Archive - মার্চ 10, 2010

এটি কোন কবিতা নয়

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১০/০৩/২০১০ - ৯:৪০অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই লেখাটা একটা ঘোরের মধ্যে আচ্ছন্ন থেকে লেখা, এবং তীব্র আবেগ থেকে। প্রথমে ইংলিশে, পরে বাংলায় পৃথক পৃথক ভাবে। ভয় ছিল লাগাম ছুটে যাবে। সম্ভবত তা ছোটেনি, বরং বোধয় একটু কষে গেছে। নিরীক্ষাধর্মী এটাকে বলব কি? সেই মানসিকতা নিয়েই এগোনো যদিও, তার সাফল্য বা ব্যর্থতা ত পাঠকদের ওপরই।
বোদ্ধা পাঠক নিশ্চয়ই এত ফাউ প্যাচাল থেকেই বুঝে ফেলেছেন যে পরবর্তী যা আছে তা খুব একটা সুবিধের হবে না। তবু বলি, ...


শিরোনামহীন

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১০/০৩/২০১০ - ৫:২৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এক.

“বাবা আমার কিন্তু একটা কম্পিউটার লাগবে। আমার সব বন্ধুর বাসায় কম্পিউটার আছে, শুধু আমার বাসায় নাই। আর তুমি কিন্তু আমাকে কথা দিছিলা যে পরীক্ষায় প্রথম হইলে তুমি আমারে এইবার কম্পিউটার কিনে দিবা।” রাশেদ সাহেবের ছেলে রাজীব আবদার এর সুরে বলে তার বাবাকে।
--“দিব রে বাবা, আর কয়েকটা দিন অপেক্ষা কর” টিভি থেকে চোখ না সরিয়েই বলেন রাশেদ সাহেব।
--“তুমি তো এই কথা কতদিন ধরে বলতেছো, দিব দি...


দশ টাকার সাক্ষাৎকার

মনামী এর ছবি
লিখেছেন মনামী (তারিখ: বুধ, ১০/০৩/২০১০ - ৫:০৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

এই দুইটা তো হিন্দুর বাচ্চা

দারিদ্রের শেখানো চাতুরির ফাঁক গলে টুপটাপ ঝরছে শৈশবের সারল্য। থমকে যাওয়া শহুরে সংস্কৃতির মুখের ওপর আবারও পড়ে হাসিমাখা চাবুক।

হিন্দু , এই দুইটা হিন্দু।

যে দুজনের পরিচয় দেওয়া হচ্ছে তারা সদ্য উপার্জিত দশটাকার কিয়দংশ খরচ করে কেনা গাজর যে তুচ্ছার্থে তাদের পরিচয় তুলে ধরছে তারই সঙ্গে কামড়চুক্তিতে পেটে চালান করতে ব্যস্ত। একজন একবার কামড় দিতে পারবে কাজ...


আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ছোটগল্প। পর্ব এক।

শুভাশীষ দাশ এর ছবি
লিখেছেন শুভাশীষ দাশ (তারিখ: বুধ, ১০/০৩/২০১০ - ১:২২অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

[justify]তিনি মাত্র তিরিশটা গল্প লিখেছেন। এতেই তাঁর নাম বাংলা সাহিত্যে অক্ষয় হয়ে গেছে। ‘নিরুদ্দেশ যাত্রা’ গল্পটি ছাড়া বাকি সব গল্পে প্লেটোনিক ভাষার আখতারুজ্জামান ইলিয়াসকে পাওয়া যায় না। তিনি সেখানে খুব শক্তভাবে জীবনঘনিষ্ঠ। আর সাথে আছে নিখুঁত ডিটেইলস্। দেহ মনের যোগসূত্রে যে অস্তিত্ব তার ভাবগতিক ইলিয়াসের লেখায় যেভাবে ফুটে উঠেছে, অন্য কারো লেখায় তার যথাযথ আবহ আসে না। ইলিয়াস এইদিক...


কানামাছি

মূর্তালা রামাত এর ছবি
লিখেছেন মূর্তালা রামাত (তারিখ: বুধ, ১০/০৩/২০১০ - ১২:১৭অপরাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

দৌড়াই দৌড়াই...
দাঁড়া নদী দাঁড়া-
নদী সরে সরে যায়
ক্লান্ত পা পুনরায় পোড়ে

নদী ডাকে আয়...
ছুঁয়ে দেখ, মেখে দেখ, চেখে দেখ-
দৌড়াই ফের-
জলের দীঘল ছায়া, ধূ ধূ গন্ধের বালি
আঙ্গুলের ফাঁক গলে পড়ে
যেন ব্যর্থ মোহর!

