আমার মরোক্কান সহকর্মীর চারবছুরে ছেলের হাতখড়ি হয়েছে। রটারডাম মওলানা মসজীদের রবিবার-মাদ্রাসায় যায় সে। সমবয়িসী পিচকিপাচকিদের সাথে ফরাসে বসে সামনে পিছে ঝুঁকে ঝুঁকে আরবী বর্ণমালা শেখে। গর্বিত মা আইফোনে করে ছেলের বর্নমালা আবৃত্তি নিয়ে ঘুরে বেড়ায়। গত সপ্তায় দুপুরের খাবারের ফাঁকে সবাইকে সেই আবৃত্তি শুনিয়ে ছেড়েছে। ছোট ...
আয় রাজাকার আয় না ওরে,
ঘুরতে যাব কোলে করে,
কাজল দিয়ে তোর কপালে,
স্নো-পাউডার লাগিয়ে গালে,
পরিয়ে পায়ে নতুন জুতো
মারব পেটে স্নেহের গুঁতো,
মেলা থেকে কিনব বাঁশি,
খেলনা সাথে রাশি রাশি,
মাথায় দিয়ে জরির টুপি
আদর দেব চুপি চুপি,
এবং শিশুপার্কে তোকে
খেলতে দেব সকাল থেকে,
পুরান ঢাকায় ঘোড়ার পিঠে
লেপ্টে খাবি হাওয়াই মিঠে,
গোসল দিয়ে গরম জলে
তেল মাখব রোদের তলে,
আস্ত মোরগ সাঁটিয়ে গরম
ছাড়বি ঢেঁকুর ...
১
আমার পুরো ইউনিটটাকেই কাজের অংশ হিসেবে নিয়মিত নরওয়েজিয়ানদের সাথে কাজ করতে হয়।
সুতরাং মাঝে মধ্যেই নানাজাতের জরীপে যখন দেখতাম যে নরওয়েজিয়ানরা নাকি পৃথিবীর সবচেয়ে প্রোডাক্টিভ ইত্যাদি, আমার আগের সুপারভাইজর, ফাহিম ভাই-এর সাথে শেয়ার করতাম।
নরওয়েজিয়ানদের সাথে আমাদের কাজের অভিজ্ঞতা মিশ্র। কখনো দারুণ কাজ আগায়, কখনো তাদের এক ভুলে আমাদের চার রাত টানা কাজ করতে হয়।
ওই সময় এমন একটা ...
যতই করেন ইটিশ পিটিশ এবার বরফ গইলত ন
আগের মতো আন্নেরে কেউ ভয় হাইয়া চোখ ডইলত ন
ডাইনে বায়ে টইলত ন
মাতবরি অ ফইলত ন
রাজাকার’র বিচার লই আর চুদুর বুদুর চইলত ন!
ডাক্তারদের প্রতি আমার অনেক ঋণ । ছোটবেলায় পায়ে একটা সমস্যা ছিল, সেটা সারাতে বেশ কয়েকটা অপরেশন করতে হয়েছে। নানান ধরনের ব্যায়াম করে করে এবং বিশেষ ধরনের জুতা পরে পরে যখন বড় হয়ে গেলাম, আমি অবাক বিস্ময়ে দেখলাম পায়ের সমস্যা আর আমার বলতে গেলে নেই। পায়ের সেই ব্যাপার ছাড়া আরও একবার ডাক্তারদের দ্বারস্থ হতে হয়েছিল বুয়েটে পড়াকালীন, সেবার হয়েছিল টাইফয়েড। সে যাত্রাও ডাক্তারাই বাঁচালেন আমাক...
