কেন লিখি? এ সওয়াল পুছতে কোন ঝঞ্ঝাট নেই বটে, কিন্তু উত্তর দেওয়ার হ্যাপা বিস্তর। লেখালেখি কালেভদ্রে যা করি সেগুলো ধর্তব্যের মাঝে পড়ে বলে মনে হয়না, কিন্তু একথা কুন্ঠাহীন চিত্তে স্বীকার করি, লেখার একটা তাড়না প্রায়ই প্রবলভাবে অনুভব করি। হয়তো ঠিক করলাম, কোন একটা বিষয় নিয়ে লিখব, মনে মনে একটা রাফ আউটলাইনও খাড়া করলাম, কিন্তু কোন এক বিচিত্র কারণে কিবোর্ডে আঙ্গুল স্পর্শ করা মাত্রই গতি অস্ ...
প্রত্যাবর্তন
শাহেদের আজকে বড়ই আনন্দের দিন। জীবনের প্রথম formal shirt pant shoe পরে অফিসে যাচ্ছে সে। পাশ করার পর যখন সবার মধ্যে ভালো বেতনের চাকরি পাওয়ার অদৃশ্য অসুস্থ প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছিল, সেই দলে অন্যন্যদের মত সেও ছিল। engineer wanted লেখা দেখলেই সাথে সাথে cv দিয়ে আসতে কখনও-ই ভুল করতনা সে। সময়ের সাথে সাথে “ভালো বেতন” বিশেষণ টি উঠে গিয়ে শুধু যেকোনো একটি “চাকরি” পাবার বাসনাই মুখ্য হয়ে উঠেছি ...
---নিশা---
বেশিদিন আগের কথা নয় । হয়তো পাঁচ ছয় মাস, বা তারও কম সময়ের কথা বলছি ।
ফেইসবুকে তখন আমার "ফ্রেন্ড" সংখ্যা মাত্র উনপঞ্চাশ যাঁদের মাঝে পঁয়ত্রিশ জনই সামনাসামনি বেশ পরিচিত আর আট জন কবি-সাহিত্যিক-শিল্পী-তারকা। এর বাইরে ছয়জন যাঁদেরকে সামনাসামনি দেখি নি। তাদেরকে কিভাবে ফ্রেন্ড লিস্টে এড করেছি জানেন? প্রথমে ছবি দেখেছি, ছবিতে যদি "লাফাংগা পোলা" মনে না হয় তবে ইনফো চেক করেছি, ইনফোতে যদ ...
শেষ ট্রেনে উঠে বসলাম ঘরে ফিরব বলে।
খবরের কাগজ
অর্ধেক স্যান্ডউইচ
পকেটে রক থেকে রবীন্দ্রনাথ
আমাকে ব্যস্ত রাখার উপাদান ছিল যথেষ্ট
কিন্তু জানালা ভেঙে ঢুকে পড়ে আমার ব্যক্তিগত অন্ধকার।
এই অন্ধকার তুমি নিউটন আইনস্টাইন দিয়ে ব্যাখা করতে পারবেনা
এখানে আমিই ঈশ্বর, আমিই লুসিফার, আমিই আদি মানব।
কখনো আমি স্বর্গের উদ্যানে ফোয়ারা মেরামত করি
কখনো খাবারের খোজে শিকার করি হরিণ শাবক
কখনো ...
১.
কালুগাজী মনে মনে কি কি সব যেন ভাবে আর খ্যাক খ্যাক করে হাসে। নিভে যাওয়া বিড়ির টুকরার দিকে উদাস চোখে তাকায়। জীবন এই রকমই। আজ বড় বেশি দার্শনিক হয়ে উঠতে চায় যেন মন। জেলে কেটে যাওয়া এতগুলো বছরে অনেকখানি দূর্বল হয়ে এসেছে বোধ , কিছুটা ফিকে হয়েছে এতকালের অমিত সাহস। তাই বলে এরকম কাপুরুষের মত
খুন হতে হবে! কালুগাজী নিজে কথনো খুন করতে ভয় পায়নি। ফরেস্ট অফিসারের চোখে চোখ রেখে কোপ দিয়েছিল গলা ...
-২-
এখানে দাঁড়াও এসে চুপচাপ,
কান পাতো হাওয়ার গভীরে--
প্রাণ ভরে শোনো রুদ্র সমুদ্রের গান।
শ্যামের মুরলী আজি
কী লক্ষ্যে উঠিছে বাজি রাধার বিরহে,
কল্লোলিত সমুদ্র সমান।
এখানে দাঁড়াও এসে চুপচাপ,
বসো সমুদ্রবিরহী ভূমিতলে,
তারপর নেমে যাও, ধীরে ধীরে
নিজেকে নিক্ষেপ করো জলে।
ভেবো না আমার কথা,
সংসার- সমুদ্র থাক দূরে।
স্বার্থ-সঙ্কুচিত বন্দীজীবনের
প্রাত্যহি ...
[justify]হাসান ফেরদৌস প্রথম আলোতে নিয়মিত লেখালেখি করেন। সম্পাদকীয় পাতায় তাঁর লেখা কলামের নাম ‘খোলা চোখে’। এছাড়া প্রতি সপ্তাহে শুক্রবারের সাময়িকী অন্য আলোতে তাঁর ছোটখাট একটা রিভিয়্যু মতো কলাম ছাপানো হয়। নাম ‘অল্প কথায়’। এই কলামে প্রকাশিত লেখাগুলো তথ্য আকারের। মানে কোন বই পড়লাম। সেখানে কী কী জিনিস আছে। ফ্ল্যাপ পড়ে বা গুগল করে তথ্য পেতে যেটুকু সময় লাগে সেটা করার হাত থেকে বাঁচার জন্য লেখা হিসেবে মন্দ
অফিসের কাজের এক ফাকে মাথা ফাকা করার জন্য জেলপেন দিয়ে রাফভাবে উলভেরিনকে এঁকে ফেললাম। ১৮ মিনিটে করা। যারা ছবি আঁকাআঁকির সাথে যুক্ত বা ধারণা রাখেন তারা এই হাত চালু রাখার রাফ ড্রয়িং সম্পর্কে ভালোভাবেই অবগত।
--
মু. তারিক সাইফুল্লাহ