আম্বিয়া খাতুনের বয়স কত হবে ? ৯০ এর কাছাকাছি তো অবশ্যই। শরীরের শক্তি শেষ প্রায়। বেঁকে গেছে কোমর। পায়ে বাতের ব্যথা। হাঁটতে কষ্ট হয়। তারপরও লাঠি নিয়ে হাঁটতে চায় না সে। কতবার কতভাবে বলেছে সবাই। কিন্তু আম্বিয়া খাতুনের জেদ বড় শক্ত। যেন সময় আর প্রকৃতির সাথে জেদ করেই নুয়ে পড়া কোমর নিয়ে লাঠি ছাড়াই ছোট ফ্ল্যাটের এক ঘর থেকে আরেক ঘরে হেঁটে বেড়ায় আম্বিয়া খাতুন।
ঘোলাটে চোখের দৃষ্টি ক্ষীণ । ...
অনেক কিছুর সমাপ্তি টানতে হয়েছে
এখানেই। পার্কে পড়ে থাকা পঙ্গু ফুল
মনে করিয়ে দেয় এ শহরে একটি সরাইখানা আছে।
বৃদ্ধ বাদাম বিক্রেতা আমাকে চিনিয়ে দেয়
শহরের পথ...
কোনো এক কাল চলে গেছে গ্রামের পথে।
সে গ্রামের রংধনু বালিকা প্রতি ঘুমের ভেতর
বালিশকে রঙিন করে যায়।
আমি অনেকবার ভেবেছি গ্রামটিকে চেনাবো
সরাইখানা। শহরে যাবার পথ।
দেখাবো গাড়ির ধোঁয়াতে ওড়ে যতো পাখি
তারা ছায়া হয়ে যায় দামি গাড়ি...
থ্রি-ডি চিত্রকলার সাথে কারো কারো হয়তো ইতোমধ্যেই পরিচয় ঘটেছে। খুব সাম্প্রতিক কালের ভিন্ন মাত্রার চিত্রকলা হিসেবে একে অভিহিত করা যেতেই পারে। এডগার মুলার নামের একজন অতি বিখ্যাত থ্রি-ডি চিত্রশিল্পির আঁকা কিছু ছবি নিয়েই আজকের এই ছবিব্লগ।
এডগার মুলারের আঁকা চিত্রকর্ম বিভিন্ন দেশে রয়েছে। যেমন কানাডা, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড ইত্যাদি ইত্যাদি। ক্যানভাস হিসেবে তিনি ব্যবহার করেন শহ...
যখন মানুষের তৃষ্ণায় বাসা বাধে অশুভ ছত্রাক, ধমনীতে বাড়ে অধৈর্যের কালো রক্ত, কিংবা উদরে জন্ম নেয় সেই চতুর চড়ুই, রাজকন্যার সোনালি চুল চুরি করে যে তুলে দেয় ডাইনীর হাতে, তখন মানুষ কি জানে তার পাপ ছুঁয়েছে রাক্ষসের ডানা? কিছু কিছু মানুষও কি চড়ুইয়ের ঠোঁট আর দানবের চোখ নিয়ে বেঁচে থাকে না এক একটা রূপকথার গল্পে! অথচ, আমরা কেবল ভুলে যাই সেই পালকের কথা।
রাক্ষসপুরীতে বন্দী দুঃখী রাজকন্যার চোখ ...
আইইউটিতে আমার নোংরা বিছানার পাশে একটা নোংরা দেয়াল আছে। সেই নোংরা দেয়ালে পার্মানেন্ট মার্কার দিয়ে কয়েকটা লাইন লেখা। "আমি কীরকম ভাবে বেঁচে আছি, তুই এসে দেখে যা নিখিলেশ!"
অথচ নিখিলেশ নামের আমার কোন বন্ধু নেই। এমনকি খানিকটা চেনা জানা যেসব মুখ আমার- তাদের কারো পরিচয় নিখিলেশ নামে না! তবুও যখন বুঝি- অনন্ত পতন। তখন নোংরা বিছানার পাশে নোংরা দেয়ালে মলিন হয়ে আসা লাইনগুলোর দিকে তাকাই। মনে ম...
