ভ্রান্তিবশে রক্ত অলক্তক
কাছাকাছির আপ্ত তাড়নায়
বিধি ভেঙে বাতাস বিহঙ্গী
কোন লিপিতে কালের বসবাস?
কালের রথের চাকায় সূক্ষ্ম ফুঁটো
না হয় আমার ঝিমের রথেই ওঠো
আকাশ দেখুক আধখানা আর তুমি
প্রবর্তনার শয্যা শুধুই ভূমি।
পুঁথির মধ্যে বাক্য খাচ্ছে উঁই
পথেই শুয়ে তৃষ্ণাক্লান্ত ঘোড়া
উড্ডয়নের সংজ্ঞা মেনে নিয়েই
হলাম না হয় শ্রীরাধিকা, সই!
হচ্ছে কিছু ঘড়ির কাঁটার কথাও
দৃশ্যায়িত খাবার শোবার ...
১৷
এমনিতে বৃষ্টি নিয়ে আমার তেমন কোন অতিরিক্ত ভাললাগা নেই৷ রাস্তায় বেরোতে না হলে, বৃষ্টির শোভা উপভোগ করতে পারি, কিন্তু বেরোতে হলে বৃষ্টি আমার দু'চক্ষের বিষ৷ এই বছর বর্ষার শুরুর দিকে তেমন বৃষ্টি টিষ্টি হল না, খরা হতে পারে এই সম্ভাবনায় সবাই যখন বেশ চিন্তিত তখনই হুড়মুড়িয়ে শুরু হল বৃষ্টি৷ জুলাই মাসটা বেশ জল চুপচুপে হয়ে কাটার পর গোটা আগস্ট মাসটা শুকনো গেল৷ এরই মধ্যে পুণেতে সো ...
সাহস
সৈয়দ আফসার
একদিন তুমিই বলেছিলে
এতো সাহস কোথা থেকে পেলে
তোমার সাহস দেখে বুক কাঁপে...
হেসে বলে ছিলাম সবই কেরামতি
গেল বছরের স্মৃতি
কারণ মাটির গন্ধে আহত আমি
দূরের বীথি
হাত না-ছুঁলে ব্যথা ভারী হয় বাদ বাকি
[justify]যখন প্রথম এই কলোনিতে এলাম তখন পড়ি ক্লাস ফাইভে। দুটো মাঠ, .
১)
নায়লা হুট করেই বিদেশ চলে এসেছে মাস্টার্স করতে। কানাডার ঘোর শীতের সময় নায়লার জন্য তাই বাসা ভাড়া পাওয়া যায়নি। একটা বাড়ি পাওয়া গেছে যেটা দিন পনের পর খালি হবে। ভাগ্যিস বুয়েটের এক সহপাঠী ছিলো এই ইউনিভার্সিটিতে। তার বদৌলতে বুয়েট-বাড়ি (যেখানে ৮টি বুয়েটের ছেলে থাকে) নামে খ্যাত এক বাড়ির লিভিংরুমে আশ্রয় মিলেছে। বিদেশে সাধারণত কয়েকজন ছাত্র একসাথে একটা বাড়ি ভাড়া নিয়ে তারপর একেক রুম ন...
১.
সুপারভাইজারের কথা হলো, এ কিক ইন দি বাম উড ব্রিং ব্যাক দ্যা মটিভেশন। আমার কথা হলো, নাথিং ইজ গোনা ওয়ার্ক আদার দ্যান ডিভাইন ইন্টারভেনশন। বাংলায় বল্লে, সুপারভাইজার কয়- পশ্চাৎদেশে একখানা লাথি দিলেই আমার কর্মস্পৃহা ফিরে আসবে। আমি বলি, খোদাতালা নিজ হাতে রহম না করলে কিছুতে কিছু হবে না। লাথি লাগে নাই, রহমত নাজিল হইল কিনা তাও জানি না, তবে কাজ খারাপ চলছে না।
২.
নিজে মরতে চাইলে মরুন, দয়...
মজুরের সংজ্ঞা কী? দিন-মজুরের ?
একটা বিবর্ণ খাতা ছাড়া আমার তো আর কোনো সঞ্চয় নেই।
দিন আনি। কী আনি ? কী জানি । তবু দিন খাইনা। আর যখন খিদের চোটে গা-গুলিয়ে দেয়া হলুদ আলোটা বন্ধ করে শুয়ে পড়ি - তখন কানের গহীনে বিদ্যাসাগর বলেন - কবিকে খেতে দিও ...
... আমি তখন তলিয়ে যেতে থাকি, আরো, আরো, আরো অচেনায় ... তখন কারা আমায় খেতে দেয়? কাদের খাওয়া থেকে? আমি তো মজুর নই । উদ্বৃত্তখোর কবিমাত্র। মজুরের ছলকে পড়া ঘাম। ...
দেখতে দেখতে শরতের সোনাঝরা প্রহরেরা আসে আর চলে যায় একের পর এক। মহালয়া এলো আর চলে গেল, ইউটিউব থেকে নামিয়ে দেরিতে শুনলাম চন্ডীপাঠ।
পরদিন খেলার দিন ছিলো, প্রচুর তাঁবু পড়লো এদিক ওদিক। উৎসবদিনের রঙীন সাজে নাচতে নাচতে চলেছে কচি আর বড়রা। ধূসর গোধূলির কথা ভেবে যা থাকে কপালে বলে হাসিখুশী ছেলেমেয়েদের ছবি তুলে ফেলি।
এদিকে দিন গড়িয়ে যায়। মহাসপ্তমী পার হয়ে দেশে অষ্টমী পড়ে গেছে, গুজরাতিদ...
সংবিধান ও গণতন্ত্র
খবরে পড়লাম (ধন্যবাদ সচল জাহিদকে লিঙ্কটি নজরে আনার জন্য) যে বর্তমান সরকার সংবিধানকে পর্যালোচনার উদ্যোগ নিচ্ছে যা নিঃসন্দেহে একটি ভাল পদক্ষেপ, যদিও সেই উদ্যোগ কতটা ফলপ্রসূ হবে তা কয়েক কোটি তারার প্রশ্ন। ঠিক একই সময়ে এই বিষয়ের উপর আলোকপাত করতে পারছি বলে ভাল লাগছে।
রাষ্ট্র হিসেবে প্রজাতান্ত্রিক রাষ্ট্রই সর...