[এর আগের লেখা পড়ে নেয়া যেতে পারে।
এটিকে গল্প বলার ইচ্ছা নেই তা না, কিন্তু গত লেখার মন্তব্যের ভিত্তিতে গল্প লেখার ক্ষমতা আমার এখনো আছে বলে মনে হয় না। সেদিকে একটু পড়াশুনা করি, এদিকে এ কাহিনীধারা এগিয়ে যাক পাঠক/পাঠিকার অনুমতিক্রমে?
স্থান-কাল-পাত্র সংক্রান্ত বিস্তারিত ধীরে খোলাসা করার ইচ্ছা রাখি; এ পর্বে স্থান আর পাত্র বিষয়ে কিছুটা বিস্তারিত পাবেনও।
এ পর্ব ...
-- অনন্ত আত্মা
ডাক্তার বললেন –
- আপনার সমস্যাটা কি?
ফুপুর সাথে মিরপুরে চোখের ডাক্তারের কাছে আসছি। ফুপুর চশমার পাওয়ার বেড়েছে তাই ডাক্তারের কাছে আসবে, আমি বললাম, ‘চলেন আমারও চোখ দেখানো দরকার’। আমার বাসায় সবারই চশমা আছে শুধু আমারই নাই। স্কুলের বন্ধুদের অনেকেই চশমা নিচ্ছে। গরু, ছাগল মার্কা পোলাপান চশমার বদৌলতে কেমন বিজ্ঞ বিজ্ঞ জ্ঞানী জ্ঞানী চেহারা বানিয়ে ঘোরাঘুরি করছে। আমি অবশ্য ...
১
এর আগে সচলায়তনে কনভারসেশন পার্টনার (এখন থেকে 'সিপি') বিষয়ক একটা লেখা দিসিলাম। এটাকে সেটার ছোট একটি ফলো-আপ হিসেবেই ধরে নিতে পারেন।
*
গণহারেই আইডিয়া উৎপন্ন হয় ওনার। কিছু লিখেও ফেলেন গল্পাকারে। অতিব্যস্ততায় লেখা হয় হয়তো ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অংশ, আবার সেখান থেকে দিতেও চাননা সব। পারফেকশনিজম। যা দেন, তাতে যারা বোঝার, টিপ অফ দ্য আইসবার্গের মত বুঝেও নেন। এই পারফেকশনিজম এর ধারা দেখ ...
ফাঁকি
রাজা মশায় করবে স্নান দুগ্ধ সরোবরে
ডঙ্কা বাজে প্রহরী হাকে সকলের ঘরে ঘরে ।
সূর্য ওঠার আগেই যেন প্রজা সকলে
পূর্ণ ঘটি দুধ খাটি সরোবরে ঢালে।
ব্যর্থ হলে বড়ই কঠিন শাস্তি পেতে হবে
রাজার আদেশ মানতে হবে, প্রতিবাদ হয় কবে?
প্রজা সকল ভাবল অনেক ঠিক করল শেষে
এক ঘটি দুধ সরোবরে এমন কি যায় আসে?
সবাই দেবে দুধের ঘটি আমিই দেব পানি
জানবে রাজা কেমন করে কে দিল কত খানি?
এমন ভাবনা ভাবল সবাই করল তেমন ...
দেহের সাথে মিশে যাচ্ছো তাড়া! অনতিদূরে আসা-যাওয়া মানে আদিপ্রকরণ, শালবন, বিবিধহাওয়া। সর্বশোক ক্রমে ক্রমে জেগেছে অপেক্ষাগাছে, বুঝা গেল এইখানে তুমিও উপলব্দিতে ঘুরো আর স্পর্শে মিশাও যৌথরহস্য, নীলরঙ, কামনাফুল, আবছায়া। এভাবেই আগ্রহ সরে যেতে যেতে বাড়ে মৃদুলুপ্ত উষ্ণতা! বাড়ে দায়বদ্ধতা, ভরাআগ্রহ, আর্তনাদ...
প্রেরণা, একাকী যেতে চাই কিন্তু পারি না; মূলকথা নীরব দর্শক! আপাতত কিছুই চেষ্টা ক ...