ক'দিন ভীষণ গ্রীষ্ম চলেছে, রোদ ছিল একেবারে যাকে বলে চাঁদিফাটা, সব যেন শুকিয়ে যাবে, গলে যাবে। দুপুরের পিচরাস্তার দিকে তাকানো যেতো না, এত ঝিকঝিক রোদ ঠিকরে আসতো।
চাতকপ্রত্যাশায় আকাশের দিকে চেয়ে থাকতো সবাই, আসে কি মেঘ? আসে কি, সে আসে কি? কিন্তু কোথায় কি? এক চিলতা দুই চিলতা হালকাফুলকা মেঘেরা আসতো যেতো, বর্ষণসম্ভবাদের দেখা নাই।
তপতপে দিন আসে, তপতপে দিন যায়। সন্ধ্যার পরে লোকে পুকুরের ...
আমি বড় সমস্যায় আছি। সচলায়তনের জন্য একটা দুইটা না, সাতখান লেখা একবারে ড্রাফট কইরা বইসা আছি, কিন্তু দিতারিনা! ক্যান? কারন হয় লেখার ড্রাফট অফিসে ফালায় আসি, নাইলে বাসায় এক এক কম্পিউটারে এক এক লেখা (আমার রুমে তিনখান ফুললি ফাংশনাল কম্পিউটার, ইউএসবিতে আর কতই বা লমু! ল্যান করা ছিল, কিন্তু তার খাঁটের তলে, টানতে ইচ্ছা করতেছে না)। ফলে প্রতিবারই নতুন লেখা লিখা লাগে। কি যে সমস্যা!
ভাবছিলাম দর্...
কুয়াশার ভোরে ঝাপসা তুরাগ নদীর মতো
অসার এ জীবন ঢেকে যায় বরফে
চেরাগ জ্বলা গহীন গ্রামীণ নীরবতা
তোমার জীবন কি শুধু শূন্যতার ইবাদত
আবার কখনো হেসে উঠবে কী রোদ
দেখবে কী নতুন কোনো উষা
তোমার জীবন সরওয়ার
ঢেকে আছে অনন্ত পাপের চাঁদরে।
[ধুগো'র জন্য কয়েক ফোঁটা...]
(০১)
বালিকার নদীটাকে ছুঁবো বলে আমি
ডুব দিতে বারবার ভুল জলে নামি।
(০২)
জলের অতলে ডুবে করি জলচাষ
ওখানেও তুমি ! না কি জলের আকাশ !
(০৩)
যেখান দিয়ে হেঁটে গেছো, দৌঁড়ে খুঁজি পথ
থমকে দাঁড়াই, ভাঙছে নদী জলেরই শপথ !
(০৪)
চুম্বনের ওই গন্ধ খুঁজে নদীর কাছে যাই
নদী বলে-
তোমার মতো বোকা তো ভাই স্বপ্নপুরে নাই !
(০৫)
মৃত্যু ছিলো তোমার বুকে, নদী দিলো ঠাঁই...
দুই।
ফেল করা মার্কশীট অংক বইয়ের মধ্যে ভরে, শীতের দুপুরে স্কুলের মাঠ পার হয়ে লেবার কলোনী আর সুগার মিলের অফিসার্স কোয়াটার্সের সামনে বয়ে যাওয়া ছোট্ট নদীর সঙ্গে জোড়া দেওয়া হাতে কাটা খাল যা কিনা চিনিকলের জলীয় বর্জ্য নিস্কাশনের উদ্দেশ্যে বানানো, ফলে তার পানির রং লালচে, দুর্গন্ধযুক্ত আর সবসময়ই কুসুমের চেয়ে গরম, - রীনা সেখানে স্কুল ড্রেস উঁচু করে হাটু পানিতে দাঁড়িয়ে, আম্মা রেজাল্ট দে...