আচ্ছা সচলের অনেকেই কি জানেন একবার এই সচলে মডু নির্বাচন নিয়ে একটা দারুন ক্যাচাল লেগেছিল। রংধনু মডুগণের আবির্ভাবের বহু আগের কাহিনী সেইটা। সে এক বিশাল ইতিহাস যাকে বলে পুরা ধুমান্ধার কান্ড। বস্তিবাসী লীলেন ভাইয়ের বাসায় সেইবার হাজির হয়েছিল মডু হইতে ইচ্ছুক বহু সচল। কাসেলবাসী হিমু ভাইয়ের সাথে তো ধূগোদার প্রায় লেগেই গিয়েছিল। হয়রান আবীর, পরিবর্তনশীল আর স্বপ্নাহতরা তো ধূগোদার পক্ষ...
আর থার্সডে নাইট!
'বৃহস্পতিবার'! উচ্চারণ করতেই কেমন বড় বড়! বলছেই 'বৃহস্পতি'! তো, বড় তো হবেই, না? বিজ্ঞাপনের কাজের অফিসে বৃহস্পতিবার বিকাল-টা কখনই ছুটির ডাক না সেভাবে, কারণ পরের দুইদিন বন্ধ ব'লে বৃহস্পতিবারেই থাকে সর্বোচ্চ পজিটিভ-আউটপুট ('ইতিবাচক' আর 'ফলাফল' অর্থে না, প্রেসের স্ট্রিক্ট টার্মে 'পজিটিভ' আর 'আউটপুট'!) দেয়ার ভয়াবহ তাড়া! ক্লায়েন্ট মাত্রই চায় বৃহস্পতিবারে ক্রিয়েটিভ জিনিসের আ...
ইনভার্সিটির জিগরি দুস্তরা আমার বাম কানেপশম মাইনা নিবার পারতাছিল না। তাগো ধারমা, আমি ফ্রন্টের ম্যায়াগো নগে প্রেম করবার নিগাই ফ্রন্টের পুলাহানগো নগে ঘুইড়া বেড়াই। নিজের সম্পর্কে এত বড় সত্য অফবাদ বাকি যৌবনে শুনুম কিনা সন্দ আছে।
কিন্তু লভ্যাংসের গুড় পিঁফড়ায় খাইয়া হালাইলো। ফ্রন্ট থিক্যা কুনো প্রেম কুড়াইতে পারলাম না। ফলে অন্য মক্কর ধরিতে হইল। জিগরি দুস্তগো নগে চব্বিশ ঘণ্টার বি...
(গত এবং আগত সকল আত্মহত্যপ্রবণ কবিদের)
যে কবিতা শেষে কপালে ঠেকাবো রিভলবার
তার কথা ভাবি- নিদ্রাহীন কাটে রাত।
সারাদিন তাকিয়ে থাকি শাদা কাগজের দিকে
হাতে নিয়ে কলম, শব্দের ওজন মেপে মেপে
অভিশাপে কুঁচকে যাওয়া কপাল, দু'চোখে নিন্দা
আমারই ওপর বর্তেছে আজ বিশ্বনিন্দুকের ভার!
আমিইতো সেই, ইতিহাস যাকে সাক্ষী মেনেছে
মানুষের সকল কু-কর্মের
আমাকেই সভ্যতা উপহার দিয়েছে
ক্লাসিক নারী ধর্ষনের ইত...
আমি শিবির প্রথম দেখি ক্লাস সেভেনে। চট্টগ্রাম কলেজের ঠিক উলটো দিকে ছিল আমাদের স্কুল। একদিন ক্লাস পিরিয়ডে দেখলাম মাথায় টুপি, ছাগলা দাড়ি কয়েকজন এসে ক্লাসরুমে ঢুকলো। তাদের একজন স্যারকে বলল কিছুক্ষণের জন্য তাদের কাছে রুম ছেড়ে দিতে। আমি ভাবলাম নিশ্চয়ই তারা এবার একটা ধমক খাবে। কিন্তু আমাকে অবাক করে দিয়ে সেই শিক্ষক আমাদের একা রেখে সুড়সুড় করে চলে গেলেন। তারা কী ভ্যাজর ভ্যাজর করেছিল ...
