লোকটা একটা লম্বা নিঃশ্বাস ফেলে বাইরের দিকে তাকালো।
সামনে দিগন্তজোড়া সমুদ্র, ঢেউ তেমন একটা নেই। যেন একটা বিশাল চকচকে ইস্পাতের পাত কেউ বিছিয়ে রেখেছে। দুপুরের সূর্যের তীব্র আলো সেখানে প্রতিফলিত হয়ে ওর চোখ ধাঁধিয়ে দিচ্ছে। হেলমেটের শেডটা টেনে নামাতে গিয়ে থেমে গেলো সে।
চোখদুটো জ্বালা করছে ওর, মনে হয় এক্ষুনি ভিজে যাবে। এত সুন্দর, ঝকঝকে একটা দিন, কিন্তু আকাশে যদি একটু মেঘ করতো, যদ...
ঝুম বৃষ্টি দরকার!
মিনমিনে-ফ্যাতফ্যাতে-ইলশে গুড়ি না,
কোনও কিছুকে তোয়াক্কা করেনা যে বৃষ্টি,
সেরকমটাই চাই!
এর কম কিছু না,
বরং পারলে আরও বেশি,
একটা ব্যক্তিগত কালবোশেখী চাই,
তছনছ চাই একটা,
তুমুল ধ্বংসযজ্ঞ!
একটু নাহয় বেহিসেবী হই,
গাছের সবক'টা আম নাহয় নাই বা পাকলো।
হাতের পাঁচটা আঙ্গুল সমান কি হয় কখনও?
নাহয় একটু উশৃংখল আমি,
একটু খেপাটে,
কান্ডজ্ঞানেরও নাহয় একটু বেশিই অভাব রইলো আমা...
জিজ্ঞাসা মিথ্যা হয় কথায়, বাঁকে বাঁকে উথালা হাওয়ায়
আমার জিজ্ঞাসার ভেতর মুছে যায় চোখ; পরিচিত মুখ
প্রত্যাশিত আশার’চে রোদটুকু চুষে নিক আলোর পোশাক
পতনের কথা ঘুরেফিরে আসুক; এভাবে চলে কি সময়?
আমার আসা-যাওয়া, ঠিক সময়ের সাথে বেড়ে ওঠা অ-মঙ্গল
আমার চেনা অনুভব; তোর পরিচিত চোখে আবিষ্কৃত ব্যাপার
বলছে কি পেলাম না বহুকাল ধরে? কি যেনো স্পর্শ দরকার
আশা আমার প্রিয়বন্ধু; তোর পূর্ণতৃষ্ণা ধরে রাখা...
আমার একজন পিতা আছেন
আমি তাকে আব্বা বলে ডাকতাম...
আমার খুব মনে আছে,
তিনি যখন কোরান পড়তেন -
সুবেহ সাদিকের স্বর্গীয় নীরবতার মধ্যে
তার কণ্ঠস্বর অদ্ভুতভাবে বেজে উঠত
তার সৌম্য অবয়ব হতে কোন এক
অন্য ভুবনের আলো ঠিকরে বেরুতে দেখতাম -
আমি, তখন ভুল শুনতাম
আমার দেখায় ভুল ছিল ।
আমার একজন আম্মাও ছিলেন
আমি তাকে কোনদিন হাসতে শুনিনি...
সারাটা বছর থাকতেন রোগাক্রান্ত
পর্দার আড়ালে দুর্বল, শীর্ণ, কাল...
বিকেল হলে ছাদের ওপাশটায় ভাড়াটিয়াদের ছেলেপুলে ও তাদের বন্ধুরা ঘুড়ি ওড়ায় অর্থাৎ ঘুড়ি নিয়ে খেলে। মাগরিবের আজান পর্যন্ত চলে তাদের ঘুড়ি নিয়ে কাড়াকাড়ি। কারও কারও মুখ দেখে অনুমান করা যায় যে, বিকালটা তার ভাল কাটে নাই, নিশ্চয়ই ঘুড়ি কাটা পরেছে; অবশ্য এরকম-ই হয় বেশিরভাগ দিনে। কানে সংগীতের যন্ত্র ভরে চুপচাপ বা একটু-আধটু এদিক-ওদিক করে সারাটা বিকেল হয়তো এইসব দেখে কেটে যায...
সময়: মধ্যদুপুর
স্থান: গুলশানের এক অভিজাত জাপানি রেস্তোরাঁ
লক্ষ্য: সুশি আস্বাদন
কেন্দ্রীয় চরিত্র: ভেতো-১ আর ভেতো-২, দুই তরুণ হাভাতে বাঙালি যারা তাদের ভেতো জিভে অচেনা বিজাতীয় স্বাদ ছোঁয়াবার বাঁধভাঙ্গা বিলাসী ইচ্ছের তাড়নায় ঢাকা ঢুঁরে খুঁজে বের করেছে এই রেস্তোরাঁটি।
পার্শ্বচরিত্র: জুডো, রেস্তোরাঁর খাদ্যপরিবেশনকারী যুবক।
দৃশ্য-১
ভেতো-১ আর ভেতো-২ জাপানি কেতায় সাজানো রেস্তোরাঁ ...
বানর রাজার সাথে আমার প্রথম পরিচয় কাঁথা ভেজানোর বয়সে। ফুফাতো ভাইয়ের সংগ্রহে থাকা একটা সুন্দর ছবিওয়ালা বইতে আমার নজর পড়ে। তখনো আমার বর্ণমালার সাথে পরিচয় শেষ হয়নি। ফুফু আর কী করেন... বাধ্য হয়ে বসে পরেন আমাকে বানর রাজার সেই অদ্ভুত কাহিনী শোনানোর জন্য। ফুফু বলতে থাকেন, আর আমি হাঁ হয়ে শুনতে থাকি মহাপরাক্রমশালী শক্তিধর এক বীর বানরের কাহিনী। শৈশবে দেখা স...
বড় দেশে ফিরতে ইচ্ছা করে।
আত্মীয়স্বজন ছেড়ে প্রবাসে আছি বেশ কিছু দিন হল। বাড়ি ফিরতে মন চায়ই। কিন্তু সে কথা বলছি না। বলছি দ্যাশের কথা। কখনও তাকে দেখি নি। বড় দেখতে ইচ্ছা করে।
আমি বাঙাল।
এই কথাটা যখন বাঙলা-ভাষী কেউ বিশেষ করে বলতে যায়, তখনই বোঝা যায়, তার বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে। বাংলাদেশের লোকেদের এই ট্যাগ-এর দরকার পড়ে না। আমাদের এখনো পড়ে। যখন য-এর টানে সহপাঠীরা হাসে, চ-এর টানে ব্যঙ্গ করে। সব...
একদিন রাত্তিরে বস্তায় ঢুকে গুটিসুটি মেরে ঘুমাচ্ছিল বগোডুল। এমন সময় ইয়া বড়ো চাকু হাতে দুই গুন্ডা এসে লাত্থি দিয়ে তার ঘুম ভাঙায়। লাত্থি খেয়ে বস্তা থেকে ধড়মড় করে উঠে দাঁড়াতেই দুই গুন্ডা তার দিকে চাকু বাগিয়ে ধরে- যা আছে সব দিয়া দে নাইলে মাইরা ফালামু কিন্তু...