সকল প্রস্তুতি শেষ। দিনটাও প্রায় শেষ। একটু পরে সূর্যটা ও থাকবে না। ছায়া দখল করে রেখেছে পথ। পথের মাঝখানের সোডিয়াম বাতিগুলোও জ্বলে ওঠছে। সন্ধ্যা এখনও হয় নি তবু বাতিগুলো জ্বালিয়ে দিলো বলে একটা প্রশ্ন মাথায় আসতেই দেখি রিকশা থেকে নামছে অঞ্জন। হাতে ব্যাগ, লম্বা চুল, কেউ আচানক দেখলে কবি ভাবতে ভুল করবে না। আসলে সে কবি না। সে শখের ফটোগ্রায়ার। আর আমার বন্ধু বা আমি থাকে বন্ধু ভাবি সে আমাকে ...
এবং কোন এক শুভক্ষণে আমাদের "রিমোট কন্ট্রোলড মাউস" আমাদের কোড করা মুদ্রার তালে তালে ন্ত্য জুড়ে দিলো। আমরা রিমোটের "Channel+" বাটন প্রেস করলে সে সাঁই করে উপরে লাফ দেয়, আবার "Channel-" এ প্রেস করলে ভালো ছেলেটির মত নিচে নেমে আসে। "Volume+" এ প্রেস করলে সে খানিকটা ডাইনে সরে, অবশ্য "Volume-" এ চাপ দিলে ভোল পাল্টে বামপন্থী হতে ভুল করে না। রিমোটের ২ আর ৩নম্বর বাটন দুটি পরপর প্রেস করলে সে যে কোন ফাইল ড্র্যাগ করে আবা ...
আমার ঠাকুরদারা তিন ভাই। তাদের সাত বউ। সারাক্ষণ বাড়িটা করত মউ মউ। বাড়িটিকে দেখিয়ে দেখিয়ে লোকজন বলত--অই দ্যাখ সাত বৌয়ের বাড়ি। সেখানে রান্না হত হাড়ি হাড়ি।
আমার ঠাকুরদার বাবার নাম সৃষ্টিধর রায়। তার বাবার নাম আমি জানি না। পাঁচ পুরুষের বেশি বংশলতা নেই। এ নিয়ে কেউ কখনো আমাদের পরিবারে কারো মাথাব্যথা নেই।
বাড়িতে একটি পুরনো ছবি ছিল। ছবিতে তিন পুরুষকে দেখা যেত। আর পরে দু পুরুষ-- আমি আর ...
এখানে গোধূলি আসে না,
এখানে সন্ধ্যা নামে না মন্দ মন্থরে।
এখানে প্রদীপ জ্বলে না,
জ্বলে না ধূপকাঠি, বাজে না আজানের সুর।
এখানে হাঁ করা প্রকাণ্ড বিকেল কেমন
ক্লান্তিতে ঢুকে যায় কৃশ রাত্রির ক্ষীণ স্তনে -
এখানে সন্ধ্যা নামে না।
যেই দেশে সন্ধ্যা নামে -
যেই দেশে কবি প্রার্থনা করে বিহঙ্গের পাখা না-বন্ধের,
যেই দেশে সন্ধ্যা এলে পাখীদের সাথে সেও ফেরে বাড়ী,
যেই দেশে কুপির আলোয় ফিরে আসে রমণী ...
-এই সীমা এই, আরে এইদিকে আয়।
-এইতো আসছি আপু।
-কি ব্যাপার? কতক্ষণ ধরে দাঁড়াইয়া আছি, তোর কোন খবর নাই। আজকে এত দেরি হল কেন?
-আর বোল না আপু, স্কুল থেকে ঠিক করছে পিকনিকে যাবে। তো সেটার জন্য জায়গা ঠিক করা নিয়ে সবাই মিলে আলোচনা করতেছিল। এই কারনে একটু দেরি হয়ে গেল। তুমি রাগ কর নাই তো আপু?
একবারে অনেক কথা বলে ভয়ে ভয়ে আপুর দিকে তাকাল।
-রাগ আর কি করব? কিন্তু কথা হল, এখন পিকনিকে যে যাবি টাকা পাবি কই? আম্ ...