চ্যনেল আইতে যখন চাকরী করি তখন কোন মতে কষ্ট করে ৬,৪০০ টাকা দিয়ে একটা ফিলিপ্স স্যাভি মোবাইল কিনি; এখানেই শুরু আফসোসের! চারিদিকে বড়লোকের ছেলে-মেয়েরা চমতকার সব হ্যান্ডসেট ব্যাবহার করে আর তাদের মাঝে আমার মোবাইলটাকে মনে হত সুন্দরী প্রতিযোগিতায় ভুল করে ঢুকে পরা এক বাচ্চা গরিলা!!!
অপু একদিন নিয়ে আসলো একটা BOSCH মোবাইল ফোন। তখনকার দিনের বহুল আলোচিত Startrek ফোনের চেয়েও ঐ BOSCH ফোন ছিল আরো স্ম...
রোজা রাখি না রাখি কিন্তু রোজার দিন আসলে নষ্টালজিক হয়ে যাই। রোজার টানে ??? না জনাব ইফতারের টানে। দেশে থাকতেও রোজা রাখতাম না কিন্তু তাতে কি বিনা পরিশ্রমে ইফতার খেতে পারতাম। রোজা কেনো রাখতাম না? কারন আমার মা জননী। রোজা রাখলে জান ভাজা ভাজা করে ফেলতো। রোজা রাখলে শুয়ে শুয়ে গল্পের বই পড়ার কোন সুযোগ নেই। উঠাইয়া, টাইনা, ছ্যাচরাইয়া নিয়া কোরান খতমে বসাবে। কে কে ত্রিশ রোজায় ত্রিশ পারা পড়তেছে, ...
খুব ছোটবেলায়, হয় ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক-এর পাতায় না হলে উইণ্ডোজের স্ক্রীন সেভারে, প্রথম ডেলিকেট আর্চের ছবি দেখি। তখন নামটা জানতাম না। আর কোন বৃত্তান্তও না। তখন থেকে ভেবেছি একদিন বড় হয়ে এই জায়গাটায় যেতেই হবে। তো একদিন বড় হয়ে খোঁজ খবর করতে গিয়ে দেখি নামধাম না জেনে এমন জিনিসের খোঁজ বের করাটা বেশ কঠিন কাজ (প্রাক-উইকিপিডিয়া যুগের কথা)। ছবি-টবি এঁকে, নানান অঙ্গভঙ্গী করে জ্ঞান...খুব ছোটবেলায়, হয
রাহির ভক্সি নোয়া মাইক্রোবাসটা গায়ের ইটের উচু নীচু ভাংগা রাস্তায় ৩০ কিঃমি/ঘন্টা বেগে এগিয়ে যাচ্ছে মদনপুরের দিকে। ঢাকা থেকে মাত্র৪০ কিলোমিটার রাস্তা কিন্ত আসতে সময় লাগে প্রায় ২ঘন্টার বেশী। মদনপুরের শেষ মাথায় গাছ গাছালিতে ঘেরা এক আদর্শ গ্রাম্য আবহে চতুর দিকে দেয়ালে ঘেরা সিরাজুল হক সাহেবের বাড়ি। গ্রামের শান্ত শ্যামল ছায়া ঘেরা অপরুপা পরিবেশটা এই বাড়িতে সম্পূর্ন বিরাজমান। সির...
একটি পাখি প্রতি ভোরে
আতাফল গাছের নিচে ছায়া রেখে যায়,
আমি ছায়ার নিচে রাখি আমার বিষন্নতা।
মধ্য দুপুরে আমার বিষন্নতাগুলোও
কখন ছায়া হযে যায় ...
আতাফল গাছটির পাতা যখন ঝরে
ছায়াটির উপর। আকাশ নিচু হয়ে আসে।
আমি দ্বিধায় বাড়িয়েছিলাম হাত,
ছুঁয়ছিলাম আকাশ নখের ভেতর আটকে গেছে মেঘ!
অন্য এক ভোরে ছায়ার মাঝে বিষন্নতা না রেখে
রেখেছিলাম সুখ শান্তি-
মুহূর্তে আকাশ উঁচু হয়ে গেলো।
ছায়া'টি পাখি হয়ে উ...