জানা ইতিহাস মতে পৃথিবীর প্রথম ফ্লাশ সহ টয়লেট বানিয়েছিল সিন্ধু সভ্যতার লোকেরা - হরপ্পা এবং মহেঞ্জোদারো নগরের প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই ফ্লাশ সহ টয়লেট পাওয়া গিয়েছে । এ হল আজ থেকে সাড়ে চার হাজার বছরেরো কিছু আগের কথা । সে আমলে আমাদের বাপ দাদারা এসব কিছু নিয়ে মনে হয় চিন্তাও করেননি; ধর্ম, দর্শন, রাজনীতি ইত্যাদি বড় বড় জিনিস চর্চা করেই তাদের দিন পার হয়ে যায় । হাগাখানা নিয়ে চিন্তা করার মত সময় ...
৩.
পলক আজকে অন্যরকম খুশি। ঢাকায় এসেছে আজ। ঢাকায় আসার মূল কারণ যদিও কাকাত বোনের বিয়ে, পলকের খুশি হওয়ার মূল কারণ অবশ্য তা নয়- বরং পলুদার সাথে শিশুপার্ক আর জাদুঘর দেখাই বেশি মজার মনে হয় তার। দুইদিন আগে থেকেই সে বারবার ফোন করে পল্লবকে মনে করিয়ে দিয়েছে- আজ সকালে যেন একটুও দেরি না হয়, পারলে ভোরেই যেন তাকে কাকার বাড়ি থেকে নিয়ে যায়। বেশ উত্তেজনা...
প্রাণোচ্ছ্বাস আর সুখ-মায়াময়
এই জীবনের শেষে,
হুট-নোটিশে মানুষ ছোটে
'আর-না-ফেরার' দেশে।
যায়না কোন খবর দেয়া,
চট-আলাপন ফোনে-
অশেষ সময় একলা কাটে
সুদূর কোন কোণে।
হয়তো হঠাত্ স্মৃতির কোন
ছোট্টো ঢেঊয়ের সাথে,
মনটা হঠাত্ উথলে ওঠে;
বাঁধ থাকেনা তাতে।
হয়তো মনে সাঁতার কাটে
সেই জীবনের ছবি-
কান্না, হাসি, ঠাট্টা, মায়া,
দুঃখ, আবেগ সবি।
যায়না ফেরা নতুন করে,
কিংবা দেয়া ঊকি-
আপনজনের মনের কোনে
স্ম...
ব্লগের ব্যানারে 'পাকিপনা' দেখে খুবই আমোদ অনুভব করলাম। বিশেষ করে ফেব্রুয়ারি, মার্চ এবং ডিসেম্বরে পাকিস্তান-বিরোধিতা করাই উচিৎ। নইলে আর বাঙালি কিসের? লাখো শহীদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত যে স্বাধীনতা, এইসব রসিকতার মধ্য দিয়েই তার প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করা হয়। সুতরাং সকল ধরনের নির্যাতন, নিপীড়ন, আধিপত্য এবং বৈষম্যকে পাকিপনা বলার মধ্য দিয়ে স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ আস্বা...
সে দিন বরাবরের মতো বিকালে টিউশনিতে গেছি। রাত প্রায় ৯টা বেজে গেছে। হঠাৎ করে আমার ছাত্রের আব্বা এসে বলল, "স্যার, তাড়াতাড়ি হল এ চলে যান। ঢাকা ভার্সিটিতে নাকি গোলমাল চলছে।" বললাম কেন এবং কিভাবে? উনি আমাকে তেমন কিছু বলতে পারল না। আমিও মনে করলাম আরে এটা আর কি? তখন দেশের যা অবস্থা তাতে কিছু গোলমাল হতেই পারে। পরে হলে এসে শুনলাম, যে সেনাবাহিনীর লোকজন এর সাথে ছাত্রদের কি যেন খেলার মাঠে সমস্যা ...
