অশেষ করেছো তুমি পান
দেহ যেনো এক বদ্ধ মদের পিপা
সারাক্ষণ মাতাল থাকো নিজ মদে
কি দরকার তোমার, পানশালা সাকি
এখন শুধু বিরান মরুপথ ধরে
চলে যাও একাকী। পিছু ফিরোনা
এই নি:সঙ্গ দহনই একমাত্র পথ জাহেদ
যেখানে তুমি পৌছুতে চাও।
অনেক দিন লেখা হয় না কিছু। শুধু সচলে নয়, লেখালেখিই বন্ধ। কেন কী বৃত্তান্ত সে কথা থাক। কিন্তু এ জিনিস তো চলতে দেওযা় যায় না, অতএব আবার কলম ধরার দরকার হলো। লেখাহীন বন্ধ্যা দিনরাত সরীসৃপের মতো শীতল ও শ্লথ, এই ব্যক্তিগত কুযা়শায় সূর্য উঠুক আজ। আনন্দ হয় এই দেখলে যে আমার অনুপস্থিতিতে কযে়কজন সচলের বন্ধু আমার অভাব বোধ করেছেন, বা অন্ততঃ ভুলে যান নি। ধন্যবাদ না দিয়ে বরং কৃতজ্ঞতা জানা...
আমার জন্ম পুরান ঢাকার ওয়ারীতে। এ তথ্যটি ছাড়া আমার প্রথম জীবনে ঢাকার আর কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। সম্ভবত এ কারণে ঢাকার প্রতি আমার তেমন কোন টানও নেই। আমার জন্মের পরপরই আব্বা বদলী হয়ে চট্টগ্রাম আসেন। অনেকে খুব ছোটবেলার স্মৃতি মনে করতে পারে না। আমি মোটামুটি তিন বছর বয়স থেকে আবছাভাবে অনেক কিছু মনে করতে পারি। তিন বছর নির্দিষ্ট করে বললাম, কারণ এ বয়সেই আমি প্রথম স্কুলে যাই। আমার প্রথম স্কু...
এই পর্বের কাহিনী আমাদেরকে কারিতাতের বন্দিজীবনের অভিজ্ঞতার পাশাপাশি তার এনলাইটেনমেন্টের যুক্তি-তর্কের কাছে নিয়ে যাবে। আমারা দেখব কেন কারিতাত সত্যান্বেষনে বেরুল। দেখব কিভাবে কান্টের সাথে বোঝাপরা করে অস্থির কারিতাত থিতু হয়।
আগের পোস্ট
সত্যের খোঁজে কারিতাত - পোস্ট ১
সত্যের খোঁজে কারিতাত - পোস্ট ২
-পর্ব ২ -
কারিতাতের কারাজীবন
(দ্...
ষোড়শ শতাব্দীতে কাম-কলা এবং নন্দনতত্ত্বের পীঠস্থান প্যারিসে একটা জনপ্রিয় বিনোদন ছিল 'বেড়াল পোড়ানো'। ঐতিহাসিক নরমান ডেভিসের তথ্য অনুযায়ী, একটা বেড়াল ছানাকে সিলিং হতে রশিতে ঝুলিয়ে, আস্তে আস্তে ঝলসে, পুড়িয়ে, কাবাব বানিয়ে পরিশেষে ভস্মীভূত করে ফেলা হতো। আর সেই দৃশ্য দেখে স্যাডিস্ট আনন্দে খিক খিক করে হাসতেন রাজা, রানি, মন্ত্রী-আমলা আর দেশের 'সুশীল' সমাজ। বেড়ালের কষ্ট যত বেশী হতো , শিল্...
তিনঃ সমাজতন্ত্র ও সাম্যবাদ
সমাজতন্ত্রের ধারণাও মার্ক্সই প্রথম বলেননি। ফরাসী বিপ্লবের (১৭৮৯-১৭৯৯) আগে দার্শনিক রুঁসো (Rousseau, ১৭১২-১৭৭৮) রচনা করেছিলেন ‘সামাজিক চুক্তি (social contract)’। যেখানে তিনি বলেন- মানুষ জন্ম নেয় মুক্ত হয়ে, কিন্তু জন্মের পর দেখে চারিদিকে শুধু বাঁধার শেঁকল [১]। এ থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে বলেছেন আই...
আঁকাবাঁকা পাহাড়ী পথটার উপর দিয়ে সাবধানে গুহার সামনের পাথুরে চাতালে উঠে এলাম। মস্ত সেই ধূসর পাথরটা! দুখন্ড হয়ে ভেঙে আছে। পাথরটার সামনে গিয়ে বসে পড়লাম, ঝুঁকে পড়ে আমার লোমশ হাত বাড়ালাম ওটার দিকে। এখনো ওটার গায়ে লালচে-বাদামী দাগগুলো জেগে আছে। কুশ আর খুমানের গতকালের লড়াইয়ের চিহ্ন!
আমি ওদের যুদ্ধের সাক্ষী। আবছাভাবে মনে করতে পারি খুমানকে কুশ এক ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিলো, খুমান হুম...
সকাল থেকে কথা বুনতে বুনতে
ভাবছি -
সে কি বকুল ফুলের মালা হবে কি?
আজ দুপুরে যক্ষপুরে যখন দেখা,
ভাবছি -
সে মালা, তোমায় দেবো কি।
যেইনা তোমার কাছে গেছি,
সেইনা তুমি পশমী বিড়াল
সারাটা দুপুর উথাল পাথাল
কোন পাপে যে, কি ভুলই ভেবেছি।
রুপোর কাঠি, সোনার কাঠি
তোমার খাটেই মানায় ভালো,
আমিই শুধু, অন্যরকম স্বপ্ন দেখেছি।
৫৬.
ততোধিক রসাধারধারণক্ষম ধারাবাহিক রঙ্গনটীদের ধীরলয় খেমটায় খোলের পুরিতে আঙ্গুল ধরে এলে জ্বলে ওঠে অপ্রকৃত স্ফুলিঙ্গ নামাবলীর পশম বাঁচিয়ে পাঁঠাবলীর বর্ধিত জেয়াফত আঁচিয়ে অসরল ঢেঁকুর-নির্যাসে রঙ্গালয় গান্ধা করে
৫৭.
অফহোয়াইট বিকালের গলায় আঙ্গুলের ক্রমবর্ধমান চাপে তারায় টিউন হতে থাকে দিগন্ত পাগড়ীতে হাতুড়ির ঘাত সমানুপাতে তর্জনী গ্রাস করে নিতে থাকে দিনান্তের সবটুকু সেমিঅ...
সুমিন শাওন-এর কবিতা
suminsawon@gmail.com
একটাই আকাশ ছিল আমাদের
একটাই সোনাই নদী-
তাঁর জোয়ান যৈবন জুড়ে পালতোলা নৌকার গুণের মাস্তুল
সে ও ঐ একটাই ছিল-
কতবার আমি মাস্তুলের আগায় বসে আকাশ দেখেছি অপলক
তুমি তখন খুব উদ্বিগ্ন, 'আচ্ছা,অমন হা করে তুমি
কি দেখছো ওখানে?' আমি দেখি-
'জান্নাতের আরশীতে আঁকা তোমার আকাশলীনা মুখ।'
মাছের পিঠের মত বেড়ে উঠা মসৃণ লালসালু রাত
আর সাবাজিদ মাজারের তুষার শিরণীর অবিণাশী
ঘ...