কাউয়ায় করে কা কা
তার'ই ডাকে
দুরে থাকে
যাবতীয় পাখিরা,
আর বাদ-বাকিরা
নিমিষেই তল্লাট
হয়ে যায় প্রায় ফাঁকা।
কাউয়ায়- চিতকারে
বেবাকের নিদ কাড়ে।
অঘুমের কষ্ট!
শান্তি বি-নষ্ট!!
কাকে তবু চিল্লায়
বারি মেরে ঠিল্লায়।
খালি ঘট বাজে ভালো
সঙ্গীরা দেয় তাল' ও -
তাই কাক তারস্বরে
করে রোজ কাকা কাকা,
কা - কা - করে টরে
কাউয়ার টিকে থাকা।
অনেকেই জানেন, গত ডিসেম্বরে আমি দেশে গিয়েছিলাম। একমাসের জন্য। এই সফরে পরিবারের (আমার না) অন্যতম এজেন্ডা ছিল আমার জন্য পাত্রী দেখা।
বিয়ে করার আমার তেমন তাড়া নেই...তারপরও ভাবলাম...ফ্রি ফ্রি চা নাস্তা খাবো...সাথে মেয়ে দেখা ফ্রি...মন্দ কি!
আমি আরো ভাবলাম গড়ে প্রতিদিন ২ টা করে মেয়ে দেখলে সকালের টিফিন আর বিকালের চা-নাস্তা খেতে পারবো প্রায় বিনে-পয়সায়। কিন্তু দেশে গিয়ে শুনি কিসের কি! বাবা...
সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার জেলার রাজনগর থানার একটি গ্রাম পাচ গাও। দেশ বিদেশে সব জায়গায় দূর্গা মূর্তির রং একই রকম হলেও এখানকার দূর্গা মূর্তিটি লাল বর্ণের্। এবং এর একটি বিশেষ ইতিহাস আছে। এই পাচ গাও এর ইতিহাসটি লিখেছিলেন স্বর্গীয় হরিনারায়ন ভট্টাচার্য্য। লেখাটি প্রকাশিত হয়েছিল শাশ্বতী নামক একটি শারদীয় প্রকাশনায়। এবার বেরিয়েছে এটার ষোড়শ সংখ্যা। স্বর্গীয় হরিনারায়ন ভট্টাচার্য্...
সে আমার বয়সে কত ছোট আমি তখন জানতাম না, কখনো তাকে দেখেছি বলে মনে ও হয়না। খুব ব্যাস্ত মানুষ আমি। বুয়েটে সনি আপা মারা যাওয়ার মুভমেন্ট করতে গিয়ে বহুত বেজাত মানুষ দেখা হয়ে গেছে ততদিনে। একটা অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে গিয়ে আমাকে অনায়াসে আমার বন্ধুরা ঠেলে দিয়েছে নেতাদের দলে। কিন্তু আন্দোলন শেষ হলেই আমি সুবোধ বালকের মত টিউশানি আর পরা লেখা নিয়ে ব্যাস্ত। দেশের জ্ঞান আমার চেয়ে আমার বন্ধুদের ...
অন্য আলো
তোমাকে আলো ভেবে নিমগ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছিলাম -
মনন্তরের এক নির্জন ভোরে ।
ঘাসে ঘাসে শিশিরের দীর্ঘশ্বাস
পাখিদের কলরবে প্রগাঢ় মাতম ।
হেঁটে হেঁটে যতদূর চোখ যায়
শুধু মরিচিকার স্নিগ্ধ সর্বনাশ ।
তোমার চিবুকের মতো কোমল কোন আর্তনাদ যেন
তার দু'চোখে ছড়িয়েছে - বিষন্ন জীবনের অভিশাপ ।
এভাবেই তো তোমার সতত চলাচল
টুকরো চাঁদের মতো তুমি যেন অসম্পূর্ন হয়ে
ঘুমিয়ে আছো কোন ক্লান্ত হ্বদয়ের...