সন্ধ্যার বাসে অফিস থেকে বাড়ি ফিরছে বন্যা। অনেকটা দূরে অফিস তার, বাড়ি ফিরতে ঘন্টাখানেকের উপর লেগে যায়। তবু তাই নিয়ে অভিযোগ নেই তার। বছরখানেক আগে যখন চাকরিটা পেয়েছিল, হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছিল সে। অন্যান্য মেয়েদের মত ঘরকন্না শিখে শেষে বিয়ের আশায় হাপিত্যেশ করে বসে থাকা, এমন জীবন কখনোই সে চায় নি। মাইনে অল্প হলেও, অনেকটা দূরে রোজ একা যাতায়াত করতে হলেও, স্বাবলম্বী হয়ে বাঁচতে পারার আনন্দই আল...
[justify]
১
আমার নাম সিরাত। আমি সেদিন বইসা বইসা প্ল্যান করতেসি - কতিপয় বাংলা ব্লগ সাইটে কিভাবে আমার ফ্যাসিস্ট-রাজাকার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করা যায়, এইসময় হঠাৎ কে জানি আমাকে বললো: "তুমি যাইবা?"
আমি নিজেকে রাশনাল মানুষ বলেই ভাবতাম, তা-ও হঠাৎ গায়েবী আওয়াজ শুইনা ঘাবড়ায় গেলাম। আরি। কইত্তে কি। কে বললো রে? চারপাশে কেউ তো নাই। আমাদের বাসায় জ্বীন-ভূতের প্রাদূর্ভাব থাকলেও, তারা মোবাইল চুরি করতেই ...
আমার ঘরে একটা টিকটিকি আছে।এটা এমন কোন ব্যাপার না।বাংলাদেশের সব বাসায় অন্তত গোটা বিশেক থাকে।কিন্তু আমি বাজি ধরে বলতে পারি আমার এই টিকটিকিটা অন্য রকম।সারাদিন সে কই থাকে জানিনা,সন্ধ্যার সময় আমি যখন পড়তে বসি( অথবা আম্মুর ভয়ে পড়ার ভাব ধরি) ঠিক তখন তার আগমন ঘটে।আমার সন্দেহ ব্যাটা দিনভর ঘুমায়।ইশ....আমি যদি পারতাম..যাই হোক,আমার দুঃখে কারো এই লেখা পড়ার আগ্রহ জাগবে না,তাই আগের বিন্...
ওই পথের রঙ ছুঁব কি ছুঁব না ভাবতে ভাবতে উড়ে গেল পদতল-মাটি আর
জলভেজা বালির কথা তবুও বাঁধা পড়তে হলো শুকনো জল আর পিঁপড়ের
নিকট এসে অথচ জলপতনের আগে আমাদের ডুবে যাবার কথা ছিলো
ঝোপজঙ্গলের পাশে, আর ওই পথ ছুঁব না বলেই তখনও আমরা খুঁজেছি
বহুবর্ণ পথের ডাঁটা;তোমার কথা শুনে লতা পাতার মতো বোবা হতে থাকি
স্বর্ণলতা গাছের মর্মরে...শুনেছি এখনও অতিযত্ন করে গুনে রাখো নীরবতা
যেন পত্রলিপিতে কেঁপে ওঠে স্...
বিগত কিছুদিনের ছাত্র সংঘর্ষে সবার সামনে আবারো ছাত্র রাজনীতির প্রয়োজনীয়তা/অপ্রয়োজনীয়তার প্রশ্নটি চলে এসেছে।মানুষ পক্ষ এবং বিপক্ষ এই দু’দলে বিভক্ত, কিন্তু আপাত সহজ কোন সমাধান কারোর কাছেই নেই। দু’পক্ষরই উদ্দেশ্য বর্তমান ছাত্র রাজনীতিকে কলুষিত মুক্ত করা, শুধু তাঁদের পন্থা ভিন্ন। যারা ছাত্র রাজনীতির বিপক্ষে তাঁদের যুক্তি হল বর্তমান ছাত্র রাজনীতির দৈন্যদশাঃ দলীয় কোন্দল, চাঁ...