প্রতিমা বেদীর জন্ম ১৯৪৯-এ, দিল্লীতে। ষাট আর সত্তর দশকের মাঝামাঝি সময়ে বোম্বের প্রসিদ্ধ মডেল ছিলেন তিনি। বিয়ে করেছিলেন চলচ্চিত্রাভিনেতা কবির বেদীকে। তাঁদের দু’ সন্তান: পূজা, সিদ্ধার্থ। কবীরের সাথে প্রতিমার বিচ্ছেদ ঘটে ১৯৭৮-এ। ১৯৭৪-এ তিনি সমালোচিত হন প্রকাশ্যদিবালোকে স্ট্রিকিংয়ের জন্য।
একদিন সন্ধ্যায় এক ক্লাসমেট খবর দিলো গুলশানে একটা টিউশনি করবো কিনা। ছাত্রীর সাথে এক ঘন্টা ইংরেজীতে কথা বলতে হবে। গাড়ি এসে নিয়ে যাবে এবং পড়ানো শেষে পোঁছেও দিয়ে যাবে। আমাকে ঘন্টা হিসাবে ৫০০ টাকা করে দেয়া হবে! অতি লোভনীয় অফার, আমি সাথে সাথে লুফে নিলাম।
ছাত্রীর বাড়ি গিয়ে আমার মুখ হা হয়ে গেলো। বাড়ি তো না যেনো প্রাসাদ। বসবার ঘর তো না যেনো পাঁচতারা হোটেলের লবি। ছাত্রী এলে দেখলাম ছাত্র...
[justify]অ
এইসব কিছু বলতে ভালো লাগে না, তবু-ও পথ ছেড়ে জমিনে গিয়ে দাঁড়াই। কৃষকেরা আজকের মতো করে ঘরে ফিরে গেছে; আজ দিনটি সূর্যমুখী ফুলের মতো রোদের রঙ করে ছিল।
জমিন ছেড়ে আরো হাঁটি। আশা জাগে জমিনের অইপ্রান্তে যেখানে দিগন্ত আকাশের রেইনবো হয়ে আছে সেখানে একটি নদী থাকবে। রেইনবোটি চাতক পাখি হয়ে জলে চুষে যাবে নদীস্তন! হাঁটতে হাঁটতে তার কাছে দাঁড়াব। নদীর কাছে দাঁড়ালে মানুষ পাহাড় হয়ে যায়, ভিতরে।...
নাম লিখিনি, ঠিকানা লিখিনি,
এমন কি সইও করিনি,
তোমাকে পাঠিয়েছি এক সম্পূর্ন কোডেড মেসেজঃ
‘দুঃখ ছোট, দুঃখ বড়, দুঃখ মাঝারী,
দুঃখ নীল, দুঃখ লাল, দুঃখ কালো, দুঃখ গোলাপী,
দুঃখ অশেষ, দুঃখ অসীম, দুঃখ অক্ষয়,
দুঃখ অব্যয়, দুঃখ অবিরাম, দুঃখ নিরন্তর,
দুঃখ ১, দুঃখ ২, দুঃখ ৩, দুঃখ ৪,
দুঃখ ৫, দুঃখ ৬, দুঃখ ৭, দুঃখ ৮,
দুঃখ ৯, দুঃখ ১০, দুঃখ ১১, দুঃখ ১২,
দুঃখ ১৩, দুঃখ ১৪, দুঃখ ১৫, দুঃখ ১৬,
দুঃখ টু দি পাওয়ার এন,
দুঃখ টু দ...
আদীবা কে আমার কখনো দেখা হয় নি, সম্ভবত আপনাদেরো না কিন্তু আমার মতো সম্ভবত আপনারাও জানেন আদীবা নামে এই পৃথিবীর কোন একখানে চার বছরের ছোট্ট একটা মেয়ে আছে। যে মেয়েটা ডানো কিংবা নিডো খায়, কার্টুন চ্যানেল চলার সময় শক্ত করে রিমোর্ট কন্ট্রোল চেপে বসে থাকে, ভয় পেলে কান্না করে অথবা বুরকা পড়া মেয়ে গানটা শুনে বাবার কোলেই নেচে উঠে। এত কিছু অবশ্য আমাদের জানার কথা না তবু আমারা জেনে যাই [url=http:/http://www.sach...