৃথিবীর সমস্ত রাত্রি ভোরে পরিণত হয়
যে সব গ্রামীণ কুকুরেরা ভয়ে কেদেঁছিল
দিয়েছিলো আভাষ বিপদের_
তারা দিনের আলোয় খাদ্যের খোঁজে ছুটছে বেদম
সূর্য গ্রহণ শেষে উল্লাসে মাতে জনগণ
তারা এখন জানে সূর্যগ্রহণের সব কেরামতি
ছায়া সরে গেলে আবার আলোকিত
হয়ে যাবে পৃথিবী_
শুধু তোমার আত্মায় লেগেছে এমন গ্রহণ জাহেদ
যা মোছা যায় এমন কোনো সাবান বানায় না
পৃথিবীর সাবান কোম্পানীগুলো।
খুব অসময়ে তোমার সাথে দেখা হলো,
হতে পারতো আরো বছর দশেক আগে।
তুমিও ছিলে, আমিও ছিলাম- এখানে
তবু দেখা পেলাম না কেউ কারো।
আরো দশ বছর আগে আসতে পারতে তুমি - পারলে না,
কারন তোমার আসার উপর তোমার হাত ছিল না।
কিংবা
আরো দশ বছর পরে আসতে পারতাম আমি - পারলাম না,
কারন আমার আসার উপর আমার হাত ছিল না।
আমাদের দেখাটা হলো বড় অসময়ে
এই ব্যবধান অতিক্রম করা এখন আমাদের অসাধ্য।
ভাগফল বলছে-
আমি তোমাকে পেয়েও প...
সুমিন শাওন-এর কবিতা
পুনপুনি পূর্ণিমার পালিন পুষ্পলোকে জোড়াসাঁকো পথ হাঁটে পাইথন রাজ
কান্তজীর মন্দির খুলে বালিকা ঘুমায়,মিথুন-চৈতন্যে পুড়ে মাধবীর দাগ-
এ আমার ছত্রিশ-ছুঁয়া চিন্ময় চঞ্চু,এখানে
হাজার বছর ধরে লাঙ্গলের ফলা বেয়ে উৎকীর্ণ মৌসুমের মগ্ন কারুকাজ
দেখো
মাদুলীর মায়া লেগে এই ঠোঁট,
দো-আঁশ দুপুরে কোন হয়ে গেছে কার্ত্তিকের নবান্নের-নদী
বৃষ্টি ও বালিকার নুনে-ঘামে ভিজে...