মোল্লা, ডিসেম্বর ২০১০।
১৯৮৯ সালের দিকের কথা। তরুণ আসান্জ্ ও তার সহ-হ্যাকাররা যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক নিরাপত্তা সমন্বয়-কেন্দ্রের কম্পিউটার নেটওয়ার্কে গোপনে প্রবেশে সক্ষম হয়। একটি গুপ্ত চোরাছিদ্রের ( back door ) মাধ্যমে তারা অনায়াসে এই সামরিক ইন্টারনেটে ঢুকতে পারতো। আবিষ্কারের পর প্রায় দুবছর যাবৎ এইসব সামরিক কম্পিউটারে তাদের অবাধ বিচরণ ছিল। আসান্জ্ তখন অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ণ ...
- মাইনুল এইচ সিরাজী
আমাদের ৫ বছরের মেয়ে কুশিয়ারা। একটু বড় হওয়ার পর যখন সে খাতা-পেনসিলে আঁকিবুকি করতে শিখল, তখন থেকেই সে স্কুলের স্বপ্ন দেখতে থাকল। টিভিতে যখন সে স্কুল-ড্রেস পরা বাচ্চাদের দেখে, কিংবা যখন কোনো স্কুলের সামনে দিয়ে যায়- বলে, মা আমি কখন স্কুলে যাব? বলে, বাবা আমাকে স্কুল-ড্রেস কিনে দাও না কেন?
তার সঙ্গে আমরাও স্বপ্ন দেখি, চার-পাঁচ বছর হলেই তাকে স্কুলে দেবো। শাদা-মেরুন কিং ...
“উচ্চারণ যেন ঠিক নদীর বহমান জলের মতো, প্রতি মুহূর্তে তার দিকপরিবর্তন হচ্ছে, কিন্তু বানান থাকে পাথরে খোদাই, তাকে মোছা কঠিন। লিখন ও মুদ্রণ প্রক্রিয়াই বানানের অজরত্ব এনে দেয়। বানানের কোনো পরিবর্তন দেখলেই তাই আমরা গোঁড়া হয়ে পড়ি। আরে এই ফটো তো সেই লোকের (শব্দের) নয়, একে মানি না। কানের ভিতর দিয়া যা মরমে পশে, তার চেয়ে চোখের ভিতর দিয়ে যা মগজে পৌঁছায় তার ওজন বেশি, সে খাঁটিকে ধমক দেয়, তুমি যা- ...
[প্রায় দু'মাস সচলে কোনো লেখা দেয়া হয়নি। না, ঠিক আলস্য বলা যাবেনা একে, বলা যায় জীবনের চক্করে পড়ে বেহুঁশ হয়ে যাবার ফল । চক্কর যে একেবারেই কেটে গেছে, তা নয়। কিন্তু কাটানোর চেষ্টায় রত আছি। একটা ছবি ব্লগ দিতে খুব ইচ্ছা করছিলো, তাই এই এলেবেলে লেখা ফেঁদে বসা আর কী!]
-----------------------------------------------------------------------------
ভোর আমার কাছে সব সময়ই একটা খুব ভালো লাগার সময়। কিন্তু সহজে তা দেখা হয় না বেশ রাত করে ঘুমানোর ফল ...
মা-বাবার সাথে হজ্বে গেলাম। সে এক বিরাট কেচ্চা। এতো এতো গরম, এতো এতো হাটা। তখন মনে হয়েছিলো কিভাবে সম্ভব? মক্কাতে প্রায় ৩৯ ডিগ্রী তাপমাত্রা। মদীনাতে গিয়ে তাপমাত্রা নেমে গেলো। ফজরের নামাযে সামার জ্যাকেট পরেও কাপাকাপি অবস্হা।
যাবার সময় তাপমাত্রা বেশ ভালোই। আসার আগমুহূর্তে ভাইয়া ফোন করে বল্লো তাপমাত্রা খুব নেমেছে। মাইনাস ১০ ডিগ্রী। প্লেন নামতেছে না। আমাদের এতো ঝামে ...
Gray, my dear friend, is every theory,
And green alone life's golden tree.