কথা হয়ে থাকো। চিঠির শব্দশিয়রে। থাকো ভোর হয়ে
দরোজা খুলেই দেখে নেবো সূর্যপরিধান। আর একটা
হলুদ গোলাপের উঁকি। কিছুটা অবনত হয়ে থাকে যে
প্রশাখা , তার মগ্ন কুর্নিশ। একটা পরদেশী দোয়েলের
প্রস্থান। ছেড়ে যাওয়া মাটির বেদনা। দানা বাঁধা পাথরের
সংযত সংসার।
থাকো পাশে। দূরে গেলে রাতকেও ঘোর মনে হয়। তাই
আমি বয়ে যাই যে নদীর উৎসাণু,তার প্রণিধি হয়ে থাকো।
লেখার ললিত উত্তাপে। থাকো পু্ষ্পের সাথে ...
আজকে বিশ্বতত্ত্বের আরেক চমকপ্রদ মডেল নিয়ে কিছু কথা। মাল্টিভার্স বা বহুজগৎ তত্ত্ব। কিভাবে এলো এই তত্ত্ব? কারাই বা দিলেন এই তত্ত্ব?
ক্যালটেকের তাত্ত্বিক পদার্থবিদ শন ক্যারোল চিন্তিত ছিলেন সময়ের গতিমুখ নিয়ে। কেন সময় একমুখী? কেন সর্বদাই গতকাল থেকে আজ হয়ে আগামীকালের দিকে বয়ে চলে সময়? সময়ের ধারা কি উল্টোদিকে বইতে পারে কোথাও? কোথাও কি আগামীকাল->আজ->গত...
১.
তারপর
কতটা তুমি সামলে নিচ্ছ ঘর
চুড়িরদানি, খোঁপার মালা, বর
কতটা তোমার কন্ঠচাপা
কতটা নিজস্বর।
২.
কতটা শুদ্ধ হলো এই চেয়ে থাকা-
হে নিজস্ব কিংবা দূরবর্তী নারী
তোমার ঘ্রাণ, তোমার উদাসীনতা,
তোমার শিউলি বুক, ঝুঁকে পড়া স্তনযুগল
তোমার পল্লবিত শরীর যেন নিঃসঙ্গ দ্বীপ।
৩.
দেখা যাচ্ছে, মানুষ ক্রমশ আদিম হয়ে গেছে।
জীবন ও জীবিকার কয়লা পুড়ে বাষ্প হচ্ছে জল
ফেল করছে ফিরতি ট্রেন, অঙ্গীকার, শৈ...
[justify] মানুষের মতোই, শহরেরও আছে নিজস্ব চরিত্র। আবার শহরের ভিতরেও নানা গলিতে জেগে থাকে নানা চেহারা, চেনা মানুষের নানা মুডের মতো। যখন কোনো নতুন শহরে যাই, কিছু পূর্বারোপিত ধারণাও আসে সাথে সাথে। তাই মানুষের মতোই শহর কখনো আশাভঙ্গের কারণ হয়, কখনো অপ্রত্যাশিত সুখে আপ্লুত করে। জীবনে বেশ কয়েকটা শহরে থাকা হলো, সময়ের দৈর্ঘ্য মাপলে কলকাতা তার মধ্যে প্রথম। কিন্তু যেখানে জন্মেছি তাকে আলাদা কর...
গোয়ার শব্দগুলিঃ ১
[ কিছুইনা ]
বিকেল পড়ে গেলে ব্ল্যাকটেপ রাস্তা ও তাদের হিলিয়াম-হাল্কা হাওয়ায়, লালসাদা ঢোলা হাফপ্যান্ট-পরা টিশার্ট আর ট্যাঙ্ক টপ ছোটো স্কার্টগুলির পাশ দিয়ে যে শব্দটি ফুর ফুর করে ঘুরে বেড়ায়, হরফে জুতে দিলে সেটি দেখা যায় – [ কিছুইনা ] । খানিকটা অন্যমনস্কভাবেই তখন তার নাম হয়ে যায় অ্যালিস, অ্যালিস, অ্যালিসিয়া।
গোয়ার শব্দগুলিঃ ২
[ ধুসসস ]
ভরসন্ধ্যেতে ক...