সচলায়াতনে এত ভাল ভাল ফটোগ্রাফার আছেন যে ফটোব্লগ দিতে খুব ভয় লাগে। নিজেই লজ্জা পাই তাদের ছবির সাথে আমার ছবির তুলনা করে। আমি সেনাবাহিনীর কর্কশ (আমার বউয়ের ভাষ্য) জীবনে সকল স্বকীয়তা এবং সুকুমার বৃত্তি হারিয়ে ফেলেছি। কোন এক কালে আমি রবীন্দ্র সংগীত গাইতাম আর আজ আমার গলায় জলদি চল,ডানে ঘোর, বামে ঘোর, সশস্ত্র সালাম। লাইবেরিয়াতে থাকতে ব্লগ লেখা আরম্ভ করেছি। অফুরন্ত সময় ছিল সেখানে। আর এখ...
(ইহা একটি হিন্দি সিনেমা বিষয়ক ভালোচনা(ভালো+আলোচনা)। হিন্দি সিনেমা নিয়ে যাদের এলার্জি আছে, তারা সপাং করে এই পোস্টের উপর অথবা নিচের পোস্টে টিপি দ্যান)
হিন্দি সিনেমা দেখা যেমন একটি ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে, হিন্দি সিনেমা না দেখাও তেমনি একটা ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এবং মজার ব্যাপার হচ্ছে, জীবনের কোন না কোন এক সময়ে আমি দুই দলেরই সচল (একটিভ) সদস...
[justify]
১.
সগীরের ছোট মামার ইন্তেকালের বয়স এখনও হয়নি। কিন্তু তিনি শৈশব থেকেই একটু এঁচড়ে পাকা। ক্লাস এইটে থাকতেই তিনি একটি মাত্র টিকিট সম্বল করে অম্লানবদনে একাধিক সিনেমার আসর থেকে বেরিয়ে একটি স্টার ফিল্টার বিড়ি পান করতেন বলে আমাদের বহুবার জানিয়েছেন। কলেজে ফার্স্ট ইয়ারে উঠে হুলুস্থুলু প্রেম শুরু করেছিলেন অনার্সের এক শেষবর্ষীয়ার সাথে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম বর্ষে উঠে এক ইস্কুলগা...
সব গান ছেড়ে গেছে আমাকে
প্রভাতফেরির গান, বিজয়ের।
সব।
তোমাদের ল্যাবরেটরিগুলোতে
সকাল-সন্ধ্যা কিছুই বোঝা যায়না,
কি করে জানব ভূপালি গাইবার
সময় এসেছে?
তোমাদের সামাজিক সভাতে
মিথ্যা আর ভাণের এত রঙ্গিন শাড়ি,
এতবছর দেখেশুনে রাখা ‘সত্য বল,সুপথে চল..’
ভেংচি কাটে আমায়, এখন।
সা থেকে সা সার সার কোক, দুধ আর জুসের প্যাকেট।
অসুর ময়লা জুতা পড়ে গটগট ঢুকে পড়ে
সুরবাড়িতে।
রীডগুলো কাল পলিথিনে ব...
মাঝে মধ্যে হুড়মুড় করে কটা লাইন মাথায় চলে আসে। এর নাম হঠাৎ কাব্য। সম্পাদনা-পুনঃসম্পাদনাবিহীন আনকোরা ছড়া।
গঠনমূলক আলোচনায়
পঠনমূলক বক্তিমা
অনেক হলো, আর পারি না।
আর বাকি নেই শক্তি, মা!
এখনো কি জানতে বাকি?
সব খুনেরই এক খুনি।
বাগান-দালান পরেই বানান
কবর খুঁড়ুন এক্ষুনি।
একটি নক্ষত্রের কক্ষপথ দেখে জেনে যাই ফেরার নিয়ম
কীভাবে মুগ্ধতার মশাল হাতে হাঁটে জোনাকপাখিরা ,আর
স্বীকৃতির ঘনিষ্ট কৃতিত্বে জেগে উঠে মাটির পদার্থ পরাণ।
নতুন জন্মের পসরা সাজিয়ে যে কৃষক বুনেছিল বীজ,তার
প্রতিমূর্তি স্থাপিত হয় নগরে নগরে। সে তো অচেনা নয়,তবু
তাকে সনাক্ত করতে অভিধানের প্রয়োজন পড়ে !এমন ঘোর
আর ঋণবদ্ধ খাতা খুলে এঁকে যাই নিজের মুখ। আমি তো
নস্যি মানুষ ! যারা মহাজন- যারা আক...
চলার পথে হঠাৎ করে তোলা কিছু ছবি, কোনরকম ভাবনাচিন্তা করে না- মনে হয় আমার লং জুম পয়েন্ট অ্যান্ড শুটারের নামের সার্থকতা প্রমান করার জন্যই শুধু তাক করে জুম করে শাটার টিপে দিয়েছি। বেশিরভাগ ছবিই হয়তো বিশুদ্ধ ফটোগ্রাফির পর্যায়ে পড়ে না- কিন্তু আমার ঘোরাঘুরির মধ্যে ছবি তোলা কোনোসময়ই প্রাধান্য পায় না। ড্যাবড্যাব করে এই বিভ্রান্তিময় দুনিয়ার সৌন্দর্য দেখেই তো কূল পাই না, ক্যামেরা সামলাব...
মাঝে মাঝে ফেসবুকে আবোলতাবোল স্ট্যাটাস লিখি। তাৎক্ষণিক ভাবনা থেকে যা আসে, তা-ই। একদিন এরকম এক হাবিজাবি লেখার পর নিজের কাছেই মনে হলো, এর মধ্যে একটা গান আছে কোথাও। একটু বাটালি ঘষে সেই স্ট্যাটাসের ভেতর থেকে খোদাই করে বার করলাম এই গানটা।
ইদানীং মনে হয়, গান আসলে ছোটো হওয়া উচিত। দুই লাইনের, তিন লাইনের, চার লাইনের। এটা সেই মনে হওয়ার ফসল বলা যেতে পারে।
.
.
কিছু দুষ্ট বালিকা দের প্ররোচনায়, মউ মাছির চাকের মত মানুষের ভিড়ে মিশে হাঁটতে লাগলাম। চারুকলা ছাড়িয়ে উদয়ন; আবার উল্টো পথে টিএসসি। তবুও পাইনি দেখা বনলতা সেনের। অবশেষে চূড়ান্ত হয়রানির শিকার হয়ে এক চটপটি ফুসকার দোকানে বসে বললাম, সেই সুদূর সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগারের কথা। তখনও ভাবিনি, হয়ে যাবে দেখা সবুজ বাঘের সাথে; ডোরা কাটা নয় সে বাঘ।
গোধূলি লগ্ন ছাড়িয়ে তখন ঘোর অন্ধকার চারপাশ...
এই বারের 'নতুন দিনের গান' আসলে পুরানো দিনের কথা কইছে।
সারা বছরের দৌড় ঝাপ শেষে বিদায়ী সূর্যের অস্তরাগে চোখ রেখে আমরা মনের অজান্তে একবার পেছনে ফিরে তাকাই। চেয়ে দেখি ফেলে আসা পথ, কুয়াশায় ঘেরা জীবন---
রবীন্দ্রনাথের এই গানটি সম্পূর্ণ তার মৌলিক সৃষ্টি নয়, একথা তো সবাই জানেনই। আর সেই সাথে এইটাও আমরা জানি---এইটে এখন আসলে তাঁরই গান হয়ে গেছে আমাদের কাছে।
শুনে দেখুন।
কেমন লাগল জানালে খুশি হ...