-Faust, Johann Wolfgang von Goethe
এবারের বিষয় ফাউস্ট। গ্যোতের অমর কাব্যনাটক। আহমদ ছফা গ্যোতের এই ক্লাসিক নিয়ে উচ্ছসিত ছিলেন। দীর্ঘসময় ধরে এর অনুবাদ করেন। বাংলা ভাষায় ফাউস্টের অনুবাদ প্রথম নয়। কানাইলাল গাঙ্গুলী, মহীউদ্দিন আর শুধাংশু চট্টোপাধ্যায়ের করা আলাদা আলাদা তিনটা অনুবাদ ছফার হাতে তখনই ছিল। কিন্তু মনঃপুত না হওয়ায় এগুলোকে রেখে একটা নতুন অনুবাদের হাত দিয়েছিল ...
ফেসবুকে যারা ঢোকে, তাদের কি কাজকাম নাই?
প্রশ্নটা মাঝে মাঝে সশব্দে করে ফেলি, বউ অন্য ঘর থেকে তখন ইস্রাফিলের শিঙার মতো সুরে কী যেন বলে। পুরোটা বুঝতে পারি না, মনে হয় সায় দেয়।
ফেসবুকে লোকজনকে ফালতু কাজে ব্যস্ত রাখার জন্য চতুর লোকজন কত কারিকুরি বার করেছে, দেখে মাঝে মাঝে তাজ্জব হয়ে যাই। একটা কম্পিউটারের সামনে বসে কোনো নিরস চেহারার ছেলে, হয়তো সাতদিন ধরে গোসল করে না, দাঁত মাজে না ...
নারী মাত্রই শিল্পী।
অনাগতের কামনায় যে জঠর যাতনা
তাহা কেবল শিল্পী ভিন্ন নারীরাই বুঝিতে পারে।
নারী মাত্রই রঙ্গিন।
হইতে পারে মমতার রং
কামনা অথবা কান্নার রং।
নারী ত্রাতা, নারী বারবণিতা।
এহেন বৈচিত্র পুরুষ্য মাঝে মেলা ভার।
নারী দূর্বল।
কিন্তু বলশালী যেন বলহীন তাহার বিহনে।
আপনারে চেনেনারে নারী
নিজের মূল্য বোঝেনারে নারী
প্রকৃতির মত দশভূজা হয়ে
দশদিক আগলাইয়াছে সে।
সে নারী ...
ইস্কুলে অনেক রুমা দিদিমণি৷ রুমা মুখার্জী, রুমা বসু, রুমা সেন,রুমা দত্ত৷ তাই এঁদের ক্ষেত্রে শুধু প্রথম নামের সঙ্গে দি বা দিদিমণি জুড়ে বোঝা যেতো না কে কোন্ জন৷ এদের নাম ও পদবী দুই লাগতো৷ কেন যেন রুমা মুখার্জীকে ওনার বিয়ের আগের পদবী ধরেই ডাকা হতো রুমা কাঞ্জিলালদি৷ হয়তো সেই পদবীটা আনকমন বলেই এত জনপ্রিয় হয়েছিলো৷
এই রুমা কাঞ্জিলালদি বাংলা পড়াতেন, অগাধ জ্ঞান বাংলায়, প্রচুর ক ...
সময়ের বার্ধক্যে হেলে থাকা পুরোনো সেই মায়ার ভিত-
আমার স্মৃতির ভারে অবিন্যস্ত রাত্রি বপন,
দেখিনি সেদিন তাকে, কিংবা সেই স্বপ্নপুরীর মাঠটাকে;
ডোবার ঢেউয়ে বাঁশপাতার শেষ শব্দটাও ভয়ে গেল আটকে-
নিজের মধ্যে ক্রমশ নিশ্চুপ প্রত্যাগমন।
নিস্তব্ধ আঁধারে স্বপ্নগুলোর কুয়াশা বেয়ে মিলিয়ে যাওয়া-
ক্লান্ত পদক্ষেপের সাথে ধুঁকছে হিমবাতাস,
পরাজিত জীবনের গল্পগুলো এগিয়ে যায়, নির্বিকার
সেই পুরো ...