স্রোতের সিন্দুকে চড়ে বেলা যায়
দীর্ঘশ্বাসের দীর্ঘ দড়ি হাতে আমি তার পিছু পিছু
দূরত্ব মেপে চলি বরাবর আর
নদীর শূন্য দাগ হয়ে থাকি...

২৭/০২/১০
সিডনি, অস্ট্রেলিয়া।


পুনর্পাঠ : নির্মল হালদার ও আমাদের অস্বস্তি

সৈয়দ আফসার এর ছবি
লিখেছেন সৈয়দ আফসার (তারিখ: বুধ, ১০/০৩/২০১০ - ১০:০৭পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

২০০০ সালে জানুয়ারিতে দে’জ থেকে প্রকাশিত নির্মল হালদার এর‘শ্রেষ্ঠ কবিতা’ গ্রন্থের ভূমিকায় নির্মল বলেন— ‘কবিতা লিখতে লিখতে ক্ষয়ের দিকে যাওয়া। কবিতা লিখতে লিখতে আলোর দিকে অন্ধকারের দিকে যাওয়া। আমি আমার দিকেও যাই। কবিতা ছাড়া আমার আর কিছু নেই।’ নির্মলের কবিতা পাঠ করলে পাঠককে ক্ষয়ের দিকেই যেতে হবে; প্রাত্যহিক জীবনই নির্মলের কবিতা...। যতই নির্মলকে পাঠ করি; পুলকিত হই। আমার অনুরোধে ...


অনুস্বার

মর্ম এর ছবি
লিখেছেন মর্ম [অতিথি] (তারিখ: বুধ, ১০/০৩/২০১০ - ১০:০৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

মামদো ভূতে ঘুমের ঘোরে
ঘুরছে যে ঢ্যাং ঢ্যাং,
সুযোগ বুঝে ওরাং ওটাং
মারছে তারে ল্যাং!

বাঁদরগুলো রব ভুলে বেশ
করছে ঘ্যাঙর ঘ্যাঙ,
জিরাফ নাকি জল খাবেনা
চাইছে গরম ট্যাং!

ভীমরুলেরা দল বেঁধেছে,
খুলবে বিরাট গ্যাং,
চিংড়ি হঠাত্‍ গুমড়ে বলে,
"ডাকবি আমায় চ্যাং!!"

শেয়ালমামার মনটা খারাপ,
চিন্তা যে তার হ্যাং,
তাই না দেখে হুতুম প্যাঁচক
বেশ সেজেছে ঝ্যাং।

আজগুবী সব কান্ড দেখে
পটল তোলে ব্যাঙ,
ভূত...


ব্যর্থকাব্য ৫

ফারুক হাসান এর ছবি
লিখেছেন ফারুক হাসান (তারিখ: বুধ, ১০/০৩/২০১০ - ১:০৫পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

১৩.
বিহবল বিকেলের শেষ রোদ মরে গেলে ঘাসগুলোর মনে হয়
শামুকের মত অনেকটা পথ পেরিয়ে তারা এসেছে কোন ছায়ায়
কোন পথের ধারে সহসা শ্লথ হয়ে পড়েছে তাম্র নাগরিক প্রাণ
শিশিরের দেহ আজ সহস্রকালের বিস্মৃত উপপাদ্যের ঘ্রাণ।

স্বপ্নের ডাল ছেটে বিষন্নতার দেহ তাকে বলি ঘাস
আমাদের নয় বসন্তবিভ্রাট নিয়ে বেঁচে থাকা।

১৪.
বিধাতা সৃষ্টি করলেন
জলধি, বৃক্ষরাজি, প্রান্তর
বললেন, যেমন খুশি যাপন কর।

সকল প্র...


একটি নিরীহ ফেইসবুক স্ট্যাটাস

অতিথি লেখক এর ছবি
লিখেছেন অতিথি লেখক (তারিখ: বুধ, ১০/০৩/২০১০ - ১২:৫৪পূর্বাহ্ন)
ক্যাটেগরি:

ফেইসবুকে একটা স্ট্যাটাস আপডেট দিলাম। সেটা ছিল "I give up"।
দিয়েই লগ-আউট করে রাতে ঘুমিয়ে গেলাম। সকালে অফিসে গিয়েই কাজে ব্যস্ত ছিলাম সারাদিন। দুপুর গড়িয়ে বিকেল সন্ধ্যা পার করে অফিস শেষে বাড়ির পথ ধরলাম। পথে ফোন পেলাম বান্ধবী নাতাশার। 'কি রে রিখি? তোর গলা এমন শোনাচ্ছে কেন?' আমি অবাক হয়ে গেলাম। 'কিরকম শোনাচ্ছে বল্‌ তো?'
'শোন রিখি আমার কাছে লুকোস না। তুই একা একা এমন একটা কষ্ট বয়ে বেড়াবি আর আমরা ...