ট্রপিকাল মেঘ ডিপলোমেটিক সফরে ছুটছে সমুদ্রের ঐ পাশে আর আকাশে এক মস্ত বৈরী চাঁদের ডাকে নিশাচরী কীটের দল বেড়িয়েছে খাদ্য সন্ধ্যানে, যদিও এলাকার মেনি বিড়ালটা এদিক সেদিক ঘুড়ে কিছুই না পেয়ে চোখ ভিজিয়ে জোছনা দেখছে-
অতএব লিখতেই হচ্ছে আরও একটা জোছনাবারের চিঠি, হয়ত তুমি এখন বত্রিশ হাজার বাগানের ঐ পাড়ে কোন ঢুলু ঢুলু পর্দা টেনে পাশ ফিরে ঘুমিয়ে পড়েছো, এ চিঠি যাবে তোমার ঘুমের ভেতর মস্তিষ্...
১১
গিবান-ওরিয়ানার ভ্রমণের আনন্দে সেদিন নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে। উল্কাবৃষ্টি হবার কথা রাতে, গিবান আর ওরিয়ানা সারা রাত আকাশের নীচে কাটাবে বলে সন্ধ্যেবেলা খেয়ে দেয়ে ঠিকমতন পোষাকপত্তর পরে রেডি হলো। মাদুর, টর্চ, রেডিও, ফ্লাস্কে চা, কিছু কাগজের কাপপ্লেট, ঠোঙায় চানাচুর, প্লাস্টিকের বাক্সে প্যাটিস, সামোসা, সসের প্যাকেট ইত্যাদি সাজসরঞ্জাম নিয়ে বেরোলো।
ও...
আমাদের পরিবারে মুরুব্বিদের পা ছুঁয়ে সালাম করার ব্যাপারটা অতটা মানা হত না। শুধু ঈদের দিন, বছরে দু'বার, বাবার সাথে নামাজ পড়ে এসে মা আর বাবার পা ছুঁয়ে সালাম করাটা আমাদের ভাইবোনদের রীতি ছিলো। যখনই মা'র পা ছুঁতে যেতাম, মা মাথায় হাত বুলিয়ে বলতেন - বেঁচে থাকো, বাবা। আমি একবার মা'কে জিজ্ঞেস করেছিলাম, আচ্ছা শুধু এটা বলো কেনো তুমি সবসময়? আমরা বেঁচে থাকি, এটা ছাড়া আর কিছু চাও না তুমি?
হুহু করে ছুটছে ট্রেন, মসৃণ গতিতে। কোনো ঝক্কর ঝক্কর নেই, কোন কাঁপুনি নেই। সঙ্গিরা নিজেদের মাঝে জোর আলোচনায় মত্ত। সেদিকে নজর নেই আমার। নজর বাইরের জানলার দিকে। প্রতিটি ছোটবড়ো শহর, গ্রাম পেরুলেই তার নামটি জানতে ইচ্ছে করে। আতিপাতি খুঁজি, কোন সাইনবোর্ড চোখে পড়ে কি না। ছোট স্টেশনগুলো এতো দ্রুত পেরিয়ে যায় যে, নামও পড়া যায় না। বেশ হতাশ লাগে তখন। ছোটার আনন্দটাই মাটি হয়ে যায় এই অপরিচিতির আ...